অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 10 Kitabul Mukkadas (MBCL)

নাদব ও অবীহূর মৃত্যু

1. হারুনের ছেলে নাদব ও অবীহূ তাদের আগুনের পাত্রে করে আগুন নিয়ে তার উপর ধূপ দিল। তারা মাবুদের হুকুমের বাইরে অন্য আগুনে মাবুদের উদ্দেশে ধূপ কোরবানী করল।

2. এর দরুন মাবুদের কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে দিল, আর তারা মাবুদের সামনেই মারা গেল।

3. তখন মূসা হারুনকে বললেন, “মাবুদ বলেছেন, ‘যারা আমার কাছে আসে তারা যেন আমাকে পবিত্র বলে মান্য করে। লোকদের চোখে তারা যেন আমার সম্মান তুলে ধরে।’ ” হারুন চুপ করে রইলেন।

4. পরে মূসা মীশায়েল ও ইলীষাফণকে ডেকে বললেন, “এখানে এস; পবিত্র তাম্বু-ঘরের সামনে থেকে তোমাদের ভাইয়ের ছেলেদের লাশগুলো ছাউনির বাইরে নিয়ে যাও।” মীশায়েল ও ইলীষাফণ ছিল হারুনের চাচা উষীয়েলের ছেলে।

5. মূসার হুকুমে তারা এসে নাদব ও অবীহূর লাশ দু’টা ছাউনির বাইরে নিয়ে গেল। তখনও তাদের গায়ে ইমামের আলখাল্লা ছিল।

6. মূসা তারপর হারুন ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, “দুঃখে তোমাদের চুলের বাঁধন খুলে দিয়ো না আর কাপড়ও ছিঁড়ো না। তা করলে তোমরা মারা পড়বে আর গোটা ইসরাইল জাতির উপর মাবুদ রেগে যাবেন। তবে মাবুদ যাদের আগুন দিয়ে হত্যা করেছেন তাদের জন্য তোমাদের আত্মীয়-স্বজনেরা, অর্থাৎ অন্যান্য বনি-ইসরাইলরা শোক-প্রকাশ করতে পারে।

7. তোমাদের গায়ে মাবুদের অভিষেক-তেল দেওয়া হয়েছে, কাজেই তোমরা মিলন-তাম্বুর দরজার বাইরে যাবে না, গেলে মারা পড়বে।” তাঁরা মূসার কথা মেনে নিলেন।

8. এর পর মাবুদ হারুনকে বললেন,

9. “তুমি ও তোমার ছেলেরা আংগুর-রস বা মদানো-রস খেয়ে মিলন-তাম্বুতে ঢুকো না, ঢুকলে তোমরা মারা যাবে। বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের একটা চিরস্থায়ী নিয়ম।

10. কোন্‌টা পাক আর কোন্‌টা নাপাক নয় এবং কোন্‌টা হালাল আর কোন্‌টা হারাম তা বুঝে তোমাদের চলতে হবে।

11. এছাড়া মাবুদ মূসার মধ্য দিয়ে বনি-ইসরাইলদের যে সব নিয়ম দিয়েছেন তা-ও তোমরা তাদের শিখাবে।”

12. মূসা তারপর হারুন ও তাঁর বাকী দু’জন ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, “মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর মধ্য থেকে শস্য-কোরবানীর যে অংশটা বাকী আছে তা তোমরা কোরবানগাহের পাশে নিয়ে গিয়ে খাও, কিন্তু সেটা খামি ছাড়াই খেতে হবে। এটা মহাপবিত্র জিনিস।

13. এটা তোমরা পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকায় নিয়ে খাবে। মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর এই অংশটুকু তোমার ও তোমার ছেলেদের পাওনা। এই হুকুমই আমি পেয়েছি।

14. তবে মাবুদের উদ্দেশে দুলিয়ে রাখা বুকের গোশ্‌ত এবং রান তুমি ও তোমার ছেলেমেয়েরা সবাই খেতে পারবে। এগুলো তোমরা কোন পাক-সাফ জায়গায় খাবে। বনি-ইসরাইলদের সমস্ত যোগাযোগ-কোরবানীর এই অংশটুকু তোমাকে ও তোমার ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়েছে।

15. আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জন্য যখন চর্বি আনা হবে তখন মাবুদের সামনে দোলন-কোরবানী হিসাবে দোলাবার জন্য রান ও বুকের গোশ্‌তও আনতে হবে। মাবুদের হুকুম মত এই রান ও বুকের গোশ্‌ত তোমার ও তোমার ছেলেমেয়েদের নিয়মিত পাওনা।”

16. যে ছাগলটা দিয়ে গুনাহের কোরবানী দেওয়া হয়েছিল তার গোশ্‌ত সম্বন্ধে তালাশ করে মূসা জানতে পারলেন যে, তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এতে তিনি হারুনের বাকী দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন,

17. “গুনাহের কোরবানীর গোশ্‌ত কেন তোমরা পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকার মধ্যে খেয়ে ফেল নি? এটা তো মহাপবিত্র জিনিস। মাবুদের সামনে বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্‌ ঢেকে তাদের শাস্তি থেকে মুক্ত করবার জন্যই তা তোমাদের দেওয়া হয়েছিল।

18. ঐ ছাগলের রক্ত যখন পবিত্র স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় নি তখন আমার হুকুম মত পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকার মধ্যেই তার গোশ্‌ত তোমাদের খেয়ে ফেলা উচিত ছিল।”

19. এর জবাবে হারুন মূসাকে বললেন, “আজ মাবুদের সামনে তাদের গুনাহের কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানীর দেওয়ার পরে আমার উপর এই সব ঘটনা ঘটে গেল। আজকের দিনে আমি সেই গুনাহের কোরবানীর গোশ্‌ত খেলে কি মাবুদ খুশী হতেন?”

20. জবাবটা শুনে মূসা খুশী হলেন।