4. “আমি নির্দোষীকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দিয়ে গুনাহ্ করেছি।”তাঁরা বললেন, “তাতে আমাদের কি? তুমিই তা বুঝবে।”
5. তখন এহুদা সেই রূপার টাকাগুলো নিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল এবং গলায় দড়ি দিয়ে মরল।
6. প্রধান ইমামেরা সেই রূপার টাকাগুলো নিয়ে বললেন, “এই টাকা বায়তুল-মোকাদ্দসের তহবিলে রাখা ঠিক নয়, কারণ এটা রক্তের দাম।”
7. পরে তাঁরা পরামর্শ করে সেই টাকা দিয়ে বিদেশীদের একটা কবরস্থানের জন্য কুমারের জমি কিনলেন।
8. সেইজন্য সেই জমিকে আজও ‘রক্তের জমি’ বলা হয়।
9. এতে নবী ইয়ারমিয়ার মধ্য দিয়ে যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হল: “তারা ত্রিশটা রূপার টাকা নিল। এই টাকা তাঁর দাম। বনি-ইসরাইলরা তাঁর জন্য এই দাম ঠিক করেছিল।
10. মাবুদ যেমন আমাকে হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই তারা কুমারের জমির জন্য এই টাকাগুলো দিল।”
11. এদিকে ঈসা তখন প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শাসনকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহুদীদের বাদশাহ্?”ঈসা জবাব দিলেন, “আপনি ঠিকই বলছেন।”
12. প্রধান ইমামেরা এবং বৃদ্ধ নেতারা ঈসাকে অনেক দোষ দিলেন কিন্তু তিনি কোন জবাব দিলেন না।
13. তখন পীলাত ঈসাকে বললেন, “ওরা তোমাকে কত দোষ দিচ্ছে তা কি তুমি শুনতে পাচ্ছ না?”
14. ঈসা কিন্তু একটা কথারও জবাব দিলেন না। এতে সেই শাসনকর্তা খুব আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
15. প্রত্যেক উদ্ধার-ঈদের সময় প্রধান শাসনকর্তা লোকদের পছন্দ করা একজন কয়েদীকে ছেড়ে দিতেন। এটাই ছিল তাঁর নিয়ম।
16. সেই সময় বারাব্বা নামে একজন কুখ্যাত কয়েদী ছিল।
17. লোকেরা একসংগে জমায়েত হলে পর পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি চাও? তোমাদের কাছে আমি কাকে ছেড়ে দেব, বারাব্বাকে, না যাকে মসীহ্ বলে সেই ঈসাকে?”