অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66
  67. 67
  68. 68
  69. 69
  70. 70
  71. 71
  72. 72
  73. 73
  74. 74
  75. 75
  76. 76
  77. 77
  78. 78
  79. 79
  80. 80
  81. 81
  82. 82
  83. 83
  84. 84
  85. 85
  86. 86
  87. 87
  88. 88
  89. 89
  90. 90
  91. 91
  92. 92
  93. 93
  94. 94
  95. 95
  96. 96
  97. 97
  98. 98
  99. 99
  100. 100
  101. 101
  102. 102
  103. 103
  104. 104
  105. 105
  106. 106
  107. 107
  108. 108
  109. 109
  110. 110
  111. 111
  112. 112
  113. 113
  114. 114
  115. 115
  116. 116
  117. 117
  118. 118
  119. 119
  120. 120
  121. 121
  122. 122
  123. 123
  124. 124
  125. 125
  126. 126
  127. 127
  128. 128
  129. 129
  130. 130
  131. 131
  132. 132
  133. 133
  134. 134
  135. 135
  136. 136
  137. 137
  138. 138
  139. 139
  140. 140
  141. 141
  142. 142
  143. 143
  144. 144
  145. 145
  146. 146
  147. 147
  148. 148
  149. 149
  150. 150

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

জবুর শরীফ 78 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জবুর

1. হে আমার স্বজাতি, আমার উপদেশ শোন,আমার মুখের কথায় কান দাও।

2. আমি দৃষ্টান্তকথায় আমার মুখ খুলব,আমি পুরাকালের গুপ্ত বিষয়গুলো ব্যক্ত করবো;

3. সেসব আমরা শুনেছি, আর জেনেছি,আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের বলেছেন,

4. আমরা সেগুলো তাদের সন্তানদের কাছে গুপ্ত রাখবো না,পরবর্তী বংশের কাছে মাবুদের প্রশংসা বর্ণনা করবো,তাঁর পরাক্রম ও তাঁর কৃত অলৌকিক সমস্ত কাজ বর্ণনা করবো।

5. তিনি ইয়াকুবের মধ্যে সাক্ষ্য দাঁড় করিয়েছেন,ইসরাইলের মধ্যে শরীয়ত স্থাপন করেছেন;যা তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হুকুম দিয়েছিলেন,যেন তাঁরা নিজ নিজ সন্তানদের তা জানান;

6. যেন উত্তরকালীন বংশ তা জানতে পারে,এবং উঠে নিজ নিজ সন্তানদের কাছে তা বর্ণনা করতে পারে।

7. যেন তারা আল্লাহ্‌র উপরে প্রত্যাশা রাখে,এবং আল্লাহ্‌র সমস্ত কাজ ভুলে না যায়,কিন্তু তাঁর সমস্ত হুকুম পালন করে;

8. যেন তাদের পূর্বপুরুষদের মত না হয়,যারা অবাধ্য ও বিদ্রোহী বংশ ছিল;সেই বংশ নিজেদের অন্তর স্থির করে নি,তাদের রূহ্‌ আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না।

9. আফরাহীমের সন্তানেরা যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত ও তীরন্দাজ ছিল,যুদ্ধের দিনে তারা পিছু হটে গেল।

10. তারা আল্লাহ্‌র নিয়ম পালন করলো না,তাঁর শরীয়তের পথে চলতে অস্বীকার করলো।

11. তারা তাঁর সমস্ত কাজ ভুলে গেল,সেসব অলৌকিক কাজ, যা তিনি তাদেরকে দেখিয়েছিলেন।

12. তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের সাক্ষাতে নানা অলৌকিক কাজ করেছিলেন।মিসর দেশে, সোয়নের মাঠে করেছিলেন।

13. তিনি সমুদ্রকে বিভক্ত করে তাদেরকে পার করিয়েছিলেন,পানিকে স্তূপাকারে দাঁড় করিয়েছিলেন।

14. তিনি তাদেরকে পথ দেখাতেন, দিনে মেঘ দ্বারা,এবং সমস্ত রাত আগুনের আলো দ্বারা।

15. তিনি মরুভূমির মধ্যে শৈল বিদীর্ণ করলেন,তাদেরকে যেন জলধি থেকে প্রচুর পানি পান করালেন।

16. তিনি শৈল থেকে স্রোত বের করলেন,নদীর মত পানি বহালেন।

17. তখনও তারা বারে বারে তাঁর বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করলো,মরুভূমিতে সর্বশক্তিমানের বিদ্রোহী হল;

18. তারা মনে মনে আল্লাহ্‌র পরীক্ষা করলো,নিজেদের অভিলাষ পূরণ করার জন্য খাদ্য চাইল।

19. আর তারা আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে কথা বললো,বললো, আল্লাহ্‌ কি মরুভূমিতে টেবিল সাজিয়ে দিতে পারেন?

20. দেখ, তিনি শৈলকে আঘাত করলে পানির স্রোত বইল,স্রোতধারা প্রবাহিত হল;তিনি কি অন্নও দিতে পারেন?তাঁর লোকদের জন্য কি গোশ্‌ত যোগাবেন?

21. অতএব মাবুদ তা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন;ইয়াকুবের বিরুদ্ধে আগুন প্রজ্বলিত হল,ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাঁর গজব জেগে উঠল;

22. কেননা আল্লাহ্‌র উপরে তাদের ঈমান ছিল না,তাঁর উদ্ধারের শক্তিতে নির্ভর করতো না।

23. তবু তিনি উপরিস্থ মেঘমালাকে হুকুম দিলেন,আসমানের সমস্ত দরজা খুলে দিলেন।

24. তিনি খাদ্যের জন্য তাদের উপরে মান্না বর্ষণ করলেন,তাদেরকে বেহেশতের শস্য দিলেন।

25. মানুষ ফেরেশতাদের খাদ্য ভোজন করলো;তিনি তাদের তৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য পাঠালেন।

26. তিনি আসমানে পূর্বীয় বায়ু বহালেন,নিজের পরাক্রমে দখিনা বায়ু চালালেন।

27. তিনি তাদের উপরে মাংসকে ধূলিকণার মত,পাখাওয়ালা পাখিগুলো সমুদ্রের বালির মত বর্ষণ করলেন।

28. তিনি তা তাদের শিবিরের মধ্যে,তাদের আবাসগুলোর চারপাশে, পড়তে দিলেন।

29. তখন তারা ভোজন করে পরিতৃপ্ত হল;তিনি তাদের অভীষ্ট বস্তু তাদেরকে দিলেন;

30. তারা নিজেদের অভীষ্ট দ্রব্য ছাড়ে নি,তাদের খাদ্য তাদের মুখেই ছিল,

31. তখন তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র ক্রোধ উঠলো,তা তাদের হৃষ্টপুষ্টদেরকে সংহার করলো,ইসরাইলের যুবকদেরকে সংহার করলো।

32. এ সব হলেও তারা পুনর্বার গুনাহ্‌ করলো,ও তাঁর অলৌকিক কাজে বিশ্বাস করলো না।

33. অতএব তিনি তাদের আয়ু অসারতায়,তাদের সমস্ত বছর বিহ্বলতায় শেষ করলেন।

34. তিনি লোকদেরকে হত্যা করলে তারা তাঁর অনুসন্ধান করলো,ফিরে সযত্নে আল্লাহ্‌র খোঁজ করলো;

35. তাদের স্মরণ হল, আল্লাহ্‌ তাদের শৈল,সর্বশক্তিমান তাদের মুক্তিদাতা।

36. কিন্তু তারা মুখে তাঁর তোষামোদ করলো,জিহ্বাতে তাঁর কাছে মিথ্যা বললো;

37. কারণ তাদের হৃদয় তাঁর প্রতি স্থির ছিল না,তারা তাঁর নিয়মেও বিশ্বস্ত ছিল না।

38. কিন্তু তিনি স্নেহময়, তাই অপরাধ মাফ করলেন, ধ্বংস করলেন না,অনেকবার তাঁর ক্রোধ সম্বরণ করলেন,আপনার সমস্ত ক্রোধ উদ্দীপিত করলেন না।

39. তিনি স্মরণ করলেন যে, তারা মাংসমাত্র, বায়ুস্বরূপ,যা বয়ে গেলে আর ফিরে আসে না।

40. তারা মরুভূমিতে কতবার তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলো,মরুভূমিতে কতবার তাঁকে দুঃখ দিল।

41. তারা ফিরে আল্লাহ্‌র পরীক্ষা করলো,ইসরাইলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করলো।

42. তারা তাঁর ক্ষমতার কথা স্মরণ করলো না,সেই দিনকে স্মরণ করলো না, যেদিন তিনি তাদেরবিপক্ষের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।

43. তিনি মিসরে তাঁর সমস্ত চিহ্ন-কাজ,সোয়নের মাঠে তাঁর অদ্ভুত সমস্ত লক্ষণ, স্থাপন করলেন।

44. তিনি রক্তে পরিণত করলেন তাদের সমস্ত নদী, তাদের প্রবাহগুলো,তাই তারা পানি পান করতে পারল না।

45. তিনি তাদের মধ্যে গ্রাসকারী ডাঁশ মাছি,ও বিনাশকারী ভেক প্রেরণ করলেন।

46. তিনি গুটিপোকাকে তাদের ভূমির দ্রব্য,পঙ্গপালকে তাদের শ্রমফল দিলেন।

47. তিনি শিলা দ্বারা তাদের আঙ্গুরলতা,তুষারপাতে তাদের ডুমুর গাছ বিনষ্ট করলেন।

48. তিনি তাদের পশুগুলোকে শিলাতে,পালগুলোকে বজ্রের আঘাতের হাতে তুলে দিলেন।

49. তিনি তাদের বিরুদ্ধে পাঠালেনতাঁর প্রচণ্ড ক্রোধ, কোপ ও রোষ ও সঙ্কট,অমঙ্গলের এই ফেরেশতার দল।

50. তিনি নিজের ক্রোধের জন্য পথ করলেন,মৃত্যু থেকে তাদের প্রাণ রক্ষা করেন নি;কিন্তু তাদের জীবন মহামারীর হাতে দিলেন।

51. তিনি আঘাত করলেন মিসরে সমস্ত প্রথমজাতকে,হামের তাঁবুগুলোতে তাদের শক্তির প্রথম ফলকে;

52. কিন্তু তাঁর লোকদের ভেড়ার মত চালালেন,পালের মত মরুভূমি দিয়ে নিয়ে আসলেন।

53. তিনি তাদেরকে নিরাপদে নিয়ে আসলেন, তারা ভয় পেল না,কিন্তু সমুদ্র তাদের দুশমনদেরকে আচ্ছাদন করলো।

54. আর তিনি তাদেরকে আনলেন, তাঁর পবিত্র সীমায়,তাঁর ডান হাত দিয়ে জয় করা এই পর্বতে।

55. তিনি তাদের সম্মুখ থেকে জাতিদেরকে দূর করলেন,মানরজ্জু দিয়ে অধিকার ভাগ করে তাদের দিলেন,ইসরাইলের বংশদের ওদের তাঁবুতে বাস করালেন।

56. তবুও তারা সর্বশক্তিমানের পরীক্ষা করলো,তাঁর বিদ্রোহী হল, তাঁর সমস্ত নির্দেশ পালন করলো না।

57. তারা সরে গেল, তাদের পূর্বপুরুষদের মত বেঈমানী করলো;তারা বেয়াড়া ধনুকের মত বেঁকে রইল।

58. কারণ তারা নিজেদের উচ্চস্থলীগুলোর দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো,নিজেদের খোদাই-করা মূর্তিগুলো দ্বারা তাঁর অন্তর্জ্বালা জন্মাল।

59. আল্লাহ্‌ তা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন,ইসরাইলকে সমপূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করলেন।

60. তিনি শীলোস্থিত আবাস ত্যাগ করলেন,সেই তাঁবু, যা তিনি মানুষের মধ্যে স্থাপন করেছিলেন।

61. তিনি তাঁর বল বন্দীদশায়,তাঁর শোভা বিপক্ষের হাতে দিলেন।

62. তিনি তাঁর লোকদেরকে তলোয়ারের হস্তগত করলেন,তাঁর অধিকারের উপর উপর গজব নাজেল হল।

63. আগুন তাদের যুবকদেরকে গ্রাস করলো,তাদের কন্যাদের পরিণয়-সঙ্গীত হল না।

64. তাদের ইমামেরা তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়লো,তাদের বিধবারা কান্নাকাটি করলো না।

65. তখন প্রভু জাগলেন, ঘুম থেকে জেগে উঠবার মত,আঙ্গুর-রসের কারণে আনন্দে চিৎকার করা বীরের মত।

66. তিনি তাঁর বিপক্ষ লোকদেরকে মেরে ফিরিয়ে দিলেন,তাদেরকে চিরকালীন তিরস্কারের পাত্র করলেন।

67. আর তিনি ইউসুফের তাঁবু অগ্রাহ্য করলেন,আফরাহীমের বংশকে মনোনীত করলেন না;

68. কিন্তু মনোনীত করলেন এহুদার বংশকে,ও তাঁর প্রিয় সিয়োন পর্বতকে।

69. তিনি তাঁর এবাদতখানা নির্মাণ করলেন,উঁচু আসমানের মত, দুনিয়ার মত,যা তিনি চিরতরে স্থাপন করেছেন।

70. তিনি তাঁর গোলাম দাউদকে মনোনীত করলেন,তাঁকে ভেড়ার খোঁয়াড় থেকে গ্রহণ করলেন;

71. তিনি দুধ দেওয়া ভেড়ীগুলোর পিছন থেকে তাঁকে আনলেন,তাঁর লোক ইয়াকুবকে ও তাঁর অধিকার ইসরাইলকে চরাতে দিলেন।

72. আর উনি হৃদয়ের সিদ্ধতানুসারে তাদের চরালেন,তাঁর দক্ষ হাতে তাদেরকে চালালেন।