অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রোমীয় 9 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

আল্লাহ্‌র মনোনীত ইসরাইল

1. আমি মসীহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সত্যি বলছি, মিথ্যা বলছি না, আমার বিবেকও পাক-রূহের দ্বারা নিশ্চিত করছে যে,

2. আমার অন্তরে গভীর দুঃখ ও অশেষ যাতনা হচ্ছে।

3. কেননা আমার ভাইদের জন্য, যারা দৈহিক দিক দিয়ে আমার স্বজাতীয়, তাদের জন্য আমিই যেন মসীহের কাছ থেকে পৃথক হয়ে বদদোয়ার পাত্র হই, এমন কামনা করতে পারতাম।

4. কারণ তারা ইসরাইলীয়; দত্তক পুত্রের অধিকার, মহিমা, নিয়ম-কানুন, শরীয়তদান, এবাদত ও প্রতিজ্ঞাগুলো তাদেরই,

5. পূর্বপুরুষেরা তাদের এবং দৈহিক দিক দিয়ে তাদেরই মধ্য থেকে মসীহ্‌, যিনি সকল কিছুর উপরে, তিনি এসেছেন। আল্লাহ্‌ যুগে যুগে ধন্য, আমিন।

6. কিন্তু আল্লাহ্‌র কালাম যে বিফল হয়ে পড়েছে, এমন নয়; কারণ যারা ইসরাইল জাতির মধ্যে জন্মেছে, তারা সকলেই যে সত্যিকারের ইসরাইলীয় তা নয়;

7. আর ইব্রাহিমের বংশজাত বলে তারা যে সকলেই তাঁর সত্যিকারের সন্তান তাও নয়, কিন্তু “ইস্‌হাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হবে।”

8. এর অর্থ এই, যারা গুনাহ্‌-স্বভাবের সন্তান, তারা যে আল্লাহ্‌র সন্তান, এমন নয়, কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানেরাই ইব্রাহিমের বংশ বলে পরিগণিত হয়।

9. কেননা প্রতিজ্ঞায় এই কথা বলা হয়েছে— “এই ঋতুতেই আমি আসব, তখন সারার একটি পুত্র হবে।”

10. কেবল তা নয়, কিন্তু আবার রেবেকা এক ব্যক্তি হতে— আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্‌হাক হতে গর্ভবতী হলে পর,

11. যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নি এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নি, তখনও যেন আল্লাহ্‌র নির্বাচনের উদ্দেশ্য চলতে থাকে এবং তা কর্ম হেতু নয়, কিন্তু যিনি আহ্বান করেছেন তাঁর ইচ্ছা হেতু,

12. তাঁকে বলা হয়েছিল, “জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের গোলাম হবে”

13. যেমন লেখা আছে, “আমি ইয়াকুবকে মহব্বত করেছি, কিন্তু ইস্‌কে অগ্রাহ্য করেছি।”

14. তবে আমরা কি বলবো? আল্লাহ্‌ কি অন্যায় করেছেন? তা নিশ্চয় না।

15. কারণ তিনি মূসাকে বলেন, “আমি যাকে করুণা করি, তাকে করুণা করবো; ও যার প্রতি মমতা করি, তার প্রতি মমতা করবো।”

16. অতএব এটা কোন মানুষের ইচ্ছা বা চেষ্টার ফলে হয় না, কিন্তু করুণাময় আল্লাহ্‌ থেকে হয়।

17. কেননা পাক-কিতাব ফেরাউনকে বলে, “আমি এজন্যই তোমাকে বাদশাহ্‌ করেছি, যেন তোমার মধ্য দিয়ে আমার পরাক্রম দেখাই, আর যেন সারা দুনিয়াতে আমার নাম ঘোষিত হয়।”

18. অতএব তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে করুণা করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার অন্তর কঠিন করেন।

আল্লাহ্‌র আজাব ও করুণা

19. এতে তুমি আমাকে বলবে, তবে তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাঁর ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করে?

20. হে মানুষ, বরং তুমি কে যে আল্লাহ্‌র প্রতিবাদ করছো? নির্মিত বস্তু কি নির্মাতাকে বলতে পারে, আমাকে এরকম করে কেন তৈরি করলে?

21. কিংবা কাদার উপরে কুমারের কি এমন অধিকার নেই যে, একই মাটির তাল থেকে একটি সমাদরের পাত্র, আর একটা অনাদরের পাত্র গড়তে পারে?

22. আর তাতেই বা কি— যদি আল্লাহ্‌ তাঁর গজব দেখাবার ও তাঁর পরাক্রম জানবার ইচ্ছা করে বিনাশের জন্য নির্দিষ্ট গজবের পাত্রদের প্রতি বিপুল সহিষ্ণুতায় ধৈর্য ধরে থাকেন?

23. তিনি এজন্য তা করে থাকেন যেন সেই করুণার পাত্রদেরকে তাঁর মহিমা-ধন জানিয়ে দিতে পারেন, যাদেরকে মহিমার জন্য আগে প্রস্তুত করেছেন,

24. আর যাদেরকে আহ্বান করেছেন, কেবল ইহুদীদের মধ্য থেকে নয়, অ-ইহুদীদের মধ্য থেকে আমাদেরকেই করেছেন।

25. যেমন তিনি হোসিয়ার কিতাবে বলেন, “যারা আমার লোক নয়, তাদেরকে আমি নিজের লোক বলে ডাকব এবং যে প্রিয়তমা ছিল না তাকে প্রিয়তমা বলে ডাকব।

26. আর যে স্থানে তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার লোক নও,’ সেই স্থানে তাদেরকে বলা হবে ‘জীবন্ত আল্লাহ্‌র সন্তান’।

27. আর ইশাইয়া ইসরাইলের বিষয়ে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে বলেন, “ইসরাইলের সন্তানদের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালুকণার মতও হয়, তবুও তার অবশিষ্ট অংশই নাজাত পাবে;

28. যেহেতু প্রভু দুনিয়ার উপর তাঁর বিচার দ্রুত সাধন করবেন এবং তা সমপূর্ণভাবেই করবেন।”

29. আর যেমন ইশাইয়া আগে বলেছিলেন, “বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য কিছু বংশধর অবশিষ্ট না রাখতেন, তবে আমরা সাদুম ও আমুরার মত হতাম।”

ইসরাইলের অবিশ্বাস

30. তবে আমরা কি বলবো? অ-ইহুদীরা, যারা ধার্মিকতার জন্য কঠোরভাবে চেষ্ট করতো না, তারা ধার্মিকতা লাভ করেছে, ঈমানের মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা লাভ করেছে;

31. কিন্তু ইসরাইল ধার্মিকতার শরীয়তের জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা করেও সেই শরীয়ত পর্যন্ত পৌঁছায় নি।

32. কারণ কি? কারণ হল তারা ঈমানের মধ্য দিয়ে সেই ধার্মিকতার জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা করে নি, কিন্তু কর্ম দ্বারা কঠোরভাবে চেষ্টা করতো।

33. তারা সেই বাধাজনক পাথরে বাধা পেল; যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে একটি এমন পাথর স্থাপন করবো যাতে লোকে উচোট খায়, ও এমন একটি পাষাণ স্থাপন করবো যাতে লোকে বাধা পেয়ে পড়ে যায়। আর যে তাঁর উপরে ঈমান আনে সে লজ্জিত হবে না।”