অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মথি 24 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জেরুশালেমের ধ্বংসের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

1. পরে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলেন, এমন সময়ে তাঁর সাহাবীরা তাঁকে বায়তুল-মোকাদ্দসের গাঁথনিগুলো দেখাবার জন্য কাছে আসলেন।

2. কিন্তু জবাবে তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা কি এসব দেখছো না? আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, এই স্থানের একখানি পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকবে না, সমস্তই ভূমিসাৎ হবে।

যুগের শেষের চিহ্ন

3. পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসলে সাহাবীরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, আমাদেরকে বলুন দেখি, এসব ঘটনা কখন হবে? আর আপনার আগমনের এবং যুগান্তের চিহ্ন কি?

4. জবাবে ঈসা তাঁদেরকে বললেন, দেখো, কেউ যেন তোমাদেরকে না ভুলায়।

5. কেননা অনেকে আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই মসীহ্‌, আর অনেক লোককে ভুলাবে।

6. আর তোমরা যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের জনরব শুনবে; দেখো, ব্যাকুল হয়ো না; কেননা এসব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও শেষ নয়।

7. কারণ জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠবে এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকমপ হবে।

8. কিন্তু এই সকলই যাতনার আরম্ভ মাত্র।

দুঃখভোগের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

9. সেই সময়ে লোকেরা কষ্ট দেবার জন্য তোমাদেরকে ধরিয়ে দেবে ও তোমাদেরকে খুন করবে, আর আমার নামের জন্য সমস্ত জাতি তোমাদেরকে ঘৃণা করবে।

10. আর সেই সময়ে অনেকের পতন হবে, এক জন অন্য জনের সঙ্গে বেইমানী করবে, এক জন অন্য জনকে ঘৃণা করবে।

11. আর অনেক ভণ্ড নবী উঠে অনেককে ভুলাবে।

12. আর অধর্মের বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের মহব্বত শীতল হয়ে যাবে।

13. কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই নাজাত পাবে।

14. আর সমস্ত জাতির কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য বেহেশতী-রাজ্যের এই সুসমাচার সারা দুনিয়ায় তবলিগ করা যাবে; আর তখন শেষ সময় উপস্থিত হবে।

কেয়ামতের দিনের ভীষণ কষ্ট

15. অতএব যখন দেখবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার বস্তু দানিয়াল নবীর দ্বারা উক্ত হয়েছে, তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, — যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক, —

16. তখন যারা এহুদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক;

17. যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নিচে না নামুক;

18. আর যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে তার কাপড় নেবার জন্য পিছনে ফিরে না আসুক।

19. হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রীদের সন্তাপ হবে!

20. আর মুনাজাত কর, যেন তোমাদের পালিয়ে যাওয়া শীতকালে কিংবা বিশ্রামবারে না ঘটে।

21. কেননা সেই সময়ে এরকম “মহাক্লেশ উপস্থিত হবে, যা দুনিয়ার আরম্ভ থেকে এই পর্যন্ত কখনও হয় নি, কখনও হবেও না।”

22. আর সেই দিনের সংখ্যা যদি কমিয়ে দেওয়া না যেত, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না; কিন্তু মনোনীতদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া যাবে।

23. তখন যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই মসীহ্‌ এখানে, কিংবা ওখানে, তোমরা বিশ্বাস করো না।

24. কেননা ভণ্ড মসীহ্‌রা ও ভণ্ড নবীরা উঠবে এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরকেও ভুলাবে।

25. দেখ, আমি আগেই তোমাদেরকে বললাম।

26. অতএব লোকে যদি তোমাদেরকে বলে, ‘দেখ, তিনি মরু-ভূমিতে,’ তোমরা বাইরে যেও না; ‘দেখ, তিনি ভিতরের গৃহে,’ তোমরা বিশ্বাস করো না।

27. কারণ বিদ্যুৎ যেমন পূর্বদিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত প্রকাশ পায়, তেমনি ইবনুল-ইনসানের আগমন হবে।

28. যেখানে লাশ থাকে, সেখানে শকুন জুটবে।

ঈসা মসীহের আগমন

29. আর সেই সময়ের কষ্টের পরেই সূর্য অন্ধকার হবে, চন্দ্র জ্যোৎস্না দেবে না, আসমান থেকে তারাগুলোর পতন হবে ও আসমানের পরাক্রমগুলো বিচলিত হবে।

30. আর তখন ইবনুল-ইনসানের চিহ্ন আসমানে দেখা যাবে, আর তখন দুনিয়ার সমস্ত গোষ্ঠী মাতম করবে এবং ইবনুল-ইনসানকে আসমানের মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসতে দেখবে।

31. আর তিনি মহা তূরীধ্বনি সহকারে নিজের ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করবেন; তাঁরা আসমানের এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত চার দিক থেকে তাঁর মনোনীতদেরকে একত্র করবেন।

ডুমুর গাছ থেকে শিক্ষা

32. ডুমুর গাছ থেকে দৃষ্টান্ত শিখ; যখন তার ডাল কোমল হয়ে পাতা বের করে, তখন তোমরা জানতে পার, গ্রীষ্মকাল সন্নিকট;

33. সেভাবে তোমরা ঐ সমস্ত ঘটনা দেখলেই জানবে, তিনি সন্নিকট, এমন কি, দ্বারে উপস্থিত।

34. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, এই কালের লোকদের লোপ হবে না, যে পর্যন্ত না এ সব সিদ্ধ হয়।

35. আসমানের ও দুনিয়ার লোপ হবে, কিন্তু আমার কথার লোপ কখনও হবে না।

ঈসা মসীহ্‌ কখন আসবেন

36. কিন্তু সেই দিনের ও সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেউই জানে না, বেহেশতের ফেরেশতারাও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।

37. বাস্তবিক নূহের সময়ে যেমন হয়েছিল, ইবনুল-ইনসানের আগমনও তেমনি হবে।

38. কারণ বন্যার সেই পূর্ববর্তী কালে, জাহাজে নূহের প্রবেশ দিন পর্যন্ত, লোকে যেমন ভোজন ও পান করতো,

39. বিয়ে করতো ও বিবাহিতা হত এবং বুঝতে পারল না, যতদিন না বন্যা এসে সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল; তেমনি ইবনুল-ইনসানের আগমন হবে।

40. তখন দু’জন ক্ষেতে থাকবে, এক জনকে নেওয়া যাবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে যাওয়া হবে।

41. দুই জন স্ত্রীলোক যাঁতা পিষবে, এক জনকে নেওয়া যাবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে যাওয়া হবে।

42. অতএব জেগে থাক, কেননা তোমাদের প্রভু কোন্‌ দিন আসবেন, তা তোমরা জান না।

43. কিন্তু এই কথা জেনো, চোর কোন্‌ প্রহরে আসবে তা যদি গৃহকর্তা জানতো, তবে জেগে থাকতো, নিজের বাড়িতে সিঁধ কাটতে দিত না।

44. এজন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কেননা যে সময়ে তোমরা মনে করবে না, সেই সময়েই ইবনুল-ইনসান আসবেন।

বিশ্বস্ত ও অবিশ্বস্ত গোলাম

45. এখন, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান গোলাম কে, যাকে তার মালিক নিজের পরিজনের উপরে নিযুক্ত করেছেন, যেন সে তাদেরকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্য দেয়?

46. ধন্য সেই গোলাম, যাকে তার মালিক এসে সেরকম কাজ করতে দেখবেন।

47. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তিনি তাকে তার সমস্ত কিছুর নেতা করে নিযুক্ত করবেন।

48. কিন্তু সেই দুষ্ট গোলাম যদি মনে মনে বলে, ‘আমার মালিকের আসার বিলম্ব আছে,’

49. আর যদি তার সহ-গোলামদেরকে মারতে এবং মাতাল লোকদের সঙ্গে ভোজন ও পান করতে আরম্ভ করে,

50. তবে যেদিন সে অপেক্ষা না করবে এবং যে সময় সে না জানবে, সেদিন সেই সময়েই সেই গোলামের মালিক আসবেন;

51. আর তাকে দ্বিখণ্ডিত করে ভণ্ডদের মধ্যে তার অংশ নির্ধারণ করবেন; সেই স্থানে লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।