34. তাঁরা বললেন, প্রভু নিশ্চয়ই উঠেছেন এবং শিমোনকে দেখা দিয়েছেন।
35. পরে সেই দু’জন পথের ঘটনার বিষয় এবং রুটি ভাঙ্গবার সময়ে তাঁরা কিভাবে তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন, এসব বৃত্তান্ত বললেন।
36. তাঁরা পরস্পর এসব কথাবার্তা বলছেন, ইতোমধ্যে তিনি নিজে তাঁদের মধ্যস্থানে দাঁড়ালেন ও তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের শান্তি হোক।
37. এতে তাঁরা ভীষণ ভয় পেয়ে ও আতঙ্কিত হয়ে মনে করলেন, রূহ্ দেখছি।
38. তিনি তাঁদেরকে বললেন, কেন ভয় পাচ্ছ? তোমাদের অন্তরে বিতর্কের উদয়ই বা কেন হচ্ছে?
39. আমার হাত ও আমার পা দেখ, এ আমি স্বয়ং; আমাকে স্পর্শ কর, আর দেখ; কারণ আমাকে যেমন দেখছো, রূহের এরকম অস্থি-মাংস নেই।
40. এই কথা বলে তিনি তাঁদেরকে হাত ও পা দেখালেন।
41. তখনও তাঁরা এত আনন্দিত হয়েছিলেন যে, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এবং তখনও আশ্চর্য জ্ঞান করছিলেন, তাই তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের কাছে এখানে কি কোন খাবার আছে?
42. তখন তাঁরা তাঁকে একখানি ভাজা মাছ দিলেন।
43. তিনি তা নিয়ে তাঁদের সাক্ষাতে ভোজন করলেন।
44. পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে আমি তোমাদেরকে যা বলেছিলাম। আমার সেই কথা এই, মূসার শরীয়তে ও নবীদের কিতাবে এবং জবুর শরীফে আমার বিষয়ে যা যা লেখা আছে, সেসব অবশ্য পূর্ণ হবে।
45. তখন তিনি তাঁদের বুদ্ধির দ্বার খুলে দিলেন, যেন তাঁরা পাক-কিতাব বুঝতে পারেন;
46. আর তিনি তাঁদেরকে বললেন, এরকম লেখা আছে যে, মসীহ্ দুঃখভোগ করবেন এবং তৃতীয় দিনে মৃতদের মধ্য থেকে উঠবেন;
47. আর তাঁর নামে গুনাহ্ মাফের মন পরিবর্তনের কথা সর্বজাতির কাছে তবলিগ হবে— জেরুশালেম থেকে আরম্ভ করা হবে।
48. তোমরাই এই সকলের সাক্ষী।
49. আর দেখ, আমার পিতা যা ওয়াদা করেছেন, তা আমি তোমাদের কাছে প্রেরণ করছি; কিন্তু যে পর্যন্ত উপর থেকে শক্তি না পাও, সেই পর্যন্ত তোমরা এই নগরেই থেকো।