অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রকাশিত কালাম 13 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

দুই অদ্ভুত পশুর দর্শন

1. আর আমি দেখলাম, “সমুদ্রের মধ্য থেকে একটি পশু উঠছে; তার দশটি শিং” ও সাতটি মাথা; এবং তার শিংগুলোতে দশটি রাজমুকুট এবং তার মাথাগুলোতে আল্লাহ্‌-নিন্দার কতিপয় নাম।

2. সেই যে পশুকে আমি দেখলাম, সে “চিতাবাঘের মত, আর তার পা ভল্লুকের মত এবং মুখ সিংহমুখের মত”; আর সেই নাগ নিজের পরাক্রম ও নিজের সিংহাসন ও মহৎ কর্তৃত্ব তাকে দান করলো।

3. পরে দেখলাম, তার ঐ সমস্ত মাথার মধ্যে একটা মাথা যেন মৃত্যুজনিত আঘাতে আহত হয়েছিল, আর তার সেই আঘাতের প্রতিকার করা হল; আর সারা দুনিয়া চমৎকার জ্ঞান করে সেই পশুর পিছনে চলতে লাগলো।

4. আর তারা নাগকে সেজদা করলো, কেননা সে সেই পশুকে তার কর্তৃত্ব দিয়েছিল; আর তারা সেই পশুকে সেজদা করে বললো, এই পশুর মত কে আছে? এবং এর সঙ্গে কে যুদ্ধ করতে পারে?

5. আর এমন একটি মুখ তাকে দেওয়া হল, যা অহংকার ও কুফরী করে এবং তাকে বিয়াল্লিশ মাস পর্যন্ত কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হল।

6. তাতে সে আল্লাহ্‌র কুফরী করতে মুখ খুলল, তাঁর নাম ও তাঁর বাসস্থানের এবং বেহেশতবাসী সকলের নিন্দা করতে লাগল।

7. আর পবিত্র লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ ও তাদেরকে জয় করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হল; এবং তাকে সমস্ত বংশ, লোকবৃন্দ, ভাষা ও জাতির উপরে কর্তৃত্ব দেওয়া হল।

8. তাতে দুনিয়া-নিবাসীদের সমস্ত লোক, যাদের নাম দুনিয়া সৃষ্টির সময় থেকে হত মেষশাবকের জীবন কিতাবে লেখা নেই, তারা তার এবাদত করবে।

9. যদি কারো কান থাকে, সে শুনুক।

10. যদি কেউ বন্দীত্বের পাত্র হয়,তবে সে বন্দীত্বে যাবে;যদি কেউ তলোয়ার দ্বারা হত হবার কথা থাকে,তবে তাকে তলোয়ার দ্বারা হত হতে হবে।এজন্য পবিত্র লোকদের ধৈর্য ও ঈমান থাকা প্রয়োজন।

স্থল থেকে বের হয়ে আসা পশু

11. পরে আমি আর একটি পশুকে দেখলাম, সে স্থল থেকে উঠলো এবং মেষ-শাবকের মত তার দু’টি শিং ছিল, আর সে নাগের মত কথা বলতো।

12. সে ঐ প্রথম পশুর পক্ষে তার সমস্ত কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে; এবং যে প্রথম পশুর মৃত্যুজনিত আঘাতের প্রতিকার করা হয়েছিল, দুনিয়া ও তার অধিবাসীদেরকে তার এবাদত করায়।

13. আর সে মহৎ মহৎ চিহ্ন-কাজ করে; এমন কি মানুষের সাক্ষাতে বেহেশত থেকে দুনিয়াতে আগুন নামিয়ে আনে।

14. এভাবে সেই পশুর সাক্ষাতে যেসব চিহ্ন-কাজ করার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে, তা দ্বারা সে দুনিয়া-নিবাসীদের ভুল পথে নিয়ে যায়; সে দুনিয়া-নিবাসীদেরকে বলে, ‘যে পশু তলোয়ার দ্বারা আহত হয়েও বেঁচেছিল, তার একটি মূর্তি তৈরি কর।’

15. আর তাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হল যে, সে ঐ পশুর মূর্তির মধ্যে প্রাণ-বায়ু দেয়, যেন ঐ পশুর মূর্তি কথা বলতে পারে ও এমন করতে পারে যে, যারা সেই পশুর মূর্তির এবাদত করবে না, তাদেরকে হত্যা করতে পারে।

16. আর সে ক্ষুদ্র ও মহান, ধনী ও দরিদ্র, স্বাধীন ও গোলাম, সকলকেই ডান হাতে কিংবা ললাটে চিহ্ন ধারণ করায়;

17. আর ঐ পশুর চিহ্ন অর্থাৎ নাম কিংবা নামের সংখ্যা যে কেউ ধারণ না করে, তার ক্রয় বিক্রি করার অধিকার খর্ব করে।

18. এই সব বুঝতে জ্ঞান দরকার। যে বুদ্ধিমান, সে ঐ পশুর সংখ্যা গণনা করুক; কেননা তা এক জন মানুষের সংখ্যা এবং সেই সংখ্যা ছয় শত ছেষট্টি।