8. কিন্তু তারা বলল, “না, আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। সব পশুর পাল একসংগে জড়ো হলে পর কূয়ার মুখ থেকে পাথরটা সরানো হবে, আর তখন আমরা ভেড়াগুলোকে জল খাওয়াতে পারব।”
9. যাকোব তখনও সেই লোকদের সংগে কথা বলছেন এমন সময় রাহেল তাঁর বাবার ভেড়াগুলো নিয়ে সেখানে আসলেন, কারণ তিনি সেই পাল চরাতেন।
10. যাকোব তাঁর মামা লাবনের মেয়ে ও তাঁর ভেড়ার পাল দেখে কূয়ার কাছে গেলেন এবং কূয়ার মুখ থেকে পাথরটা সরিয়ে দিয়ে ভেড়াগুলোকে জল খাওয়ালেন।
11. তারপর তিনি রাহেলকে চুম্বন করে জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন।
12. তিনি রাহেলকে জানালেন যে, তিনি তাঁর বাবার আত্মীয়, রিবিকার ছেলে। এই কথা শুনে রাহেল দৌড়ে গিয়ে তাঁর বাবাকে সেই খবর দিলেন।
13. লাবন তাঁর বোনের ছেলে যাকোবের আসবার খবর পেয়ে দৌড়ে তাঁর সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলেন এবং তাঁকে নিজের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। তখন যাকোব লাবনকে তাঁর আসবার সব কথা জানালেন।
14. লাবন তাঁকে বললেন, “সত্যিই আমাদের গায়ে একই রক্ত বইছে।” এর পর যাকোব লাবনের বাড়ীতে এক মাস কাটালেন।
15. একদিন লাবন বললেন, “তুমি আমার আত্মীয় বলেই কি বিনা বেতনে আমার কাজ করবে? তোমাকে কি দিতে হবে আমাকে বল।”
16. লাবনের দু’টি মেয়ে ছিল। বড়টির নাম লেয়া আর ছোটটির নাম রাহেল।
17. লেয়ার থাকবার মধ্যে ছিল শুধু দু’টি সুন্দর চোখ, কিন্তু রাহেলের দেহের গড়ন ও চেহারা সবই ছিল সুন্দর।