24. ইব্ন্তেআদমের বিষয়ে পাক-কিতাবে যেভাবে লেখা আছে ঠিক সেইভাবে তিনি মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে ইব্ন্তেআদমকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয়! সেই মানুষের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।”
25. যে ঈসাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছিল সেই এহুদা বলল, “হুজুর, সে কি আমি?”ঈসা তাকে বললেন, “তুমি ঠিক কথাই বললে।”
26. খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় ঈসা রুটি নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন। পরে তিনি সেই রুটি টুকরা টুকরা করলেন এবং সাহাবীদের দিয়ে বললেন, “এই নাও, খাও; এ আমার শরীর।”
27. এর পরে তিনি পেয়ালা নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন ও সেটা সাহাবীদের দিয়ে বললেন, “পেয়ালার এই আংগুর-রস তোমরা সবাই খাও,
28. কারণ এ আমার রক্ত যা অনেকের গুনাহের ক্ষমার জন্য দেওয়া হবে। মানুষের জন্য আল্লাহ্র নতুন ব্যবস্থা আমার এই রক্তের দ্বারাই বহাল করা হবে।
29. আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে যতদিন আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সংগে আংগুর ফলের রস নতুন ভাবে না খাই ততদিন পর্যন্ত আমি আর তা খাব না।”
30. পরে তাঁরা একটা কাওয়ালী গেয়ে বের হয়ে জৈতুন পাহাড়ে গেলেন।
31. পরে ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “আজ রাতে আমাকে নিয়ে তোমাদের সকলের মনে বাধা আসবে। পাক-কিতাবে লেখা আছে, ‘আমি রাখালকে মেরে ফেলব, তাতে পালের মেষগুলো ছড়িয়ে পড়বে।’
32. কিন্তু আমাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হলে পর আমি তোমাদের আগেই গালীলে যাব।”
33. তখন পিতর তাঁকে বললেন, “আপনাকে নিয়ে সবার মনে বাধা আসলেও আমার মনে কখনও বাধা আসবে না।”
34. ঈসা তাঁকে বললেন, “কিন্তু আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ শেষ রাতে মোরগ ডাকবার আগেই তুমি তিন বার বলবে যে, তুমি আমাকে চেনো না।”
35. পিতর ঈসাকে বললেন, “আমাকে যদি আপনার সংগে মরতেও হয় তবুও আমি কখনও বলব না, আমি আপনাকে চিনি না।” অন্য সাহাবীরা সবাই সেই একই কথা বললেন।
36. পরে ঈসা সাহাবীদের সংগে গেৎশিমানী নামে একটা জায়গায় গেলেন এবং সাহাবীদের বললেন, “আমি ওখানে গিয়ে যতক্ষণ মুনাজাত করি ততক্ষণ তোমরা এখানে বসে থাক।”
37. এই বলে তিনি পিতর আর সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সংগে নিয়ে গেলেন। তাঁর মন দুঃখে ও কষ্টে ভরে উঠতে লাগল।