26. আর তিনি এক ব্যক্তি থেকে মানুষের সকল জাতিকে উৎপন্ন করেছেন, যেন তারা সমস্ত ভূতলে বাস করে। তিনি তাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করে দিয়েছেন।
27. আল্লাহ্ তা করেছেন, যেন মানুষ অনুসন্ধান করতে করতে তাঁর উদ্দেশ পেয়ে যাবার আশায় তাঁর খোঁজ করে; অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে দূরে নন।
28. কেননা তাঁতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলেছেন, ‘কারণ আমরাও তাঁর সন্তান’।
29. অতএব আমরা যখন আল্লাহ্র সন্তান, তখন আল্লাহ্র স্বরূপকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে খোদাই-করা সোনার বা রূপার বা পাথরের মত জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নয়।
30. আল্লাহ্ সেই অজ্ঞানতার কাল উপেক্ষা করেছিলেন, কিন্তু এখন সমস্ত জায়গায় ও সকল মানুষকে মন পরিবর্তন করতে হুকুম দিচ্ছেন;
31. কেননা তিনি একটি দিন স্থির করেছেন, যে দিনে তাঁর নির্ধারিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ভাবে জগৎ সংসারের বিচার করবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন, ফলত মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন।
32. তখন মৃতদের পুনরুত্থানের কথা শুনে কেউ কেউ উপহাস করতে লাগল; কিন্তু আর কেউ কেউ বললো, আপনার কাছে এই বিষয় আর একবার শুনবো।
33. এভাবে পৌল তাদের মধ্য থেকে প্রস্থান করলেন।
34. কিন্তু কোন কোন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গ ধরলো ও ঈমান আনলো; তাদের মধ্যে এরিওপেগসীয় দিয়নুষিয় এবং দামারিস্ নাম্নী এক জন স্ত্রীলোক ও তাঁদের সঙ্গে আর কয়েক জন ছিলেন।