অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মথি 14 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মৃত্যু

1-2. সেই সময়ে যীশুর বিষয় শুনে গালীল প্রদেশের শাসনকর্তা হেরোদ তাঁর কর্মচারীদের বললেন, “ইনি বাপিস্মদাতা যোহন; মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন। সেইজন্যই উনি এই সব আশ্চর্য কাজ করছেন।”

3. হেরোদ নিজের ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার দরুন যোহনকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে জেলখানায় রেখেছিলেন,

4. কারণ যোহন তাঁকে বলতেন, “হেরোদিয়াকে স্ত্রী হিসাবে রাখা আপনার উচিত নয়।”

5. হেরোদ যোহনকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লোকদের ভয় করতেন কারণ লোকে যোহনকে নবী বলে মানত।

6. হেরোদের জন্মদিনের উৎসবে হেরোদিয়ার মেয়ে উপস্থিত লোকদের সামনে নেচে হেরোদকে সন্তুষ্ট করল।

7. সেইজন্য হেরোদ শপথ করে বললেন সে যা চাইবে তা-ই তিনি তাকে দেবেন।

8. মেয়েটি তার মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে বলল, “থালায় করে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথাটা এখানে আমার কাছে এনে দিন।”

9. এতে রাজা হেরোদ দুঃখিত হলেন, কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে খেতে বসেছিলেন তাঁদের সামনে শপথ করেছিলেন বলে তিনি তা দিতে আদেশ করলেন।

10. তিনি লোক পাঠিয়ে জেলখানার মধ্যেই যোহনের মাথা কাটালেন।

11. পরে মাথাটি থালায় করে এনে মেয়েটিকে দেওয়া হলে পর সে তার মায়ের কাছে তা নিয়ে গেল।

12. এর পর যোহনের শিষ্যেরা এসে তাঁর মৃত দেহটা নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন এবং সেই খবর যীশুকে গিয়ে দিলেন।

পাঁচ হাজার লোককে খাওয়ানো

13. যোহনের মৃত্যুর খবর শুনে যীশু একাই সেখান থেকে নৌকায় করে একটা নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। লোকেরা সেই কথা শুনে ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম থেকে হাঁটা-পথে তাঁর পিছন ধরল।

14. তিনি নৌকা থেকে নেমে লোকদের ভিড় দেখতে পেলেন আর মমতায় পূর্ণ হয়ে তাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তাদের সুস্থ করলেন।

15. দিনের শেষে শিষ্যেরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “জায়গাটা নির্জন, বেলাও গেছে। লোকদের বিদায় করে দিন যেন তারা গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার কিনতে পারে।”

16. যীশু তাঁদের বললেন, “ওদের যাবার দরকার নেই, তোমরাই ওদের খেতে দাও।”

17. শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।”

18-19. তিনি বললেন, “ওগুলো আমার কাছে আন।” পরে তিনি লোকদের ঘাসের উপর বসতে আদেশ করলেন, আর সেই পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। এর পরে তিনি রুটি ভেংগে শিষ্যদের হাতে দিলেন আর শিষ্যেরা তা লোকদের দিলেন। তারা প্রত্যেকে পেট ভরে খেল।

20. খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।

21. যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া কমবেশী পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।

জলের উপর দিয়ে হাঁটা

22. এর পরে যীশু শিষ্যদের তাগাদা দিলেন যেন তাঁরা নৌকায় উঠে তাঁর আগে অন্য পারে যান, আর এদিকে তিনি লোকদের বিদায় করলেন।

23. লোকদের বিদায় করে প্রার্থনা করবার জন্য তিনি একা পাহাড়ে উঠে গেলেন। যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল তখনও তিনি সেখানে একাই রইলেন।

24. ততক্ষণে শিষ্যদের নৌকাখানা ডাংগা থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েছিল এবং বাতাস উল্টাদিকে থাকাতে ঢেউয়ে ভীষণভাবে দুলছিল।

25. শেষ রাতে যীশু সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে শিষ্যদের কাছে আসছিলেন।

26. শিষ্যেরা একজনকে সাগরের উপর হাঁটতে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “ভূত, ভূত,” আর তার পরেই চিৎকার করে উঠলেন।

27. যীশু তখনই তাঁদের বললেন, “এ তো আমি; ভয় কোরো না, সাহস কর।”

28. পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, যদি আপনিই হন তবে জলের উপর দিয়ে আপনার কাছে যেতে আমাকে আদেশ দিন।”

29. যীশু বললেন, “এস।”তখন পিতর নৌকা থেকে নেমে জলের উপর দিয়ে হেঁটে যীশুর কাছে চললেন।

30. কিন্তু জোর বাতাস দেখে তিনি ভয় পেয়ে ডুবে যেতে লাগলেন এবং চিৎকার করে বললেন, “প্রভু, আমাকে বাঁচান।”

31. যীশু তখনই হাত বাড়িয়ে তাঁকে ধরলেন এবং বললেন, “অল্প বিশ্বাসী, কেন সন্দেহ করলে?”

32-33. যীশু আর পিতর নৌকায় উঠলে পর বাতাস থেমে গেল। যাঁরা নৌকার মধ্যে ছিলেন তাঁরা যীশুকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করে বললেন, “সত্যিই আপনি ঈশ্বরের পুত্র।”

34. পরে তাঁরা সাগর পার হয়ে গিনেষরৎ এলাকায় এসে নামলেন।

35. সেখানকার লোকেরা যীশুকে চিনতে পেরে এলাকার সব জায়গায় খবর পাঠাল।

36. তাতে লোকেরা অসুস্থদের যীশুর কাছে আনল এবং তাঁকে অনুরোধ করল যেন সেই অসুস্থরা তাঁর চাদরের কিনারাটা কেবল ছুঁতে পারে; আর যত লোক তা ছুঁলো তারা সবাই সুস্থ হল।