1. হারুনের ছেলে নাদব ও অবীহূ তাদের আগুনের পাত্রে করে আগুন নিয়ে তার উপর ধূপ দিল। তারা মাবুদের হুকুমের বাইরে অন্য আগুনে মাবুদের উদ্দেশে ধূপ কোরবানী করল।
2. এর দরুন মাবুদের কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে দিল, আর তারা মাবুদের সামনেই মারা গেল।
3. তখন মূসা হারুনকে বললেন, “মাবুদ বলেছেন, ‘যারা আমার কাছে আসে তারা যেন আমাকে পবিত্র বলে মান্য করে। লোকদের চোখে তারা যেন আমার সম্মান তুলে ধরে।’ ” হারুন চুপ করে রইলেন।
4. পরে মূসা মীশায়েল ও ইলীষাফণকে ডেকে বললেন, “এখানে এস; পবিত্র তাম্বু-ঘরের সামনে থেকে তোমাদের ভাইয়ের ছেলেদের লাশগুলো ছাউনির বাইরে নিয়ে যাও।” মীশায়েল ও ইলীষাফণ ছিল হারুনের চাচা উষীয়েলের ছেলে।
5. মূসার হুকুমে তারা এসে নাদব ও অবীহূর লাশ দু’টা ছাউনির বাইরে নিয়ে গেল। তখনও তাদের গায়ে ইমামের আলখাল্লা ছিল।
6. মূসা তারপর হারুন ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, “দুঃখে তোমাদের চুলের বাঁধন খুলে দিয়ো না আর কাপড়ও ছিঁড়ো না। তা করলে তোমরা মারা পড়বে আর গোটা ইসরাইল জাতির উপর মাবুদ রেগে যাবেন। তবে মাবুদ যাদের আগুন দিয়ে হত্যা করেছেন তাদের জন্য তোমাদের আত্মীয়-স্বজনেরা, অর্থাৎ অন্যান্য বনি-ইসরাইলরা শোক-প্রকাশ করতে পারে।
7. তোমাদের গায়ে মাবুদের অভিষেক-তেল দেওয়া হয়েছে, কাজেই তোমরা মিলন-তাম্বুর দরজার বাইরে যাবে না, গেলে মারা পড়বে।” তাঁরা মূসার কথা মেনে নিলেন।
8. এর পর মাবুদ হারুনকে বললেন,
9. “তুমি ও তোমার ছেলেরা আংগুর-রস বা মদানো-রস খেয়ে মিলন-তাম্বুতে ঢুকো না, ঢুকলে তোমরা মারা যাবে। বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের একটা চিরস্থায়ী নিয়ম।
10. কোন্টা পাক আর কোন্টা নাপাক নয় এবং কোন্টা হালাল আর কোন্টা হারাম তা বুঝে তোমাদের চলতে হবে।