7. ইস্ দেখলেন, ইয়াকুব তাঁর পিতা-মাতার কথামত পদ্দন-ইরামে চলে গেছেন।
8. এতে ইস্ বুঝলেন যে, তাঁর পিতা ইসহাক কেনানীয় স্ত্রীলোকদের উপর খুশী নন।
9. তাই দু’টি স্ত্রী থাকলেও তিনি ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইলের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর মেয়ে মহলত্কে বিয়ে করলেন। মহলৎ ছিল নাবায়ুতের বোন।
10. এদিকে ইয়াকুব বের্-শেবা ছেড়ে হারণ শহরের দিকে যাত্রা করলেন।
11. পথে এক জায়গায় বেলা ডুবে গেলে পর তিনি সেখানেই রাতটা কাটালেন। সেখানে কতগুলো পাথর পড়ে ছিল। ইয়াকুব সেগুলোর একটা মাথার নীচে দিয়ে শুয়ে পড়লেন।
12. তিনি স্বপ্নে দেখলেন মাটির উপরে একটা সিঁড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং তার মাথাটা গিয়ে বেহেশতে ঠেকেছে। তিনি দেখলেন আল্লাহ্র ফেরেশতারা তার উপর দিয়ে ওঠা-নামা করছেন,
13. আর মাবুদ তার উপরে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমি মাবুদ। আমি তোমার পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের আল্লাহ্ এবং ইসহাকেরও আল্লাহ্। তুমি যেখানে শুয়ে আছ সেই দেশ আমি তোমাকে এবং তোমার বংশের লোকদের দেব।
14. তোমার বংশের লোকেরা দুনিয়ার ধূলিকণার মত অসংখ্য হবে। পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর-দক্ষিণে তোমার বংশ ছড়িয়ে পড়বে। দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার ও তোমার বংশের মধ্য দিয়ে দোয়া পাবে।
15. আমি তোমার সংগে সংগে আছি; তুমি যেখানেই যাও না কেন আমি তোমাকে রক্ষা করব। এই দেশেই আবার আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব। আমি তোমাকে যা বলেছি তা পূর্ণ না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না।”
16. পরে ইয়াকুব ঘুম থেকে উঠে বললেন, “তাহলে মাবুদ নিশ্চয়ই এই জায়গায় আছেন অথচ আমি তা বুঝতে পারি নি।”
17. এই কথা ভেবে তাঁর মনে ভয় হল। তিনি বললেন, “কি ভয়ংকর এই জায়গা! এটা আল্লাহ্র থাকবার জায়গা ছাড়া আর কিছু নয়; বেহেশতের দরজা এখানেই।”