ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 17:11-27 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

11. থিষলনীকীর ইহুদীদের চেয়ে এরা ভদ্র ছিল; কেননা এরা সমপূর্ণ আগ্রহপূর্বক কালাম গ্রহণ করলো, আর এসব বাস্তবিকই এরকম কি না তা জানবার জন্য প্রতিদিন পাক-কিতাব পরীক্ষা করতে লাগল।

12. অতএব তাদের মধ্যে অনেকে এবং গ্রীকদের মধ্যেও অনেক সম্ভ্রান্ত মহিলা ও পুরুষ ঈমান আনলেন।

13. কিন্তু থিষলনীকীর ইহুদীরা যখন জানতে পারলো যে, বিরয়াতেও পৌল কর্তৃক আল্লাহ্‌র কালাম তবলিগ হয়েছে, তখন তারা সেখানেও এসে লোকদেরকে অস্থির ও উত্তেজিত করে তুলতে লাগল।

14. তখন ভাইয়েরা অবিলম্বে পৌলকে সমুদ্র পর্যন্ত নিয়ে যাবার জন্য প্রেরণ করলেন; আর সীল ও তীমথি সেখানে রইলেন।

15. আর যারা পৌলকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল, তারা তাঁকে এথেন্স পর্যন্ত নিয়ে গেল। পরে তারা পৌলের কাছ থেকে এই নির্দেশ নিয়ে প্রস্থান করলো যে, যেন সীল ও তীমথি খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।

16. পৌল যখন তাদের অপেক্ষায় এথেন্সে ছিলেন, তখন সেই নগর মূর্তিতে পরিপূর্ণ দেখে তাঁর অন্তরে তাঁর রূহ্‌ উত্তপ্ত হয়ে উঠলো।

17. অতএব তিনি মজলিস-খানায় ইহুদী ও ভক্ত লোকদের কাছে এবং বাজারে প্রতিদিন যাদের সঙ্গে দেখা হত, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতেন।

18. আবার এপিকিউরীয় ও স্টোয়িকীয় কয়েক জন দার্শনিক তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক করতে লাগল। আর কেউ কেউ বললো, এই বাচালটা কি বলতে চায়? আর কেউ কেউ বললো, ওকে বিজাতীয় দেবতাদের প্রচারক বলে মনে হয়; কারণ তিনি ঈসা ও পুনরুত্থান বিষয়ক সুসমাচার তবলিগ করতেন।

19. পরে তারা তাঁর হাত ধরে এরিওপেগসে নিয়ে গিয়ে বললো, এই যে নতুন শিক্ষা আপনি তবলিগ করছেন, তা কি রকম, আমরা কি জানতে পারি?

20. কারণ আপনার কতগুলো কথা আমাদের কানে অদ্ভুত শোনাচ্ছে; অতএব আমরা জানতে বাসনা করি, এসব কথার অর্থ কি।

21. (এথেন্সের সকল লোক ও সেখানকার প্রবাসী বিদেশীরা কেবল নতুন কোন কথা বলা বা শোনা ছাড়া আর কিছুতে সময় ব্যয় করতো না।)

22. তখন পৌল এরিওপেগসের মধ্যস্থলে দাঁড়িয়ে বললেন, হে এথেন্সের লোকেরা, দেখছি, তোমরা সর্ব বিষয়ে বড়ই দেবতা-ভক্ত।

23. কেননা বেড়াবার সময়ে তোমাদের উপাস্য বস্তুগুলো দেখতে দেখতে একটি বেদী দেখতে পেলাম, যার উপরে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশে।’ অতএব তোমরা যে অজানা দেবতার ভজনা করছো, তাঁকে আমি তোমাদের কাছে তবলিগ করি।

24. আল্লাহ্‌, যিনি দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সমস্ত বস্তু নির্মাণ করেছেন, তিনিই বেহেশতের ও দুনিয়ার প্রভু। তিনি হাতের তৈরি কোন মন্দিরে বাস করেন না।

25. তাঁর কোন কিছুর অভাব নেই, সেজন্য তিনি মানুষের হাত দ্বারা সেবিতও হন না। কেননা তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও সমস্ত কিছু দান করেন।

26. আর তিনি এক ব্যক্তি থেকে মানুষের সকল জাতিকে উৎপন্ন করেছেন, যেন তারা সমস্ত ভূতলে বাস করে। তিনি তাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করে দিয়েছেন।

27. আল্লাহ্‌ তা করেছেন, যেন মানুষ অনুসন্ধান করতে করতে তাঁর উদ্দেশ পেয়ে যাবার আশায় তাঁর খোঁজ করে; অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে দূরে নন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন প্রেরিত 17