অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রোমীয় 8 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

পাক-রূহের দেওয়া জীবন

1. অতএব এখন, যারা মসীহ্‌ ঈসাতে আছে তাদের প্রতি কোন দণ্ডাজ্ঞা নেই।

2. কেননা মসীহ্‌ ঈসাতে জীবনদাতা পাক-রূহের যে নিয়ম, তা আমাকে গুনাহ্‌ ও মৃত্যুর নিয়ম থেকে মুক্ত করেছে।

3. কারণ শরীয়ত মানুষের গুনাহ্‌-স্বভাবের দরুন দুর্বল হওয়াতে যা করতে পারে নি, আল্লাহ্‌ নিজে তা করেছেন, নিজের পুত্রকে মানুষের মত গুনাহ্‌-স্বভাব দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন এবং তাঁর পুত্রকে গুনাহ্‌-কোরবানী হিসেবে পাঠিয়ে দিয়ে দৈহিকভাবে গুনাহ্‌র দণ্ডাজ্ঞা করেছেন,

4. যেন আমরা যারা গুনাহ্‌-স্বভাবের বশে নয়, কিন্তু পাক-রূহের বশে চলছি, শরীয়তের দাবী-দাওয়া আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে।

5. কেননা যারা গুনাহ্‌-স্বভাবের বশে আছে, তারা দুনিয়ার বিষয় ভাবে; কিন্তু যারা পাক-রূহের বশে আছে, তারা রূহানিক বিষয় ভাবে।

6. কারণ গুনাহ্‌-স্বভাবের ইচ্ছামত যারা চলে তাদের ফল হল মৃত্যু, কিন্তু পাক-রূহের ইচ্ছামত যারা চলে তাদের ফল হল জীবন ও শান্তি।

7. কেননা গুনাহ্‌-স্বভাবের ইচ্ছামত চলা হল আল্লাহ্‌র প্রতি শত্রুতা, কারণ তা আল্লাহ্‌র শরীয়তের বশীভূত হয় না, বাস্তবিক হতে পারেও না।

8. আর যারা গুনাহ্‌-স্বভাবের অধীনে থাকে, তারা আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করতে পারে না।

9. কিন্তু তোমরা গুনাহ্‌-স্বভাবের অধীনে নও, পাক-রূহের অধীনে রয়েছ, অবশ্য যদি আল্লাহ্‌র রূহ্‌ তোমাদের মধ্যে বাস করেন। কিন্তু মসীহের রূহ্‌ যার অন্তরে নেই, সে মসীহের নয়।

10. আর যদি মসীহ্‌ তোমাদের মধ্যে থাকেন, তবে যদিও দেহ গুনাহ্‌র কারণে মৃত, কিন্তু রূহ্‌ ধার্মিকতার কারণে জীবন্ত।

11. আর যিনি মৃতদের মধ্য থেকে ঈসাকে উঠালেন, তাঁর রূহ্‌ যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তবে যিনি মৃতদের মধ্য থেকে মসীহ্‌ ঈসাকে উঠালেন, তিনি তোমাদের অন্তরে বাসকারী আপন রূহ্‌ দ্বারা তোমাদের মৃত্যুর অধীন দেহকেও জীবিত করবেন।

12. অতএব হে ভাইয়েরা, আমরা ঋণী, কিন্তু গুনাহ্‌-স্বভাবের কাছে নয় যে, গুনাহ্‌-স্বভাবের বশে জীবন যাপন করবো।

13. কারণ যদি গুনাহ্‌-স্বভাবের বশে জীবন যাপন কর তবে তোমরা নিশ্চয় মরবে, কিন্তু যদি পাক-রূহের দ্বারা দেহের ক্রিয়াগুলো ধ্বংস কর তবে জীবিত থাকবে।

14. কেননা যত লোক আল্লাহ্‌র রূহ্‌ দ্বারা চালিত হয়, তারাই আল্লাহ্‌র সন্তান।

15. বস্তুত তোমরা গোলামীর রূহ্‌ পাও নি যার জন্য ভয় করবে; কিন্তু দত্তক পুত্রের রূহ্‌ পেয়েছ, যে রূহে আমরা আল্লাহ্‌কে আব্বা, পিতা, বলে ডাকি।

16. পাক-রূহ্‌ নিজেও আমাদের রূহের সঙ্গে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা আল্লাহ্‌র সন্তান।

17. আর যখন সন্তান, তখন উত্তরাধিকারী, আল্লাহ্‌র উত্তরাধিকারী ও মসীহের সহ-উত্তরাধিকারী— যদি বাস্তবিক আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি তবে তাঁর সঙ্গে মহিমান্বিতও হব।

ভবিষ্যতের মহিমা

18. কারণ আমার বিবেচনা এই, আমাদের প্রতি যে মহিমা প্রকাশিত হবে, তার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।

19. কেননা সমস্ত সৃষ্টি ঐকান্তিক-ভাবে প্রতীক্ষা করছে কখন আল্লাহ্‌র সন্তানেরা প্রকাশিত হবে।

20. কারণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যই বিফল হয়ে গেছে; অবশ্য স্বেচ্ছায় যে তা হয়েছে তা নয়, কিন্তু আল্লাহ্‌ই তা বিফলতার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।

21. এই প্রত্যাশায় তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যে, সৃষ্টি নিজেও যেন ক্ষয়ের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্‌র সন্তানদের মহিমার স্বাধীনতার অংশীদার হতে পারে।

22. কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্যন্ত একসঙ্গে ভীষণ প্রসব-বেদনায় আর্তনাদ করছে।

23. কেবল তা নয়; কিন্তু রূহ্‌রূপ অগ্রিমাংশ পেয়েছি যে আমরা, আমরা নিজেরাও দত্তকপুত্রতার অপেক্ষা, অর্থাৎ নিজ নিজ দেহের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে অন্তরে আর্তনাদ করছি।

24. কেননা প্রত্যাশায় আমরা নাজাত পেয়েছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যা দেখতে পায়, সে তার জন্য কেন প্রত্যাশা করবে?

25. কিন্তু আমরা যা দেখতে পাই না, যদি তার প্রত্যাশা করি, তবে ধৈর্য সহকারে তার অপেক্ষায় থাকি।

26. আর সেভাবে পাক-রূহ্‌ও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা যেভাবে মুনাজাত করা উচিত সেভাবে মুনাজাত করতে জানি না, কিন্তু পাক-রূহ্‌ নিজে অব্যক্ত আর্তনাদ দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।

27. আর আল্লাহ্‌, যিনি সকলের অন্তর অনুসন্ধান করেন, তিনি পাক-রূহের মনের কথা জানেন, কারণ তিনি পবিত্র লোকদের পক্ষে আল্লাহ্‌র ইচ্ছা অনুসারেই অনুরোধ করেন।

28. আর আমরা জানি, যারা আল্লাহ্‌কে মহব্বত করে, যারা তাঁর সঙ্কল্প অনুসারে আহ্বান পেয়েছ, তাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কাজ করছে।

29. কারণ তিনি যাদের আগে জানলেন, তাদের আপন পুত্রের প্রতিমূর্তির অনুরূপ হবার জন্য আগে নিরূপণও করলেন; যেন ইনি অনেক ভাইয়ের মধ্যে প্রথমজাত হন।

30. আর তিনি যাদেরকে আগে নির্ধারণ করলেন, তাদেরকে আহ্বানও করলেন, আর যাদেরকে আহ্বান করলেন, তাদেরকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করলেন; আর যাদেরকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করলেন, তাদেরকে মহিমান্বিতও করলেন।

ঈসা মসীহে আল্লাহ্‌র মহব্বত

31. এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কি বলবো? আল্লাহ্‌ যখন আমাদের সপক্ষ, তখন আমাদের বিপক্ষ কে?

32. যিনি নিজের পুত্রের প্রতি মমতা করলেন না, কিন্তু আমাদের সকলের জন্য তাঁকে মৃত্যুর হাতে তুলে দিলেন, তিনি কি তাঁর সঙ্গে সব কিছুই আমাদেরকে দান করবেন না?

33. আল্লাহ্‌র মনোনীতদের বিপক্ষে কে অভিযোগ করবে? আল্লাহ্‌ তো তাদেরকে ধার্মিক করেন; কে দোষী করবে?

34. মসীহ্‌ ঈসা তো মৃত্যুবরণ করলেন এবং পুনরুত্থিতও হলেন; আর তিনিই আল্লাহ্‌র ডান পাশে আছেন এবং আমাদের পক্ষে অনুরোধ করছেন।

35. মসীহের মহব্বত থেকে কে আমাদের পৃথক করবে? দুঃখ-কষ্ট বা সঙ্কট? বা নির্যাতন? বা দুর্ভিক্ষ? বা উলঙ্গতা? বা প্রাণ-সংশয়? বা তলোয়ার?

36. যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছি; আমরা জবেহ্‌ করতে নেওয়া ভেড়ার মত হলাম।”

37. কিন্তু যিনি আমাদেরকে মহব্বত করেছেন, তাঁরই দ্বারা আমরা এসব বিষয়ে বিজয়ীর চেয়েও বেশি বিজয়ী হই।

38. কেননা আমি নিশ্চয় জানি, মৃত্যু, বা জীবন, বা ফেরেশতারা, বা আধিপত্যগুলো, বা উপস্থিত বিষয়গুলো, বা ভাবী বিষয়গুলো, বা পরাক্রমগুলো,

39. বা ঊর্ধ্ব স্থান, বা গভীর স্থান, বা অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু মসীহ্‌ ঈসাতে অবস্থিত আল্লাহ্‌র মহব্বত থেকে আমাদেরকে পৃথক করতে পারবে না।