23. কেননা বেড়াবার সময়ে তোমাদের উপাস্য বস্তুগুলো দেখতে দেখতে একটি বেদী দেখতে পেলাম, যার উপরে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশে।’ অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার ভজনা করছো, তাঁকে আমি তোমাদের কাছে তবলিগ করি।
24. আল্লাহ্, যিনি দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সমস্ত বস্তু নির্মাণ করেছেন, তিনিই বেহেশতের ও দুনিয়ার প্রভু। তিনি হাতের তৈরি কোন মন্দিরে বাস করেন না।
25. তাঁর কোন কিছুর অভাব নেই, সেজন্য তিনি মানুষের হাত দ্বারা সেবিতও হন না। কেননা তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও সমস্ত কিছু দান করেন।
26. আর তিনি এক ব্যক্তি থেকে মানুষের সকল জাতিকে উৎপন্ন করেছেন, যেন তারা সমস্ত ভূতলে বাস করে। তিনি তাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করে দিয়েছেন।
27. আল্লাহ্ তা করেছেন, যেন মানুষ অনুসন্ধান করতে করতে তাঁর উদ্দেশ পেয়ে যাবার আশায় তাঁর খোঁজ করে; অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে দূরে নন।
28. কেননা তাঁতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলেছেন, ‘কারণ আমরাও তাঁর সন্তান’।
29. অতএব আমরা যখন আল্লাহ্র সন্তান, তখন আল্লাহ্র স্বরূপকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে খোদাই-করা সোনার বা রূপার বা পাথরের মত জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নয়।
30. আল্লাহ্ সেই অজ্ঞানতার কাল উপেক্ষা করেছিলেন, কিন্তু এখন সমস্ত জায়গায় ও সকল মানুষকে মন পরিবর্তন করতে হুকুম দিচ্ছেন;
31. কেননা তিনি একটি দিন স্থির করেছেন, যে দিনে তাঁর নির্ধারিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ভাবে জগৎ সংসারের বিচার করবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়েছেন, ফলত মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে উঠিয়েছেন।
32. তখন মৃতদের পুনরুত্থানের কথা শুনে কেউ কেউ উপহাস করতে লাগল; কিন্তু আর কেউ কেউ বললো, আপনার কাছে এই বিষয় আর একবার শুনবো।
33. এভাবে পৌল তাদের মধ্য থেকে প্রস্থান করলেন।