অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইশাইয়া 49 Kitabul Mukkadas (MBCL)

আল্লাহ্‌র গোলাম

1. ওহে দূর দেশের লোকেরা, আমার কথা শোন; দূরের জাতিরা, কান দাও। আমার জন্মের আগে মাবুদ আমাকে ডেকেছিলেন; তিনি মায়ের গর্ভ থেকে আমার নাম উল্লেখ করে আসছেন।

2. তিনি আমার মুখকে ধারালো তলোয়ারের মত করেছেন। তিনি আমাকে তাঁর হাতের ছায়ায় লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি আমাকে একটা বাছাই করা তীর করেছেন আর তাঁর তীর রাখবার খাপের মধ্যে রেখেছেন।

3. তিনি আমাকে বললেন, “হে ইসরাইল, তুমি আমার গোলাম; আমি তোমার মধ্য দিয়েই আমার গৌরব প্রকাশ করব।”

4. কিন্তু আমি বললাম, “আমার পরিশ্রম নিষ্ফল হয়েছে; আমি অসার উদ্দেশ্যে লাভ ছাড়াই আমার শক্তি ক্ষয় করেছি। তবুও আমার যা পাওনা তা মাবুদেরই হাতে রয়েছে, আর আমার পুরস্কার রয়েছে আল্লাহ্‌র কাছে।”

5. মাবুদ তাঁর গোলাম হবার জন্য আমাকে গর্ভের মধ্যে গড়েছেন যেন আমি ইয়াকুবকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি আর ইসরাইলকে তাঁর কাছে আনতে পারি। আমি মাবুদের চোখে সম্মানিত আর আমার আল্লাহ্‌ আমার শক্তি।

6. তিনি বলছেন, “কেবল ইয়াকুবের বংশকে উদ্ধার করবার জন্য আর ইসরাইলের বেঁচে থাকা বান্দাদের ফিরিয়ে আনবার জন্য যে তুমি আমার গোলাম হবে তা নয়; সেটা খুবই সামান্য ব্যাপার। এছাড়াও আমি অন্য জাতিদের কাছে তোমাকে আলোর মত করব যেন তোমার মধ্য দিয়ে সারা দুনিয়ার লোক নাজাত পায়।”

7. লোকে যাঁকে তুচ্ছ করছে ও ঘৃণার চোখে দেখছে, যিনি শাসনকর্তাদের গোলাম, তাঁকে ইসরাইলের আল্লাহ্‌ পাক ও মুক্তিদাতা মাবুদ এই কথা বলছেন, “বাদশাহ্‌রা তোমাকে দেখে উঠে দাঁড়াবে, আর রাজপুরুষেরা মাটিতে উবুড় হয়ে তোমাকে সম্মান দেখাবে, কারণ মাবুদ তোমাকে বেছে নিয়েছেন; ইসরাইলের আল্লাহ্‌ পাক বিশ্বস্ত।”

ইসরাইলের উদ্ধার

8. মাবুদ বলছেন, “রহমত দেখাবার সময়ে আমি তোমার মুনাজাতের জবাব দেব এবং উদ্ধার পাবার দিনে তোমাকে সাহায্য করব। আমি তোমাকে রক্ষা করব আর তোমার মধ্য দিয়ে লোকদের জন্য একটা ব্যবস্থা স্থাপন করব, যাতে তুমি দেশের অবস্থা ফিরাতে পার আর খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলো আবার লোকদের অধিকারে আনতে পার।

9. তুমি বন্দীদের বলবে, ‘তোমরা মুক্ত হও,’ আর যারা অন্ধকারে আছে তাদের বলবে, ‘তোমরা বের হয়ে এস।’ তারা রাস্তার ধারে আর গাছপালাহীন পাহাড়ের উপরে খাবার পাবে।

10. তাদের খিদে পাবে না, পিপাসাও পাবে না কিংবা মরুভুমির গরম বা সূর্যের তাপ তাদের আঘাত করবে না। তাদের উপর যাঁর মমতা আছে তিনিই তাদের পথ দেখাবেন আর পানির ঝর্ণার কাছে নিয়ে যাবেন।

11. আমার সব পাহাড়গুলোকে আমি রাস্তা বানাব; আমার রাজপথগুলো তৈরী করা হবে।

12. দেখ, তারা দূর থেকে আসবে; কেউ উত্তর থেকে, কেউ পশ্চিম থেকে আর কেউ সীনীম দেশ থেকে আসবে।”

13. হে আসমান, আনন্দে চিৎকার কর;হে দুনিয়া, আনন্দ কর;হে পাহাড়-পর্বত, জোরে জোরে আনন্দ-কাওয়ালী গাও;কারণ মাবুদ তাঁর বান্দাদের সান্ত্বনা দেবেনআর তাঁর অত্যাচারিত লোকদের উপর মমতা করবেন।

14. কিন্তু সিয়োন বলল, “মাবুদ আমাকে ত্যাগ করেছেন, তিনি আমাকে ভুলে গেছেন।”

15. সেইজন্য মাবুদ বলছেন, “মা কি তার দুধের শিশুকে ভুলে যেতে পারে? যে শিশুকে সে জন্ম দিয়েছে তার উপর সে কি মমতা করবে না? এমন কি, মা-ও ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি কখনও তোমাকে ভুলে যাব না।

16. দেখ, আমার হাতের তালুতে আমি তোমার নাম খোদাই করে রেখেছি; তোমার চারদিকের দেয়াল সব সময় আমার সামনে আছে।

17. তোমার ছেলেরা ফিরে আসবার জন্য তাড়াতাড়ি করছে, আর যারা তোমাকে ধ্বংস করে ফেলে রেখেছে তারা তোমার কাছ থেকে চলে যাবে।

18. তুমি চোখ তুলে চারপাশে তাকাও; দেখ, তোমার সব ছেলেরা একত্র হয়ে তোমার কাছে আসছে। আমার জীবনের কসম যে, তারা সবাই তোমার গহনার মত হবে, বিয়ের কনের গহনার মত হবে।

19. “যদিও তুমি ধ্বংস হয়েছ এবং খালি পড়ে আছ আর তোমার দেশ পোড়ো জমি হয়ে রয়েছে তবুও সময় আসছে যখন তুমি তোমার লোকদের তোমার মধ্যে জায়গা দিতে পারবে না, আর যারা তোমাকে গিলে ফেলেছিল তারা দূর হয়ে যাবে।

20. তোমার যে সন্তানদের তুমি হারিয়েছিলে তারা তোমার কাছে এসে বলবে, ‘এই জায়গা আমাদের জন্য খুব ছোট; বাস করবার জন্য আমাদের আরও জায়গা দাও।’

21. তখন তুমি মনে মনে বলবে, ‘এগুলোকে কে আমার জন্য জন্ম দিয়েছে? আমি সন্তানদের হারিয়ে বন্ধ্যার মত হয়ে গিয়েছিলাম; আমাকে যেন দূর করে দেওয়া হয়েছিল, আমি যেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাহলে কে এদের লালন-পালন করেছে? আমাকে তো একাই ফেলে রাখা হয়েছিল, কিন্তু এরা? এরা কোথা থেকে এসেছে?’ ”

22. আল্লাহ্‌ মালিক বলছেন, “দেখ, আমি হাতের ইশারায় অন্যান্য জাতিদের ডাকব আর আমার নিশান তাদের দেখাব। কাজেই তারা কোলে করে তোমার ছেলেদের নিয়ে আসবে আর কাঁধে করে তোমার মেয়েদের বহন করবে।

23. বাদশাহ্‌রা তোমার লালন-পালনকারী হবে আর তাদের রাণীরা তোমার ধাই-মা হবে। তারা মাটিতে উবুড় হয়ে তোমাকে সম্মান দেখাবে আর তোমার পায়ের ধুলা চাটবে। তখন তুমি জানতে পারবে যে, আমিই মাবুদ; যারা আমার উপর আশা রাখে তারা লজ্জিত হবে না।”

24. যোদ্ধার কাছ থেকে কি লুটের জিনিস নিয়ে নেওয়া যায়? কিংবা বিজয়ী লোকের হাত থেকে কি বন্দীকে উদ্ধার করা যায়?

25. কিন্তু মাবুদ বলছেন, “জ্বী, যোদ্ধাদের হাত থেকে বন্দীদের নিয়ে নেওয়া হবে আর ভয়ংকর লোকের হাত থেকে লুটের জিনিস উদ্ধার করা হবে। যারা তোমার সংগে ঝগড়া করবে তাদের সংগে আমিই ঝগড়া করব আর তোমার সন্তানদের আমিই রক্ষা করব।

26. তোমার উপর যারা জুলুম করে আমি তাদের গোশ্‌ত তাদেরই খাওয়াব; তারা মদের মত করে নিজেদের রক্ত খেয়ে মাতাল হবে। তখন সমস্ত মানুষ জানবে যে, আমি মাবুদই তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, ইয়াকুবের শক্তিশালী আল্লাহ্‌।”