10. ঈসা এই কথা বুঝতে পেরে সাহাবীদের বললেন, “তোমরা এই স্ত্রীলোকটিকে দুঃখ দিচ্ছ কেন? সে তো আমার প্রতি ভাল কাজই করেছে।
11. গরীবেরা তো সব সময় তোমাদের মধ্যে আছে, কিন্তু আমাকে তোমরা সব সময় পাবে না।
12. সে আমার গায়ের উপর এই আতর ঢেলে দিয়ে আমাকে কবরের জন্য প্রস্তুত করেছে।
13. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, দুনিয়ার যে কোন জায়গায় সুসংবাদ তবলিগ করা হবে সেখানে এই স্ত্রীলোকটির কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য তার এই কাজের কথাও বলা হবে।”
14. তখন সেই বারোজন সাহাবীদের মধ্যে এহুদা ইষ্কারিয়োৎ নামে সাহাবীটি প্রধান ইমামদের কাছে গিয়ে বলল,
15. “ঈসাকে আপনাদের হাতে ধরিয়ে দিলে আপনারা আমাকে কি দেবেন?”প্রধান ইমামেরা ত্রিশটা রূপার টাকা গুণে তাকে দিলেন।
16. তার পর থেকেই এহুদা ঈসাকে ধরিয়ে দেবার জন্য সুযোগ খুঁজতে লাগল।
17. খামিহীন রুটির ঈদের প্রথম দিনে সাহাবীরা ঈসার কাছে এসে বললেন, “আপনার জন্য উদ্ধার-ঈদের মেজবানী আমাদের কোথায় প্রস্তুত করতে বলেন?”
18. ঈসা বললেন, “শহরের মধ্যে গিয়ে ঐ লোককে বল যে, হুজুর বলছেন, ‘আমার সময় কাছে এসে গেছে। আমার সাহাবীদের সংগে আমি তোমার বাড়ীতেই উদ্ধার-ঈদ পালন করব।’ ”
19. ঈসা সাহাবীদের যে হুকুম দিয়েছিলেন সাহাবীরা সেইভাবেই উদ্ধার-ঈদের মেজবানী প্রস্তুত করলেন।
20. পরে সন্ধ্যা হলে ঈসা সেই বারোজন সাহাবীকে নিয়ে খেতে বসলেন।
21. খাবার সময়ে তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেবে।”
22. এতে সাহাবীরা খুব দুঃখিত হয়ে একজনের পর একজন ঈসাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, “সে কি আমি, হুজুর?”
23. জবাবে তিনি তাঁদের বললেন, “যে আমার সংগে পাত্রের মধ্যে হাত দিচ্ছে সে-ই আমাকে ধরিয়ে দেবে।
24. ইব্ন্তেআদমের বিষয়ে পাক-কিতাবে যেভাবে লেখা আছে ঠিক সেইভাবে তিনি মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে ইব্ন্তেআদমকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয়! সেই মানুষের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।”
25. যে ঈসাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছিল সেই এহুদা বলল, “হুজুর, সে কি আমি?”ঈসা তাকে বললেন, “তুমি ঠিক কথাই বললে।”
26. খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় ঈসা রুটি নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন। পরে তিনি সেই রুটি টুকরা টুকরা করলেন এবং সাহাবীদের দিয়ে বললেন, “এই নাও, খাও; এ আমার শরীর।”
27. এর পরে তিনি পেয়ালা নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন ও সেটা সাহাবীদের দিয়ে বললেন, “পেয়ালার এই আংগুর-রস তোমরা সবাই খাও,