অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইশাইয়া 8 Kitabul Mukkadas (MBCL)

আশেরিয়া দেশ মাবুদের হাতিয়ার

1. মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি একটা বড় ফলক নিয়ে তার উপরে সাধারণ লোকের হাতের লেখা অনুসারে এই কথা লেখ, মহের-শালল-হাশ-বস (যার মানে ‘শীঘ্র লুট করা, তাড়াতাড়ি কেড়ে নেওয়া’)।

2. আমি ইমাম উরিয়া ও যিবেরিখিয়ের ছেলে জাকারিয়াকে আমার বিশ্বস্ত সাক্ষী হিসাবে নিযুক্ত করব।”

3. পরে আমি আমার স্ত্রী, যিনি মহিলা-নবী ছিলেন, তাঁর সংগে মিলিত হলাম আর তিনি গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন। তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখ মহের-শালল-হাস-বস।

4. ছেলেটি ‘মা’ কিংবা ‘বাবা’ বলবার আগেই দামেস্কের ধন-সম্পদ ও সামেরিয়ার লুটের মাল আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ নিয়ে যাবে।”

5. মাবুদ আবার আমাকে বললেন,

6. “এই লোকেরা শীলোহের আস্তে আস্তে বয়ে যাওয়া পানি ত্যাগ করে রৎসীন আর রমলিয়ের ছেলেকে নিয়ে আনন্দ করছে।

7. সেইজন্য দীন-দুনিয়ার মালিক ফোরাত নদীর ভীষণ বন্যার পানির মত করে সমস্ত জাঁকজমক সুদ্ধ আশেরিয়ার বাদশাহ্‌কে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই নিয়ে আসবেন। সেই পানি নদীর সব খাল ও কিনারা ছাপিয়ে বয়ে যাবে,

8. আর তা এহুদা দেশের মধ্যে বেগে এসে পড়বে এবং উথলে উঠে গলা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। হে ইম্মানূয়েল, আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ তার মেলে দেওয়া ডানা দিয়ে তোমার গোটা দেশটা ঢেকে ফেলবে।

9. “হে জাতিরা, তোমরা একত্র হও, কিন্তু তোমরা ধ্বংস হবে; হে দূরের দেশগুলো, শোন, তোমরা যুদ্ধের জন্য তৈরী হও, কিন্তু তোমরা ধ্বংস হবে; জ্বী, যুদ্ধের জন্য তৈরী হও, কিন্তু তোমরা ধ্বংস হবে।

10. তোমরা পরিকল্পনা কর, কিন্তু তা সফল হবে না; সেই পরিকল্পনার কথা তোমরা বলবে, কিন্তু তা টিকবে না, কারণ ‘আল্লাহ্‌ আমাদের সংগে আছেন।’ ”

আল্লাহ্‌কে ভয় কর

11. মাবুদ তাঁর শক্তিশালী হাত আমার উপর রেখে আমার সংগে কথা বললেন। তিনি আমাকে সতর্ক করে দিলেন যেন আমি এই লোকদের পথে না চলি। তিনি বললেন,

12. “এই লোকেরা যেগুলোকে ষড়যন্ত্র বলে তোমরা সেগুলোর কোনটাকেই ষড়যন্ত্র বোলো না। তারা যাতে ভয় পায় তোমরা তাতে ভয় পেয়ো না; তা ভয়ানক কিছু বলে মনেও কোরো না।

13. আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনকেই পবিত্র বলে মান; তাকেই ভয় কর; তাঁকেই ভয়ানক বলে মনে কর।

14. তাহলে তিনি হবেন একটা পবিত্র আশ্রয়স্থান, কিন্তু বনি-ইসরাইলদের দু’টি দেশের জন্য তিনি এমন একটা পাথর হবেন যাতে লোকে উচোট খাবে এবং যা লোকের উচোট খাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। জেরুজালেমের লোকদের জন্য তিনি হবেন একটা ফাঁদ ও একটা জাল।

15. তাদের মধ্যে অনেকে উচোট খাবে। তারা পড়ে গিয়ে ধ্বংস হবে; ফাঁদে আট্‌কে গিয়ে তারা ধরা পড়বে।”

16. তুমি এই সাক্ষ্য রক্ষা কর আর আমার সাহাবীদের মধ্যে তা সীলমোহর করে রাখ।

17. আমি মাবুদের জন্য অপেক্ষা করব, যিনি ইয়াকুব-বংশের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন; আমি তাঁর উপরেই ভরসা করব।

18. এই দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের মাবুদ আমাকে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন, যিনি সিয়োন পাহাড়ে বাস করেন আমরা তাঁরই ইচ্ছা অনুসারে চিহ্ন ও আশ্চর্য লক্ষণ হয়েছি।

19. লোকে যখন তোমাদের সেই লোকদের কাছে যেতে বলে যারা মৃত লোকদের ও ভূতদের সংগে যোগাযোগ স্থাপন করে আর ফিস্‌ফিস্‌ ও বিড়বিড় করে, তখন তোমাদের কি আল্লাহ্‌র কাছে যাওয়া উচিত নয়? যারা জীবিত আছে তাদের হয়ে কেন মৃতদের সংগে পরামর্শ করতে যাবে?

20. তোমাদের যেতে হবে আল্লাহ্‌র নির্দেশ ও সাক্ষ্যের কাছে। যদি তারা আল্লাহ্‌র কালাম অনুসারে কথা না বলে তবে বুঝতে হবে তাদের মধ্যে কোন নূর নেই।

21. কষ্ট ও খিদে নিয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। খিদের কষ্টে তারা রাগ করে উপরের দিকে তাকিয়ে তাদের বাদশাহ্‌ ও তাদের আল্লাহ্‌কে বদদোয়া দেবে।

22. তারপর তারা দুনিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখতে পাবে কেবল কষ্ট, অন্ধকার আর ভয়ানক যন্ত্রণা। ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে তাদের দূর করে দেওয়া হবে।