32. আর দুনিয়া মুখ খুলে কারুনের পরিবারের সমস্ত লোক এবং সব কিছু গিলে ফেলল।
33. তাদের যা কিছু ছিল সব নিয়ে তারা জীবিত অবস্থায় কবরে চলে গেল। তারপর তাদের উপরকার সেই ফাটলটা বন্ধ হয়ে গেল। তারা বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে ধ্বংস হয়ে গেল।
34. তাদের কান্নায় চারপাশের সমস্ত বনি-ইসরাইল চিৎকার করে এই কথা বলতে বলতে ছুটে পালাল, “দুনিয়া হয়তো আমাদেরও গিলে ফেলবে।”
35. এদিকে যে দু’শো পঞ্চাশজন লোক ধূপ কোরবানী করছিল মাবুদের কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে ফেলল।
36. মাবুদ মূসাকে বললেন,
37. “তুমি ইমাম হারুনের ছেলে ইলীয়াসরকে বল যেন সে ঐ পোড়া জায়গা থেকে ধুপদানিগুলো বের করে নিয়ে কয়লাগুলো কিছু দূরে নিয়ে ছড়িয়ে দেয়, কারণ ধূপদানিগুলো পাক-পবিত্র হয়ে গেছে।
38. গুনাহ্ করবার দরুন যে সমস্ত লোককে মরতে হয়েছে ধূপদানিগুলো তাদেরই। কিন্তু সেগুলো মাবুদের সামনে উপস্থিত করা হয়েছিল বলে সেগুলো পাক-পবিত্র হয়ে গেছে। সেইজন্য তুমি সেগুলো পিটিয়ে পাত তৈরী করে তা দিয়ে কোরবানগাহ্টি মুড়িয়ে দিয়ো। এটা যেন বনি-ইসরাইলদের কাছে একটা চিহ্ন হয়ে থাকে।”
39. যে লোকদের পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল তাদের আনা ব্রোঞ্জের ধূপদানিগুলো ইমাম ইলীয়াসর জড়ো করলেন। তারপর কোরবানগাহ্টি মুড়াবার জন্য তিনি সেগুলো পিটিয়ে পাত তৈরী করালেন।
40. মূসার মধ্য দিয়ে মাবুদ তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি তা-ই করলেন। এটা করা হল যাতে বনি-ইসরাইলরা মনে রাখে যে, হারুনের বংশধর ছাড়া আর কেউ ধূপ জ্বালাবার জন্য মাবুদের সামনে যেতে পারবে না; যদি কেউ যায় তবে তার অবস্থা কারুন ও তার দলের লোকদের মতই হবে।