7. কারণ জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠবে এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকমপ হবে।
8. কিন্তু এই সকলই যাতনার আরম্ভ মাত্র।
9. সেই সময়ে লোকেরা কষ্ট দেবার জন্য তোমাদেরকে ধরিয়ে দেবে ও তোমাদেরকে খুন করবে, আর আমার নামের জন্য সমস্ত জাতি তোমাদেরকে ঘৃণা করবে।
10. আর সেই সময়ে অনেকের পতন হবে, এক জন অন্য জনের সঙ্গে বেইমানী করবে, এক জন অন্য জনকে ঘৃণা করবে।
11. আর অনেক ভণ্ড নবী উঠে অনেককে ভুলাবে।
12. আর অধর্মের বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের মহব্বত শীতল হয়ে যাবে।
13. কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই নাজাত পাবে।
14. আর সমস্ত জাতির কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য বেহেশতী-রাজ্যের এই সুসমাচার সারা দুনিয়ায় তবলিগ করা যাবে; আর তখন শেষ সময় উপস্থিত হবে।
15. অতএব যখন দেখবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার বস্তু দানিয়াল নবীর দ্বারা উক্ত হয়েছে, তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, — যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক, —
16. তখন যারা এহুদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক;
17. যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নিচে না নামুক;
18. আর যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে তার কাপড় নেবার জন্য পিছনে ফিরে না আসুক।
19. হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রীদের সন্তাপ হবে!
20. আর মুনাজাত কর, যেন তোমাদের পালিয়ে যাওয়া শীতকালে কিংবা বিশ্রামবারে না ঘটে।
21. কেননা সেই সময়ে এরকম “মহাক্লেশ উপস্থিত হবে, যা দুনিয়ার আরম্ভ থেকে এই পর্যন্ত কখনও হয় নি, কখনও হবেও না।”
22. আর সেই দিনের সংখ্যা যদি কমিয়ে দেওয়া না যেত, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না; কিন্তু মনোনীতদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া যাবে।
23. তখন যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই মসীহ্ এখানে, কিংবা ওখানে, তোমরা বিশ্বাস করো না।
24. কেননা ভণ্ড মসীহ্রা ও ভণ্ড নবীরা উঠবে এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরকেও ভুলাবে।