15. এই কথা শুনে মূসা ভীষণ রেগে গিয়ে মাবুদকে বললেন, “তুমি ওদের কোরবানী কবুল কোরো না। আমি ওদের কাছ থেকে একটা গাধা পর্যন্ত নিই নি আর ওদের কোন ক্ষতিও করি নি।”
16. তারপর মূসা কারুনকে বললেন, “কাল তোমাকে ও তোমার দলের সবাইকে মাবুদের সামনে উপস্থিত হতে হবে। তুমি ও তোমার দলের লোকদের এবং সেই সংগে হারুনকেও উপস্থিত হতে হবে।
17. প্রত্যেককে তার ধূপদানিতে ধূপ দিতে হবে; মোট দু’শো পঞ্চাশটা ধূপদানিতে ধূপ দিয়ে মাবুদের সামনে তা কোরবানী করতে হবে। তোমাকে এবং হারুনকেও ধূপদানিতে ধূপ কোরবানী করতে হবে।”
18. মূসার কথামত প্রত্যেকে নিজের নিজের ধূপদানিতে আগুন ও ধূপ নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে মূসা ও হারুনের সংগে গিয়ে দাঁড়াল।
19. কারুন যখন মূসা ও হারুনের বিরুদ্ধে সমাজের সমস্ত লোকদের জমায়েত করে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াল তখন তাদের সকলের সামনে মাবুদের মহিমা দেখা দিল।
20. মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,
21. “তোমরা অন্য সমস্ত লোক থেকে আলাদা হয়ে যাও, যাতে আমি তাদের এই মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারি।”
22. কিন্তু মূসা ও হারুন সেজদায় পড়ে বললেন, “হে আল্লাহ্, তুমি সমস্ত মানুষের জীবনদাতা। কেবল একজন মানুষ গুনাহ্ করেছে বলে কি তুমি গোটা ইসরাইলীয় সমাজের উপর তোমার গজব নাজেল করবে?”
23. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন,
24. “তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যেন তারা কারুন, দাথন আর অবীরামের তাম্বুর কাছ থেকে সরে যায়।”
25. এই কথা শুনে মূসা উঠে দাথন ও অবীরামের কাছে গেলেন আর ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতারা তাঁর পিছনে পিছনে গেলেন।
26. মূসা বনি-ইসরাইলদের বললেন, “তোমরা এই দুষ্ট লোকদের তাম্বুর কাছ থেকে সরে যাও। তাদের কোন জিনিস তোমরা ছুঁয়ো না; যদি তা কর তবে তাদের গুনাহের জন্য তোমাদেরও শেষ করে ফেলা হবে।”