20. কারণ আপনার কতগুলো কথা আমাদের কানে অদ্ভুত শোনাচ্ছে; অতএব আমরা জানতে বাসনা করি, এসব কথার অর্থ কি।
21. (এথেন্সের সকল লোক ও সেখানকার প্রবাসী বিদেশীরা কেবল নতুন কোন কথা বলা বা শোনা ছাড়া আর কিছুতে সময় ব্যয় করতো না।)
22. তখন পৌল এরিওপেগসের মধ্যস্থলে দাঁড়িয়ে বললেন, হে এথেন্সের লোকেরা, দেখছি, তোমরা সর্ব বিষয়ে বড়ই দেবতা-ভক্ত।
23. কেননা বেড়াবার সময়ে তোমাদের উপাস্য বস্তুগুলো দেখতে দেখতে একটি বেদী দেখতে পেলাম, যার উপরে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশে।’ অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার ভজনা করছো, তাঁকে আমি তোমাদের কাছে তবলিগ করি।
24. আল্লাহ্, যিনি দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সমস্ত বস্তু নির্মাণ করেছেন, তিনিই বেহেশতের ও দুনিয়ার প্রভু। তিনি হাতের তৈরি কোন মন্দিরে বাস করেন না।
25. তাঁর কোন কিছুর অভাব নেই, সেজন্য তিনি মানুষের হাত দ্বারা সেবিতও হন না। কেননা তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও সমস্ত কিছু দান করেন।
26. আর তিনি এক ব্যক্তি থেকে মানুষের সকল জাতিকে উৎপন্ন করেছেন, যেন তারা সমস্ত ভূতলে বাস করে। তিনি তাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করে দিয়েছেন।
27. আল্লাহ্ তা করেছেন, যেন মানুষ অনুসন্ধান করতে করতে তাঁর উদ্দেশ পেয়ে যাবার আশায় তাঁর খোঁজ করে; অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে দূরে নন।
28. কেননা তাঁতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলেছেন, ‘কারণ আমরাও তাঁর সন্তান’।
29. অতএব আমরা যখন আল্লাহ্র সন্তান, তখন আল্লাহ্র স্বরূপকে মানুষের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে খোদাই-করা সোনার বা রূপার বা পাথরের মত জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নয়।