ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 4:3-22 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

3. বাল-পিয়োরের বিষয়ে মাবুদ যা করেছিলেন তা তোমরা স্বচক্ষে দেখেছ; ফলত তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ বাল-পিয়োরের অনুগামী প্রত্যেক জনকে তোমার মধ্য থেকে বিনষ্ট করেছিলেন;

4. কিন্তু তোমরা যত লোক তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের প্রতি আসক্ত ছিলে, সকলেই এখনও জীবিত আছ।

5. দেখ, আমার আল্লাহ্‌ মাবুদ আমাকে যেরকম হুকুম করেছিলেন, আমি তোমাদেরকে ঠিক সেরকম বিধি ও অনুশাসন শিক্ষা দিয়েছি, যেন তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশের মধ্যে তা পালন কর।

6. অতএব তোমরা সেসব মান্য ও পালন করো; কেননা জাতিদের সম্মুখে তা-ই তোমাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিস্বরূপ হবে; এসব বিধি শুনে তারা বলবে, সত্যিই, এই মহাজাতি জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান জাতি;

7. কেননা কোন্‌ বড় জাতির এমন নিকটবর্তী আল্লাহ্‌ আছেন, যেমন আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ? যখনই আমরা তাঁকে ডাকি, তিনি নিকটবর্তী।

8. আর আমি আজ তোমাদের সাক্ষাতে যে সমস্ত শরীয়ত দিচ্ছি, তার মত যথার্থ বিধি ও অনুশাসন কোন্‌ বড় জাতির আছে?

9. কিন্তু তুমি নিজের বিষয়ে সাবধান, তোমার প্রাণের বিষয়ে অতি সাবধান থাক; পাছে তুমি যেসব ব্যাপার স্বচক্ষে দেখেছো, তা ভুলে যাও; আর পাছে জীবন থাকতে তোমার অন্তর থেকে তা মুছে যায়; তুমি তোমার পুত্র পৌত্রদেরকে তা শিক্ষা দাও।

10. সেদিন, যেদিন তুমি হোরেবে তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের সম্মুখে দাঁড়িয়েছিলে, সেদিন মাবুদ আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে লোকদের একত্র কর, আমি আমার সমস্ত কালাম তাদের শোনাবো; তারা দুনিয়াতে যত দিন জীবিত থাকে, তত দিন যেন আমাকে ভয় করে, এই বিষয় তারা নিজেরা শিখবে এবং নিজেদের সন্তানদেরকে ও অন্যদের শেখাবে।

11. তাতে তোমরা এগিয়ে এসে পর্বতের তলে দাঁড়িয়েছিলে; আর সেই পর্বত গগনের অভ্যন্তর পর্যন্ত আগুনে জ্বলছিল, কালো মেঘে ও ঘোর অন্ধকারে ঢাকা ছিল।

12. তখন আগুনের মধ্য থেকে মাবুদ তোমাদের কাছে কথা বললেন; তোমরা তাঁর কালামের আওয়াজ শুনছিলে, কিন্তু কোন মূর্তি দেখতে পেলে না, কেবল আওয়াজ হচ্ছিল।

13. আর তিনি তাঁর যে নিয়ম পালন করতে তোমাদেরকে হুকুম করলেন, সেই নিয়ম অর্থাৎ দশটি হুকুম তোমাদেরকে মেনে চলতে হুকুম দিলেন এবং দু’টি পাথরের ফলকে লিখে দিলেন।

14. তোমরা যে দেশ অধিকার করতে পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমাদের পালনীয় বিধি ও সমস্ত অনুশাসন তোমাদেরকে শিক্ষা দিতে মাবুদ সেই সময়ে আমাকে হুকুম করলেন।

15. যেদিন মাবুদ হোরেবে আগুনের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেদিন তোমরা কোন মূর্তি দেখ নি; অতএব নিজ নিজ প্রাণের বিষয়ে অতিশয় সাবধান হও;

16. পাছে তোমরা ভ্রষ্ট হয়ে নিজেদের জন্য কোন আকারের মূর্তির মত খোদাই-করা মূর্তি তৈরি কর;

17. পাছে পুরুষ বা স্ত্রীর প্রতিকৃতি, দুনিয়ার কোন পশুর প্রতিকৃতি, আসমানে উড়ে বেড়ানো কোন পাখির প্রতিকৃতি, ভূচর কোন সরীসৃপের প্রতিকৃতি,

18. অথবা ভূমির নিচস্থ জলচর কোন জন্তুর প্রতিকৃতি তৈরি কর;

19. আর আসমানের প্রতি চোখ তুলে সূর্য, চন্দ্র ও তারা, আসমানের সমস্ত বিদ্যমান বস্তু দেখলে, তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ যাদেরকে সমস্ত আসমানের নিচে অবস্থিত সমস্ত জাতির জন্য বণ্টন করেছেন, পাছে ভ্রান্ত হয়ে তাদের কাছে সেজ্‌দা ও তাদের সেবা কর।

20. কিন্তু মাবুদ তোমাদের গ্রহণ করেছেন, লোহা গলানো হাফরের মধ্য থেকে, মিসর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, যেন তোমরা তাঁর অধীনস্থ লোক হও, যেমন আজ আছ।

21. আর তোমাদের জন্য মাবুদ আমার প্রতিও ক্রুদ্ধ হয়ে এই কসম খেয়েছেন যে, তিনি আমাকে জর্ডান পার হতে দেবেন না এবং তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাদের যে দেশ অধিকার হিসেবে দিচ্ছেন, সেই উত্তম দেশে আমাকে প্রবেশ করতে দেবেন না।

22. বাস্তবিক এই দেশেই আমাকে ইন্তেকাল করতে হবে; আমি জর্ডান পার হয়ে যেতে পারব না; কিন্তু তোমরা পার হয়ে সেই উত্তম দেশ অধিকার করবে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন দ্বিতীয় বিবরণ 4