13. তারা তাদের আরও কঠিন পরিশ্রম করতে বাধ্য করল।
14. ক্ষেতের অন্য সব কাজের সংগে তারা তাদের উপর চুনসুরকি আর ইটের কাজের কঠিন পরিশ্রমও চাপিয়ে দিল এবং তাদের জীবন তেতো করে তুলল। এই সব কঠিন কাজ করাতে গিয়ে মিসরীয়রা তাদের প্রতি খুব নিষ্ঠুর ব্যবহার করত।
15. এছাড়া শিফ্রা ও পূয়া নামে দু’জন ইবরানী, অর্থাৎ ইসরাইলীয় ধাত্রীকে মিসরের বাদশাহ্ বলে দিলেন,
16. “সন্তান প্রসব করবার সময় ইবরানী স্ত্রীলোকদের সাহায্য করতে গিয়ে তোমরা ভাল করে লক্ষ্য করবে তাদের সন্তানেরা ছেলে না মেয়ে; ছেলে হলে তাদের মেরে ফেলবে আর মেয়ে হলে বাঁচিয়ে রাখবে।”
17. কিন্তু সেই ধাত্রীরা আল্লাহ্কে ভয় করে চলত। তাই মিসরের বাদশাহ্র হুকুম মত কাজ না করে তারা ছেলেদেরও বাঁচিয়ে রাখতে লাগল।
18. তখন বাদশাহ্ সেই ধাত্রীদের ডাকিয়ে এনে বললেন, “কেন তোমরা এই কাজ করছ? ছেলেদের বাঁচিয়ে রাখছ কেন?”
19. জবাবে তারা ফেরাউনকে বলল, “ইবরানী স্ত্রীলোকেরা মিসরীয় স্ত্রীলোকদের মত নয়। তাদের শক্তি এত বেশী যে, ধাই তাদের কাছে পৌঁছাবার আগেই তাদের সন্তান হয়ে যায়।”
20. আল্লাহ্ সেই ধাত্রীদের রহমত দান করলেন। বনি-ইসরাইলদের লোকসংখ্যা বাড়তেই থাকল এবং তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল।
21. সেই ধাত্রীরা আল্লাহ্কে ভয় করত বলে তিনি তাদের সন্তানদের দিয়ে বংশ গড়ে তুললেন।
22. পরে ফেরাউন তাঁর প্রজাদের উপর এই হুকুম জারি করলেন, “ইবরানীদের মধ্যে কোন ছেলের জন্ম হলে তোমরা তাকে নীল নদে ফেলে দেবে, কিন্তু মেয়েদের সবাইকে বাঁচিয়ে রাখবে।”