31. তখন লাবন বললেন, হে মাবুদের দোয়ার পাত্র, আসুন, কেন বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন? আমি তো আপনাদের ঘর এবং উটগুলোর জন্যও স্থান প্রস্তুত করেছি।
32. তখন ঐ ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করে উটগুলোর আচ্ছাদন খুলে তিনি উটগুলোর জন্য পোয়াল ও কলাই দিলেন এবং তাঁর ও তাঁর সঙ্গী লোকদের পা ধোবার পানি দিলেন।
33. পরে তাঁর সম্মুখে খাদ্যদ্রব্য রাখা হল, কিন্তু তিনি বললেন, আমার কথা না বলে আমি আহার করবো না। লাবন বললেন, বলুন।
34. তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমি ইব্রাহিমের গোলাম;
35. মাবুদ আমার মালিককে অনেক দোয়া করেছেন, এতে তিনি ধনবান হয়েছেন এবং মাবুদ তাঁকে ছাগল-ভেড়া ও গরুর পাল এবং রূপা ও সোনা, গোলাম ও বাঁদী, উট ও গাধা দিয়েছেন।
36. আমার মালিকের স্ত্রী সারা বৃদ্ধকালে তাঁর জন্য একটি পুত্র প্রসব করেছেন, তাঁকেই তিনি তাঁর সর্বস্ব দিয়েছেন।
37. আমার মালিক আমাকে কসম করিয়ে বললেন, আমি যাদের দেশে বাস করছি, তুমি আমার পুত্রের জন্য সেই কেনানীয়দের কোন কন্যা এনো না;
38. কিন্তু আমার পিতৃকুলের ও আমার গোষ্ঠীর কাছে গিয়ে আমার পুত্রের জন্য কন্যা এনো।
39. তখন আমি মালিককে বললাম, কি জানি, কোন কন্যা আমার সঙ্গে আসবে কিনা।
40. তিনি বললেন, আমি যাঁর সাক্ষাতে গমনাগমন করি, সেই মাবুদ তোমার সঙ্গে তাঁর ফেরেশতা পাঠিয়ে তোমার যাত্রা সফল করবেন। তুমি আমার গোষ্ঠী ও আমার পিতৃকুল থেকে আমার পুত্রের জন্য কন্যা আনবে।
41. তা করলে এই কসম থেকে মুক্ত হবে; আমার গোষ্ঠীর কাছে গেলে যদি তারা কন্যা না দেয়, তবে তুমি এই কসম থেকে মুক্ত হবে।
42. আর আজ আমি ঐ কূপের কাছে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে মাবুদ, আমার মালিক ইব্রাহিমের আল্লাহ্, তুমি যদি আমার এই যাত্রা সফল করো,
43. তবে দেখ, আমি এই পানিপূর্ণ কূপের কাছে দাঁড়িয়ে আছি, অতএব পানি তুলবার জন্য আগত যে কন্যাকে আমি বলবো, আপনার কলসী থেকে আমাকে কিঞ্চিৎ পানি পান করতে দেন,