16. যীশু তাঁদের বললেন, “ওদের যাবার দরকার নেই, তোমরাই ওদের খেতে দাও।”
17. শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।”
18-19. তিনি বললেন, “ওগুলো আমার কাছে আন।” পরে তিনি লোকদের ঘাসের উপর বসতে আদেশ করলেন, আর সেই পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। এর পরে তিনি রুটি ভেংগে শিষ্যদের হাতে দিলেন আর শিষ্যেরা তা লোকদের দিলেন। তারা প্রত্যেকে পেট ভরে খেল।
20. খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।
21. যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া কমবেশী পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।
22. এর পরে যীশু শিষ্যদের তাগাদা দিলেন যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে যান, আর এদিকে তিনি লোকদের বিদায় করলেন।
23. লোকদের বিদায় করে প্রার্থনা করবার জন্য তিনি একা পাহাড়ে উঠে গেলেন। যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল তখনও তিনি সেখানে একাই রইলেন।
24. ততক্ষণে শিষ্যদের নৌকাখানা ডাংগা থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছিল এবং বাতাস উল্টাদিকে থাকাতে ঢেউয়ে ভীষণভাবে দুলছিল।
25. শেষ রাতে যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে শিষ্যদের কাছে আসছিলেন।
26. শিষ্যেরা একজনকে সাগরের উপর হাঁটতে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “ভূত, ভূত,” আর তার পরেই চিৎকার করে উঠলেন।
27. যীশু তখনই তাঁদের বললেন, “এ তো আমি; ভয় কোরো না, সাহস কর।”
28. পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, যদি আপনিই হন তবে জলের উপর দিয়ে আপনার কাছে যেতে আমাকে আদেশ দিন।”
29. যীশু বললেন, “এস।”তখন পিতর নৌকা থেকে নেমে জলের উপর দিয়ে হেঁটে যীশুর কাছে চললেন।