27. তখন প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের সৈন্যেরা ঈসাকে নিয়ে তাঁর বাড়ীর ভিতরে গেল এবং সমস্ত সৈন্যদলকে ঈসার চারদিকে জড়ো করল।
28. তারা ঈসার কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে তাঁকে লাল রংয়ের পোশাক পরাল।
29. পরে তারা কাঁটা-লতা দিয়ে একটা তাজ গেঁথে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিল, আর তাঁর ডান হাতে একটা লাঠি দিল। তার পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে তাঁকে তামাশা করে বলল, “মারহাবা, ইহুদীদের বাদশাহ্!”
30. তখন তাঁর গায়ে তারা থুথু দিল এবং সেই লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় বারবার আঘাত করল।
31. তাঁকে তামাশা করবার পর তারা সেই পোশাক খুলে নিল এবং তাঁর নিজের কাপড়-চোপড় পরিয়ে তাঁকে ক্রুশের উপরে হত্যা করবার জন্য নিয়ে চলল।
32. সেখান থেকে বের হয়ে যাবার সময় সৈন্যেরা কুরীণী শহরের শিমোন নামে একজন লোকের দেখা পেল। সৈন্যেরা তাকে ঈসার ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করল।
33-34. পরে তারা ‘গল্গথা,’ অর্থাৎ ‘মাথার খুলির স্থান’ নামে একটা জায়গায় এসে ঈসাকে তেতো মিশানো সিরকা খেতে দিল। তিনি তা মুখে দিয়ে আর খেতে চাইলেন না।
35. ঈসাকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যেরা গুলিবাঁট করে তাঁর কাপড়-চোপড় নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল।
36. পরে তারা সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
37. তারা ক্রুশে ঈসার মাথার উপরের দিকে এই দোষ-নামা লাগিয়ে দিল, “এ ঈসা, ইহুদীদের বাদশাহ্।”
38. তারা দু’জন ডাকাতকেও ঈসার সংগে ক্রুশে দিল, একজনকে ডান দিকে আর অন্যজনকে বাঁ দিকে।
39. যে সব লোক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল তারা মাথা নেড়ে ঈসাকে ঠাট্টা করে বলল,
40. “তুমি না বায়তুল-মোকাদ্দস ভেংগে আবার তিন দিনের মধ্যে তৈরী করতে পার! তাহলে এখন নিজেকে রক্ষা কর। যদি তুমি ইব্নুল্লাহ্ হও তবে ক্রুশ থেকে নেমে এস।”
41. প্রধান ইমামেরা ও আলেমেরা এবং বৃদ্ধ নেতারাও তাঁকে ঠাট্টা করে বললেন,
42. “ও অন্যদের রক্ষা করত, নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। ও তো ইসরাইলের বাদশাহ্! এখন ক্রুশ থেকে ও নেমে আসুক। তাহলে আমরা ওর উপর ঈমান আনব।