14. আর, যখন আমি দুষ্টকে বলি, তুমি মরবেই মরবে, তখন যদি সে তার গুনাহ্ থেকে ফিরে ন্যায় ও সঠিক কাজ করে— সেই দুষ্ট যদি বন্ধক ফিরিয়ে দেয়,
15. অপহৃত দ্রব্য পরিশোধ করে এবং অন্যায় না করে জীবনদায়ক বিধিপথে চলে— তবে অবশ্য বাঁচবে, সে মরবে না।
16. তার কৃত সমস্ত গুনাহ্ আর তার বলে স্মরণ করা হবে না; সে ন্যায় ও সঠিক কাজ করেছে, অবশ্য বাঁচবে।
17. তবুও তোমার জাতির লোকেরা বলছে, প্রভুর পথ সরল নয়; কিন্তু আসলে তাদেরই পথ অসরল।
18. ধার্মিক লোক যখন তার ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে, তখন সে তাতেই মরবে।
19. আর দুষ্ট লোক যখন তার নাফরমানী থেকে ফিরে ন্যায় ও সঠিক কাজ করে, তখন সে সেকারণেই বাঁচবে।
20. তবুও তোমরা বলেছো, প্রভুর পথ সরল নয়। হে ইসরাইল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের পথ অনুসারে তোমাদের বিচার করবো।
21. আর আমাদের নির্বাসনের বারো বছরের দশম মাসের পঞ্চম দিনে জেরুশালেম থেকে এক জন পলাতক আমার কাছে এসে বললো, নগরের পতন হয়েছে।
22. আর সেই পলাতকের আসার আগে সন্ধ্যাবেলা মাবুদ আমার উপরে হস্তার্পণ করেছিলেন এবং খুব ভোরে সেই পলাতকের উপস্থিত হবার অপেক্ষায় তিনি আমার মুখ খুলে দিলেন, তখন আমার মুখ খুলে গেল, আমি আর বোবা রইলাম না।
23. পরে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
24. হে মানুষের সন্তান, ইসরাইল-দেশে যারা সেসব উৎসন্ন স্থানে বাস করে, তারা বলছে, ইব্রাহিম মাত্র এক জন লোক ছিলেন, আর দেশের অধিকার পেয়েছিলেন; কিন্তু আমরা অনেক লোক, আমাদেরকেই দেশ অধিকার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
25. অতএব তুমি তাদেরকে বল, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা রক্তসুদ্ধ গোশ্ত ভোজন করে থাক, নিজ নিজ মূর্তিগুলোর প্রতি চোখ তুলে রক্তপাত করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?
26. তোমরা তোমাদের তলোয়ারের শক্তিতে নির্ভর করে থাক, ঘৃণার কাজ করে থাক ও প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নাপাক করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?