26. শৌল জেরুজালেমে এসে উম্মতদের সংগে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু তারা সবাই তাঁকে ভয় করতে লাগল। তারা বিশ্বাস করতে পারল না যে, শৌল সত্যিই একজন উম্মত হয়েছেন।
27. কিন্তু বার্নাবাস তাঁকে সংগে করে সাহাবীদের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জানালেন, দামেস্কের পথে শৌল কিভাবে হযরত ঈসাকে দেখতে পেয়েছিলেন এবং ঈসা তাঁর সংগে কিভাবে কথা বলেছিলেন, আর দামেস্কে ঈসার সম্বন্ধে তিনি কিভাবে সাহসের সংগে তবলিগ করেছিলেন।
28. এর পরে শৌল জেরুজালেমে উম্মতদের সংগে রইলেন এবং তাঁদের সংগে চলাফেরা করতেন ও প্রভুর বিষয়ে সাহসের সংগে তবলিগ করে বেড়াতেন।
29. যে ইহুদীরা গ্রীক ভাষা বলত তাদের সংগে তিনি কথা বলতেন ও তর্ক করতেন, কিন্তু এই ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করবার চেষ্টা করতে লাগল।
30. ঈমানদার ভাইয়েরা এই কথা শুনে তাঁকে সিজারিয়া শহরে নিয়ে গেলেন এবং পরে তাঁকে তার্ষ শহরে পাঠিয়ে দিলেন।
31. সেই সময় এহুদিয়া, গালীল ও সামেরিয়া প্রদেশের জামাতগুলোতে শান্তি ছিল, আর সেই জামাতগুলো গড়ে উঠছিল। ফলে প্রভুর প্রতি ভয়ে ও পাক-রূহের উৎসাহে তাদের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছিল।
32. পিতর সব জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দা গ্রামে আল্লাহ্র যে বান্দারা ছিলেন তাঁদের কাছে আসলেন।
33. সেই গ্রামে ঐনিয় বলে একজন লোক ছিল। সে অবশ রোগে আট বছর ধরে বিছানায় পড়ে ছিল।
34. পিতর তাকে দেখে বললেন, “ঐনিয়, ঈসা মসীহ্ তোমাকে ভাল করলেন। ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নাও।” আর তখনই ঐনিয় উঠে দাঁড়াল।
35. তখন লুদ্দা ও শারোণ গ্রামের সমস্ত লোক ঐনিয়কে দেখে প্রভুর দিকে ফিরল।
36. জাফা শহরে টাবিথা নামে একজন উম্মত ছিলেন। গ্রীক ভাষায় এই নামের অর্থ দর্কা। তিনি সব সময় অন্যদের উপকার করতেন ও গরীবদের সাহায্য করতেন।
37. তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিলেন, আর লোকেরা তাঁকে গোসল করিয়ে উপরের কামরায় রেখেছিল।
38. জাফা ছিল লুদ্দার কাছে; এইজন্য উম্মতেরা যখন শুনল যে, পিতর লুদ্দাতে আছেন তখন তারা দু’জন লোক তাঁর কাছে পাঠিয়ে তাঁকে এই অনুরোধ জানাল, “আপনি তাড়াতাড়ি করে আমাদের কাছে আসুন।”
39. তখন পিতর তাদের সংগে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছালে পর সেই উপরের কামরায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল। সমস্ত বিধবারা তখন পিতরের চারদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল এবং দর্কা বেঁচে থাকতে যে সব কোর্তা ও অন্যান্য কাপড়-চোপড় তৈরী করেছিলেন তা পিতরকে দেখাতে লাগল।