10. বিছানায় শুয়ে আমি এই দর্শন দেখেছিলাম। আমি তাকিয়ে দেখলাম একটা গাছ দুনিয়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে; সেটা খুবই উঁচু।
11. গাছটা বেড়ে উঠে বিরাট ও শক্তিশালী হল এবং তার মাথাটা গিয়ে আকাশ ছুঁলো; দুনিয়ার শেষ সীমা থেকেও গাছটা দেখা যাচ্ছিল।
12. তার পাতাগুলো ছিল সুন্দর ও ফল ছিল প্রচুর এবং তা থেকে সকলেই খাবার পেত। তার নীচে মাঠের পশুরা আশ্রয় পেত এবং আকাশের পাখীরা তার ডালে বাস করত; সমস্ত প্রাণীই তা থেকে খাবার পেত।
13. “বিছানায় শুয়ে সেই দর্শনের মধ্যে আমি তাকিয়ে দেখলাম যে, একজন পবিত্র পাহারাদার বেহেশত থেকে নেমে আসলেন।
14. তিনি জোর গলায় বললেন, ‘গাছটা কেটে ফেল ও তার ডালগুলো ছেঁটে ফেলে দাও; তার পাতাগুলো ঝেড়ে ফেল এবং ফলগুলো ছড়িয়ে দাও। তার তলা থেকে পশুরা ও ডালপালা থেকে পাখীরা পালিয়ে যাক,
15. কিন্তু তার গোড়া ও শিকড়গুলো লোহা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মাটিতে মাঠের ঘাসের মধ্যে থাকুক। আকাশের শিশিরে সে ভিজুক এবং দুনিয়ার গাছপালার মধ্যে পশুদের সংগে সে বাস করুক।
16. তার আর মানুষের স্বভাব না থাকুক এবং সাত বছর পর্যন্ত তাকে পশুর স্বভাব দেওয়া হোক।
17. “ ‘যে রায় দেওয়া হল তা পাহারাদারেরা, অর্থাৎ পবিত্র ফেরেশতারা ঘোষণা করছেন, যাতে জীবিত লোকেরা জানতে পারে যে, মানুষের রাজ্যগুলোর উপরে আল্লাহ্তা’লা কর্তৃত্ব করেন এবং তিনি যাকে খুশী তাকে রাজ্য দান করেন ও মানুষের মধ্যে সবচেয়ে যে নীচু তাকেই তার উপরে বসান।’
18. “এটা সেই স্বপ্ন যা আমি বাদশাহ্ বখতে-নাসার দেখেছি। এখন হে বেল্টশৎসর, তুমি বল এর অর্থ কি? আমার রাজ্যের কোন পরামর্শদাতাই এর অর্থ আমাকে বলে দিতে পারে নি; কিন্তু তুমি পারবে, কারণ তোমার মধ্যে পবিত্র এমন কিছু রয়েছে যা এই দুনিয়ার নয়।”
19. তখন দানিয়াল, অর্থাৎ বেল্টশৎসর স্বপ্নের কথা চিন্তা করে ভয় পেল এবং কিছু সময়ের জন্য হতভম্ব হয়ে রইল। এতে বাদশাহ্ বললেন, “হে বেল্টশৎসর, স্বপ্ন কিংবা তার অর্থ তোমাকে চিনি-ত না করুক।”বেল্টশৎসর জবাব দিলেন, “হে হুজুর, এই স্বপ্ন এবং তার অর্থ আপনার শত্রুদের উপর ঘটুক।