অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66
  67. 67
  68. 68
  69. 69
  70. 70
  71. 71
  72. 72
  73. 73
  74. 74
  75. 75
  76. 76
  77. 77
  78. 78
  79. 79
  80. 80
  81. 81
  82. 82
  83. 83
  84. 84
  85. 85
  86. 86
  87. 87
  88. 88
  89. 89
  90. 90
  91. 91
  92. 92
  93. 93
  94. 94
  95. 95
  96. 96
  97. 97
  98. 98
  99. 99
  100. 100
  101. 101
  102. 102
  103. 103
  104. 104
  105. 105
  106. 106
  107. 107
  108. 108
  109. 109
  110. 110
  111. 111
  112. 112
  113. 113
  114. 114
  115. 115
  116. 116
  117. 117
  118. 118
  119. 119
  120. 120
  121. 121
  122. 122
  123. 123
  124. 124
  125. 125
  126. 126
  127. 127
  128. 128
  129. 129
  130. 130
  131. 131
  132. 132
  133. 133
  134. 134
  135. 135
  136. 136
  137. 137
  138. 138
  139. 139
  140. 140
  141. 141
  142. 142
  143. 143
  144. 144
  145. 145
  146. 146
  147. 147
  148. 148
  149. 149
  150. 150

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

জবুর শরীফ 106 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জবুর

1. মাবুদের প্রশংসা হোক!মাবুদের প্রশংসা-গজল কর,কেননা তিনি মঙ্গলময়,তাঁর অটল মহব্বত অনন্তকালস্থায়ী।

2. কে মাবুদের বিক্রমের সমস্ত কাজ বর্ণনা করতে পারে?কে তাঁর সমস্ত প্রশংসা তবলিগ করতে পারে?

3. সুখী তারা, যারা ন্যায় রক্ষা করে,যারা সতত ধর্মময়তা বজায় রাখে।

4. হে মাবুদ, তোমার লোকদের প্রতি তোমার যে মমতা,সেই মমতায় আমাকে স্মরণ কর;যখন তুমি তাদের উদ্ধার কর তখন আমার তত্ত্ব নিও;

5. যেন আমি তোমার মনোনীত লোকদের মঙ্গল দেখি,যেন তোমার জাতির আনন্দে আনন্দ করি,যেন তোমার অধিকারের সঙ্গে শ্লাঘা করি।

6. পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমরা গুনাহ্‌ করেছি,আমরা অপরাধী হয়েছি, অধর্ম করেছি।

7. আমাদের পূর্বপুরুষেরা মিসরে তোমার আশ্চর্য সমস্ত কাজ বুঝল না,তোমার বহু অটল মহব্বত স্মরণ করলো না,বরং সমুদ্রতীরে, লোহিত সাগরে, সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধাচরণ করলো।

8. তবুও তিনি তাঁর নামের অনুরোধে তাদেরকে উদ্ধার করলেন,যেন তিনি তাঁর মহাশক্তির কথা জানাতে পারেন।

9. তিনি লোহিত সাগরকে ধমক দিলেন, আর তা শুকিয়ে গেল,তিনি তাদেরকে পানির মধ্য দিয়ে চালালেন,যেমন মরুভূমি দিয়ে চালায়।

10. আর তিনি বিদ্বেষীর হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করলেন,দুশমনের হাত থেকে তাদেরকে মুক্ত করলেন;

11. পানি তাদের দুশমনদেরকে আচ্ছাদন করলো,ওদের এক জনও অবশিষ্ট থাকলো না।

12. তখন তারা তাঁর কালামে বিশ্বাস করলো,তাঁর প্রশংসা গান করলো।

13. তারা ত্বরায় তাঁর সমস্ত কাজ ভুলে গেল,তাঁর মন্ত্রণার অপেক্ষায় রইলো না;

14. কিন্তু মরুভূমিতে অত্যন্ত লোভ করলো,মরুভূমিতে আল্লাহ্‌র পরীক্ষা করলো।

15. তাতে তিনি তাদের প্রার্থিত বস্তু তাদেরকে দিলেন,কিন্তু তাদের মধ্যে ধ্বংসকারী একটি ব্যাধিও পাঠালেন।

16. আরও তারা শিবিরের মধ্যে মূসার প্রতি,ও মাবুদের পবিত্র লোক হারুনের প্রতি ঈর্ষা করলো।

17. ভূমি ফেটে গিয়ে দাথনকে গ্রাস করলো,অবীরামের সঙ্গীদেরকে আচ্ছাদন করলো।

18. তাদের সঙ্গীদের মধ্যে আগুন জ্বলে উঠলো;অনল-শিখা দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে ফেললো।

19. তারা হোরেবে একটি বাছুর তৈরি করলো,ছাঁচে ঢালা মূর্তির কাছে সেজ্‌দা করলো।

20. এভাবে তৃণভোজী গরুর মূর্তির সঙ্গেতারা নিজেদের গৌরব বিনিময় করলো।

21. তারা তাদের উদ্ধারকর্তা আল্লাহ্‌কে ভুলে গেল,যিনি মিসরে বিবিধ মহৎ কাজ করেছিলেন;

22. হামের দেশে নানা অলৌকিক কাজ,লোহিত সাগরের ধারে নানা ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।

23. অতএব তিনি বললেন, ওদেরকে সংহার করতে হবে;কিন্তু তাঁর মনোনীত ব্যক্তি মূসা তাঁর সাক্ষাতে ভঙ্গস্থানে দাঁড়ালেন,তাঁর ক্রোধ ফিরাবার জন্য দাঁড়ালেন,পাছে তিনি তাদেরকে বিনাশ করেন।

24. আর তারা রমণীয় দেশ তুচ্ছ করলো,তাঁর কালামে বিশ্বাস করলো না;

25. কিন্তু নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে বচসা করলো,মাবুদের কথা মান্য করলো না।

26. অতএব তিনি তাদের বিরুদ্ধে হাত তুললেন,বললেন, আমি ওদেরকে মরুভূমিতে নিপাত করবো,

27. আমি ওদের বংশকে জাতিদের মধ্যে নিপাত করবো,ওদেরকে নানা দেশে ছিন্নভিন্ন করবো।

28. তারা বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত হল,মৃতদের উদ্দেশে করা উৎসর্গ ভোজন করলো।

29. এভাবে তারা নিজ নিজ কাজ দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো;তাই তাদের মধ্যে মহামারীর প্রাদুর্ভাব হল।

30. তখন পীনহস দাঁড়িয়ে বিচার সাধন করলেন,তাতে মহামারী নিবৃত্ত হল।

31. তাঁর পক্ষে তা ধার্মিকতা বলে গণনা করা হল,পুরুষ পরস্পরায় চিরকালের জন্য গণনা করা হল।

32. তারা মরীবার পানির কাছেও আল্লাহ্‌র ক্রোধ জন্মাল,আর তাদের জন্য মূসার বিপদ ঘটলো;

33. কেননা তারা তাঁর রূহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হল,আর উনি তাদের ওষ্ঠাধরে অবিবেচনার কথা বললেন।

34. তারা জাতিদেরকে বিনষ্ট করলো না,যা মাবুদ করতে হুকুম দিয়েছিলেন।

35. কিন্তু তারা জাতিদের সঙ্গে মিশে গেল,ওদের রীতিনীতি শিক্ষা করলো;

36. আর ওদের মূর্তিগুলোর সেবা করলো,তাতে সেগুলো তাদের ফাঁদ হয়ে উঠলো;

37. ফলে তারা নিজেদের পুত্রদের,আর নিজেদের কন্যাদেরকে বদ-রূহ্‌দের উদ্দেশে কোরবানী করলো;

38. তারা নির্দোষদের রক্তপাত,নিজ নিজ পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করলো,কেনানীয় মূর্তিগুলোর উদ্দেশে তাদেরকে কোরবানী করলো;দেশ রক্তে অশুদ্ধ হল।

39. এভাবে তারা নিজেদের কাজে নাপাক,নিজেদের কর্মতে জেনাকারী হল।

40. তাতে নিজের লোকদের উপরে মাবুদের ক্রোধ জ্বলে উঠলো,তিনি নিজের অধিকারকে ঘৃণা করলেন।

41. তিনি তাদেরকে জাতিদের হাতে তুলে দিলেন,তাতে তাদের বিদ্বেষীরা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করলো।

42. তাদের দুশমনরাও তাদের প্রতি জুলুম করলো,এবং তারা ওদের অধীনে নত হল।

43. অনেকবার তিনি তাদেরকে উদ্ধার করলেন,কিন্তু তারা নিজেদের মন্ত্রণায় বিদ্রোহী হল,ও নিজেদের অপরাধে দুর্বল হয়ে পড়লো।

44. তবুও তিনি যখন তাদের কাতরোক্তি শুনলেন,তখন তাদের সঙ্কটের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন।

45. তিনি তাদের পক্ষে তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন,নিজের অটল মহব্বতের মহত্ত্ব অনুসারে অনুশোচনা করলেন।

46. যারা তাদের বন্দী করেছিল,তাদের সকলের দৃষ্টিতে তিনি তাদেরকে করুণারপ্রাপ্ত করলেন।

47. হে মাবুদ, আমাদের আল্লাহ্‌, আমাদের উদ্ধার কর,জাতিদের মধ্য থেকে আমাদেরকে সংগ্রহ কর;যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের শুকরিয়া করি,যেন তোমার প্রশংসার জয়ধ্বনি করি।

48. মাবুদ ধন্য হোন, ইসরাইলের আল্লাহ্‌,অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত।সমস্ত লোক বলুক, আমিন।মাবুদের প্রশংসা হোক!