অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইবরানী 2 Kitabul Mukkadas (MBCL)

নাজাতের বিষয়ে সতর্ক করা

1. এইজন্য আমরা যা শুনেছি তা পালন করবার দিকে আমাদের আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেন তা থেকে আমরা দূরে সরে না যাই।

2. ফেরেশতাদের দ্বারা যে কালাম বলা হয়েছিল তার তো কোন নড়চড় হয় নি; তা ছাড়া যে কেউ আল্লাহ্‌র হুকুম অমান্য করেছে এবং তাঁর কথা শুনতে চায় নি সে তার উচিত শাস্তি পেয়েছে।

3. তাহলে নাজাতের জন্য আল্লাহ্‌ এই যে মহান ব্যবস্থা করেছেন তা যদি আমরা অবহেলা করি তবে কি করে আমরা রেহাই পাব? নাজাত পাবার কথা প্রথমে হযরত ঈসাই বলেছিলেন এবং যাঁরা তা শুনেছিলেন তাঁরা আমাদের কাছে সেই নাজাতের সত্যতা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।

4. সেই সংগে আল্লাহ্‌ও অনেক চিহ্ন এবং কুদরতি ও শক্তির কাজ দ্বারা আর নিজের ইচ্ছা অনুসারে পাক-রূহের দেওয়া দান দ্বারা সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

হযরত ঈসাই নাজাত করেন

5. ভবিষ্যতের যে দুনিয়ার কথা আমরা বলছি, আল্লাহ্‌ তা ফেরেশতাদের অধীনে রাখেন নি।

6. পাক-কিতাবের মধ্যে এক জায়গায় কোন একজন এই কথা বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন:মানুষ এমন কি যে, তুমি তার বিষয় চিন্তা কর?মানুষের সন্তানই বা কি যে, তুমি তার দিকে মনোযোগ দাও?

7. তুমি মানুষকে ফেরেশতাদের চেয়ে সামান্য নীচু করেছ।রাজতাজ হিসাবে তুমি তাকে দান করেছ গৌরব ও সম্মান,

8. আর তার পায়ের তলায় রেখেছ সব কিছু।যখন আল্লাহ্‌ সব কিছুই মানুষের অধীন করলেন তখন তিনি কোন কিছুই তা থেকে বাদ দিলেন না। অবশ্য সব কিছুই যে আমরা এখন মানুষের অধীনে দেখতে পাচ্ছি তা নয়,

9. কিন্তু ঈসাকে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাঁকে ফেরেশতাদের চেয়ে সামান্য নীচু করা হয়েছিল, যেন আল্লাহ্‌র রহমতে প্রত্যেকটি মানুষের হয়ে তিনি নিজেই মরতে পারেন। তিনি কষ্টভোগ করে মরেছিলেন বলে জয়ের মালা হিসাবে গৌরব ও সম্মান তাঁকে দান করা হয়েছে।

10. সব কিছু আল্লাহ্‌র জন্যই এবং সব কিছু তাঁরই দ্বারা হয়েছে। সেইজন্য অনেক সন্তানকে তাঁর মহিমার ভাগী করবার উদ্দেশ্যে নাজাতের ভিত্তি ঈসাকে কষ্টভোগের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করে তোলা আল্লাহ্‌র পক্ষে ঠিক কাজই হয়েছে।

11. যিনি লোকদের পবিত্র করেন সেই ঈসা নিজে এবং যাদের তিনি পবিত্র করেন সেই লোকেরা সকলেই আল্লাহ্‌র পরিবারের লোক। এইজন্য ঈসা সেই লোকদের ভাই বলে ডাকতে লজ্জা পান না।

12. পাক-কিতাবে তিনি আল্লাহ্‌কে বলছেন,“ভাইদের কাছে আমি তোমার বিষয় প্রচার করবআর সমাজের মধ্যে তোমার গুণগান করব।”

13. ঈসা আবার বলছেন, “আমি আল্লাহ্‌র উপরে ভরসা করব।” আর এক জায়গায় তিনি বলছেন, “এই দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের আল্লাহ্‌ আমাকে দিয়েছেন।”

14. সেই সন্তানেরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ। সেইজন্য ঈসা নিজেও রক্ত-মাংসের মানুষ হলেন, যাতে মৃত্যুর ক্ষমতা যার হাতে আছে সেই ইবলিসকে তিনি নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শক্তিহীন করেন,

15. আর মৃত্যুর ভয়ে যারা সারা জীবন গোলামের মত কাটিয়েছে তাদের মুক্ত করেন।

16. ঈসা ফেরেশতাদের সাহায্য করেন না, বরং ইব্রাহিমের বংশধরদেরই তিনি সাহায্য করেন।

17. সেইজন্য ঈসাকে সব দিক থেকে তাঁর ভাইদের মত হতে হল, যেন তিনি একজন দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহা-ইমাম হিসাবে আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ করতে পারেন। এর উদ্দেশ্য হল, তিনি যেন নিজের মৃত্যুর দ্বারা মানুষের গুনাহ্‌ দূর করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেন।

18. তিনি নিজেই পরীক্ষা সহ্য করে কষ্টভোগ করেছিলেন বলে যারা পরীক্ষার সামনে দাঁড়ায় তাদের তিনি সাহায্য করতে পারেন।