অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রকাশিত কালাম 19 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বাদশাহ্‌দের বাদশাহ্‌ ঈসা মসীহের বিজয়-যাত্রা

1. এই সকলের পরে আমি যেন বেহেশতে স্থিত বিশাল জনসমাগমের মহাধ্বনি শুনলাম, তারা বলছে—হাল্লিলূয়া!নাজাত ও মহিমা ও পরাক্রম আমাদের আল্লাহ্‌রই;

2. কেননা তাঁর বিচারাজ্ঞাগুলো সত্য ও ন্যায্য;কারণ যে মহাবেশ্যা তার বেশ্যাক্রিয়া দ্বারা দুনিয়াকে ভ্রষ্ট করতো,তিনি তার বিচার করেছেন,তার হাত থেকে তাঁর গোলামদেররক্তপাতের পরিশোধ নিয়েছেন।

3. পরে তারা দ্বিতীয়বার বললো,হাল্লিলূয়া!আর যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সেই পতিতার ধোঁয়া উঠছে।

4. পরে সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চার প্রাণী ভূমিতে উবুড় হয়ে সিংহাসনে উপবিষ্ট আল্লাহ্‌র এবাদত করলেন, বললেন,আমিন। হাল্লিলূয়া!

5. পরে সেই সিংহাসন থেকে এই বাণী বের হল,হে আল্লাহ্‌র গোলামেরা,তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর,তোমরা ক্ষুদ্র বা মহান সকলে আমাদের আল্লাহ্‌রপ্রশংসা-গজল কর।

6. পরে আমি বড় লোকারণ্যের কোলাহল ও অনেক পানির কল্লোল ও প্রবল মেঘ-গর্জনের মত এই বাণী শুনলাম,হাল্লিলূয়া!কেননা আমাদের আল্লাহ্‌ প্রভু,যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করলেন।

7. এসো, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করিএবং তাঁকে গৌরব প্রদান করি,কারণ মেষশাবকের বিয়ে উপস্থিত হলএবং তাঁর ভার্যা নিজেকে প্রস্তুত করলো।

8. আর তাকে এই বর দেওয়া হল যে,সে উজ্জ্বল ও পবিত্র মসীনার কাপড়ে নিজেকে সজ্জিত করে,কারণ সেই মসীনার কাপড় পবিত্র লোকদের ধর্মময়তা।

9. পরে তিনি আমাকে বললেন, তুমি এই কথা লেখ, ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিয়ের ভোজে দাওয়াত পেয়েছে। আবার তিনি আমাকে বললেন, এসব আল্লাহ্‌র সত্য কালাম।

10. তখন আমি তাঁকে সেজ্‌দা করার জন্য তাঁর পায়ে পড়লাম। তাতে তিনি আমাকে বললেন, দেখো, এমন কাজ করো না; আমি তোমার সহগোলাম এবং তোমার যে ভাইয়েরা ঈসার সাক্ষ্য ধারণ করে, তাদেরও সহগোলাম; আল্লাহ্‌কেই সেজ্‌দা কর; কেননা ঈসার যে সাক্ষ্য, তা-ই ভবিষ্যদ্বাণীর রূহ্‌।

আল্লাহ্‌র কালাম নামে আখ্যাত

11. পরে আমি দেখলাম, বেহেশত খুলে গেল, আর দেখ, সাদা রংয়ের একটি ঘোড়া; যিনি তার উপরে বসে আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত এবং তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন।

12. তাঁর চোখ আগুনের শিখা এবং তাঁর মাথায় অনেক রাজমুকুট; এবং তাঁর একটি লেখা নাম আছে, যা তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানে না।

13. আর তিনি রক্তে ডুবানো কাপড় পরা; এবং “আল্লাহ্‌র কালাম”— এই নামে আখ্যাত।

14. আর বেহেশতের সৈন্যরা তাঁর পিছনে পিছনে যায়, তারা সাদা রংয়ের ঘোড়ায় আরোহী এবং সাদা পবিত্র মসীনার কাপড় পরা।

15. আর তাঁর মুখ থেকে একটি ধারালো তরবারি বের হয়, যেন তা দ্বারা তিনি জাতিদেরকে আঘাত করেন; আর তিনি লোহার দণ্ড দ্বারা তাদেরকে শাসন করবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র প্রচণ্ড গজবরূপ আঙ্গুরের কুণ্ড দলন করেন।

16. আর তাঁর পরিচ্ছদে ও ঊরুদেশে এই নাম লেখা আছে—“বাদশাহ্‌দের বাদশাহ্‌ ও প্রভুদের প্রভু।”

পশু ও দুনিয়ার বাদশাহ্‌দের পরাজয়

17. পরে আমি দেখলাম, এক জন ফেরেশতা সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন; আর তিনি জোরে চিৎকার করে, আসমানের মধ্যপথে যেসব পাখি উড়ে যাচ্ছে তাদের সবাইকে বললেন, এসো, আল্লাহ্‌র মহা-ভোজে জমায়েত হও,

18. যেন বাদশাহ্‌দের গোশ্‌ত, সহস্রপতিদের গোশ্‌ত, শক্তিমান লোকদের গোশ্‌ত, ঘোড়াগুলোর ও ঘোড়-সওয়ারদের গোশ্‌ত এবং স্বাধীন ও গোলাম, ক্ষুদ্র ও মহান সকল মানুষের গোশ্‌ত ভোজন কর।

19. পরে আমি দেখলাম, ঐ ঘোড়সওয়ার ব্যক্তি ও তাঁর সৈন্যের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সেই পশু ও দুনিয়ার বাদশাহ্‌রা ও তাদের সৈন্যেরা একত্র হল।

20. তাতে সেই পশু ধরা পড়লো এবং যে ভণ্ড নবী তার সাম্মুখে চিহ্ন-কাজ করে পশুর চিহ্নধারী ও তার মূর্তির এবাদতকারীদের ভ্রান্তি জন্মাত, সেও তার সঙ্গে ধরা পড়লো; তারা উভয়ে জীবন্তই জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে নিক্ষিপ্ত হল।

21. আর অবশিষ্ট সকলে সেই ঘোড়সওয়ার ব্যক্তির মুখ থেকে বের হওয়া তরবারি দ্বারা হত হল; এবং সমস্ত পাখি তাদের মাংসে তৃপ্ত হল।