অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইবরানী 6 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. এইজন্য মসীহের বিষয়ে প্রথমে যে শিক্ষা পেয়েছি, এস, তা ছাড়িয়ে আমরা পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাই। নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে মন ফিরানো, আল্লাহ্‌র উপর ঈমান,

2. বিভিন্ন তরিকাবন্দীর বিষয়ে শিক্ষা, হাত-রাখা, মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা ও চিরকালের আজাব-এই সব গোড়ার কথা নিয়ে আমরা যেন আবার নতুন করে ভিত্তি না গাঁথি।

3. অবশ্য আমরা পরিপূর্ণ হয়ে উঠব ইন্‌শা-আল্লাহ্‌;

4. কারণ যারা একবার নূর দেখেছে, বেহেশতী দানের স্বাদ ও পাক-রূহের ছোঁয়া পেয়েছে,

5. আল্লাহ্‌র সুন্দর কালামের স্বাদ পেয়েছে এবং যে যুগ আসছে তার শক্তির বিষয়ে জেনেছে,

6. আর তার পরে মসীহের কাছ থেকে ফিরে গেছে, তাদের আবার নতুন করে তওবা করবার পথে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। এটা সম্ভব নয়, কারণ তারা নিজেরাই ইব্‌নুল্লাহ্‌কে আবার ক্রুশের উপরে হত্যা করছে এবং সকলের সামনে তাঁকে অসম্মান করছে।

7. যে মাটি বার বার বৃষ্টির পানি চুষে নিয়ে চাষীদের দরকারী শাক-সবজী জন্মায় সেই মাটি আল্লাহ্‌র দোয়া পায়।

8. কিন্তু যে মাটি কাঁটাঝোপ আর শিয়ালকাঁটা জন্মায় সেই মাটি অকেজো হয়ে যায় এবং তাতে বদদোয়া পড়বার ভয় থাকে। শেষে লোকে তা পুড়িয়ে ফেলে।

9. প্রিয় বন্ধুরা, যদিও আমরা এই সব কথা বলছি তবুও আমরা বিশ্বাস করি যে, তোমাদের অবস্থা ঐ রকম নয়; নাজাতের ফল তোমাদের জীবনে দেখা যাচ্ছে।

10. আল্লাহ্‌ ন্যায়বিচারক; তাই তোমাদের কাজ আর তাঁর বান্দাদের সেবা-যত্ন করে তোমরা তাঁকে যে মহব্বত দেখিয়েছ এবং দেখা"ছ, তা তিনি ভুলে যাবেন না।

11. আমরা চাই, তোমরা প্রত্যেকে যেন শেষ পর্যন্ত একই রকম আগ্রহ দেখাও। তাতে তোমরা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে যে, তোমাদের আশা পূর্ণ হবে।

12. আমরা চাই না তোমরা অলস হও; আমরা চাই, যারা ঈমান ও অটল ধৈর্যের দ্বারা আল্লাহ্‌র ওয়াদা করা দোয়ার অধিকারী হয় তোমরা তাদের মত হও।

আল্লাহ্‌র ওয়াদার নিশ্চয়তা

13. আল্লাহ্‌ যখন ইব্রাহিমের কাছে ওয়াদা করেছিলেন তখন তিনি নিজের নামেই কসম খেয়েছিলেন, কারণ তাঁর চেয়ে বড় এমন আর কেউ নেই যার নামে তিনি কসম খেতে পারেন।

14. তিনি এই বলে ওয়াদা করেছিলেন, “আমি নিশ্চয়ই তোমাকে দোয়া করব এবং তোমার বংশ বাড়াব।”

15. এইজন্য ইব্রাহিম যখন অটলভাবে ধৈর্য ধরলেন তখন আল্লাহ্‌ যা দিতে ওয়াদা করেছিলেন তা তিনি পেলেন।

16. নিজের চেয়ে যিনি মহান তাঁর নামেই মানুষ কসম খায়। তাতে সেই কসম এই নিশ্চয়তা দান করে যে, যা বলা হয়েছে তা সত্যি, আর এতে সব গোলমাল থেমে যায়।

17. আল্লাহ্‌ যা দেবার ওয়াদা করেছিলেন, যারা তা পাবে তাদের তিনি এই কসমের মধ্য দিয়ে খুব স্পষ্ট করে দেখাতে চেয়েছিলেন যে, তিনি যা ঠিক করেছেন তার আর বদল হয় না। এইজন্য তিনি কসমের দ্বারা প্রমাণ করলেন যে, তিনি যা ঠিক করেছেন তা হবেই হবে।

18. আল্লাহ্‌র ওয়াদা ও কসম কখনও বদলায় না। আল্লাহ্‌, যাঁর পক্ষে মিথ্যা বলা সম্ভব নয়, তিনিই এই ওয়াদা করে কসম খেয়েছেন, যেন আমাদের সামনে যে আশা আছে তা আঁকড়ে ধরবার জন্য দৌড়াতে গিয়ে আমরা প্রচুর উৎসাহ পাই।

19. এই আশা আমাদের জীবনে নোংগরের মত নিশ্চিত ও স্থির, আর তা মহাপবিত্র স্থানের পর্দার পিছনে, অর্থাৎ আল্লাহ্‌র সামনে গিয়ে পৌঁছায়।

20. ঈসাই আমাদের হয়ে আমাদের আগে সেই জায়গায় গেছেন। তিনি চিরকালের জন্য মাল্‌কীসিদ্দিকের মত মহা-ইমাম হয়েছেন।