4. তিনি তো আল্লাহ্র ঘরে ঢুকে পবিত্র-রুটি নিয়ে খেয়েছিলেন এবং তাঁর সংগীদেরও দিয়েছিলেন। কিন্তু কেবল মাত্র ইমামেরা ছাড়া আর কারও তা খাবার নিয়ম ছিল না।”
5. শেষে ঈসা সেই ফরীশীদের বললেন, “ইব্ন্তেআদমই বিশ্রামবারের মালিক।”
6. আর এক বিশ্রামবারে ঈসা মজলিস-খানায় গিয়ে শিক্ষা দিচ্ছিলেন। সেখানে এমন একজন লোক ছিল যার ডান হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
7. আলেমেরা ও ফরীশীরা ঈসাকে দোষ দেবার একটা অজুহাত খুঁজছিলেন। তাই বিশ্রামবারে তিনি কাউকে সুস্থ করেন কি না তা দেখবার জন্য তাঁরা ঈসার উপর ভালভাবে নজর রাখতে লাগলেন।
8. ঈসা কিন্তু তাঁদের মনের চিন্তা জানতেন। সেইজন্য যার হাত শুকিয়ে গিয়েছিল তিনি সেই লোকটিকে বললেন, “উঠে সকলের সামনে এসে দাঁড়াও।” তাতে সে উঠে দাঁড়াল।
9. ঈসা আলেম ও ফরীশীদের বললেন, “আমি আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, বিশ্রামবারে ভাল কাজ করা উচিত, না খারাপ কাজ করা উচিত? প্রাণ রক্ষা করা উচিত, না নষ্ট করা উচিত?”
10. তারপর ঈসা চারপাশের সকলের দিকে তাকিয়ে লোকটিকে বললেন, “তোমার হাত বাড়িয়ে দাও।” সে তা করলে পর তার হাত একেবারে ভাল হয়ে গেল।
11. তখন সেই ধর্ম-নেতারা ভীষণ রাগ করলেন এবং ঈসাকে নিয়ে কি করা যায় তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলেন।
12. এর পরে ঈসা মুনাজাত করবার জন্য একটা পাহাড়ে গেলেন এবং সারা রাত আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করে কাটালেন।
13. সকাল হলে পর তিনি তাঁর সাহাবীদের নিজের কাছে ডাকলেন এবং তাঁদের মধ্য থেকে বারোজনকে বেছে নিয়ে তাঁদের সাহাবী-পদ দিলেন।
14. তাঁরা হলেন শিমোন, যাকে তিনি পিতর নামও দিলেন; শিমোনের ভাই আন্দ্রিয়; ইয়াকুব ও ইউহোন্না; ফিলিপ ও বর্থলময়;
15. মথি ও থোমা; আল্ফেয়ের ছেলে ইয়াকুব; শিমোন, যাঁকে মৌলবাদী বলা হয়;
16. ইয়াকুবের ছেলে এহুদা এবং এহুদা ইষ্কারিয়োৎ, যে ঈসাকে পরে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল।
17. ঈসা তাঁর সাহাবীদের সংগে নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে একটা সমান জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন। সেখানে তাঁর অনেক উম্মত জড়ো হয়েছিলেন। এছাড়া এহুদিয়া, জেরুজালেম এবং টায়ার ও সিডন নামে সাগর পারের দু’টা শহরের এলাকা থেকেও অনেক লোক সেখানে ছিল।