31. যা তুমি এসব জাতির সম্মুখে প্রস্তুতকরেছ,
32. অ-ইহুদীদের প্রতি প্রকাশিত হবার নূর,ও তোমার লোক ইসরাইলের গৌরব।
33. শিশুটির বিষয়ে এসব কথা শুনে তাঁর পিতা-মাতা আশ্চর্য জ্ঞান করতে লাগলেন।
34. আর শিমিয়োন তাঁদেরকে দোয়া করলেন এবং তাঁর মা মরিয়মকে বললেন, দেখ, ইনি ইসরাইলের মধ্যে অনেকের পতন ও উত্থানের জন্য এবং যার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে, এমন চিহ্ন হবার জন্য স্থাপিত,
35. —আর তোমার নিজের প্রাণও তলোয়ারে বিদ্ধ হবে— যেন অনেক হৃদয়ের চিন্তা প্রকাশিত হয়।
36. আর হান্না নাম্নী এক জন মহিলা-নবী ছিলেন, তিনি পনূয়েলের কন্যা, আশের বংশজাত; তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল, তিনি কুমারী অবস্থার পর সাত বছর স্বামীর সঙ্গে বাস করেন,
37. আর চুরাশি বছর পর্যন্ত বিধবা হয়ে থাকেন, তিনি বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে প্রস্থান না করে রোজা ও মুনাজাত সহকারে রাত দিন এবাদত করতেন।
38. তিনি সেই সময়ে উপস্থিত হয়ে আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করলেন এবং যত লোক জেরুশালেমের মুক্তির অপেক্ষা করছিল, তাদেরকে ঈসার কথা বলতে লাগলেন।
39. আর প্রভুর শরীয়ত অনুসারে মরিয়ম ও ইউসুফ সমস্ত কাজ করার পর গালীলে, তাঁদের নিজের নগর নাসরতে ফিরে গেলেন।
40. পরে বালকটি বেড়ে উঠতে ও বলবান হতে লাগলেন, জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন; আর আল্লাহ্র রহমত তাঁর উপরে ছিল।
41. তাঁর পিতা-মাতা প্রত্যেক বছর ঈদুল ফেসাখের সময়ে জেরুশালেমে যেতেন।
42. তাঁর বারো বছর বয়স হলে তাঁরা ঈদের রীতি অনুসারে জেরুশালেমে গেলেন;
43. এবং ঈদের সময় সমাপ্ত করে যখন ফিরে আসছিলেন, তখন বালক ঈসা জেরুশালেমে রয়ে গেলেন; আর তাঁর পিতা-মাতা তা জানতেন না,
44. কিন্তু তিনি সহযাত্রীদের সঙ্গে আছেন মনে করে তাঁরা এক দিনের পথ গেলেন; পরে জ্ঞাতি ও পরিচিত লোকদের মধ্যে তাঁর খোঁজ করতে লাগলেন;
45. আর তাঁকে না পেয়ে তাঁর খোঁজ করতে করতে তাঁরা আবার জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
46. তিন দিন পর তাঁরা তাঁকে বায়তুল-মোকাদ্দসে খুঁজে পেলেন; তিনি আলেমদের মধ্যে বসে তাঁদের কথা শুনছিলেন ও তাঁদেরকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন;
47. আর যারা তাঁর কথা শুনছিল, তারা সকলে তাঁর বুদ্ধি ও উত্তরে অতিশয় আশ্চর্য জ্ঞান করলো।