অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইউসা 14 Kitabul Mukkadas (MBCL)

জর্ডানের পশ্চিম দিকের জায়গা-জমি

1. অন্যান্য বনি-ইসরাইলরা কেনান দেশে সম্পত্তি হিসাবে জায়গা-জমি পেল। ইমাম ইলীয়াসর, নূনের ছেলে ইউসা এবং বনি-ইসরাইলদের ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর পরিবার-কর্তারা তাদের তা ভাগ করে দিলেন।

2. মাবুদ মূসার মধ্য দিয়ে যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই মতই বনি-ইসরাইলদের সাড়ে নয় গোষ্ঠীর মধ্যে গুলিবাঁট করে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।

3. মূসা আড়াই গোষ্ঠীর সম্পত্তি জর্ডানের পূর্ব দিকে আগেই দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লেবি-গোষ্ঠীকে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে কোন সম্পত্তি দেন নি।

4. মানশা আর আফরাহীম নামে ইউসুফের দুই ছেলের মধ্য দিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল। লেবীয়রা জমির ভাগ পেল না বটে, কিন্তু তারা বাস করবার ও জিনিসপত্র রাখবার জন্য কতগুলো গ্রাম ও শহর এবং গরু-ভেড়া চরাবার জন্য আশেপাশের মাঠ পেল।

5. মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন বনি-ইসরাইলরা সেই অনুসারেই দেশটা ভাগ করে নিয়েছিল।

হযরত কালুতের ভাগে হেবরন

6. এহুদা-গোষ্ঠীর লোকেরা গিল্‌গলে ইউসার কাছে গেল এবং কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালুত তাঁকে বললেন, “মাবুদ কাদেশ-বর্ণেয়তে আল্লাহ্‌র বান্দা মূসার কাছে আমার ও আপনার সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তা আপনার জানা আছে।

7. মাবুদের গোলাম মূসা দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে আসবার জন্য যখন আমাকে কাদেশ-বর্ণেয় থেকে পাঠিয়েছিলেন তখন আমার বয়স ছিল চল্লিশ বছর। দেশটা দেখেশুনে আমি যা বুঝতে পেরেছিলাম সেই অনুসারেই আমি তাঁর কাছে খবর এনে দিয়েছিলাম,

8. কিন্তু যে ভাইয়েরা আমার সংগে গিয়েছিল তারা লোকদের নিরাশ করে তুলেছিল। তবে আমি আমার মাবুদ আল্লাহ্‌র কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলাম।

9. সেইজন্য মূসা সেই দিন আমার কাছে কসম খেয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি যে জায়গাটা ঘুরে দেখে এসেছ তা চিরকালের জন্য তোমার ও তোমার বংশধরদের সম্পত্তি হয়ে থাকবে, কারণ তুমি আমার মাবুদ আল্লাহ্‌র কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলে।’

10. “মরুভূমিতে যখন বনি-ইসরাইলরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল আর মাবুদ মূসাকে এই কথা বলেছিলেন তখন থেকে তাঁর ওয়াদা অনুসারে এই পঁয়তাল্লিশ বছর তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আর এখন আমার বয়স পঁচাশি বছর হয়েছে।

11. মূসা যেদিন আমাকে পাঠিয়েছিলেন সেই দিনের মত আজও আমি শক্তিশালী আছি; তখনকার মত এখনও আমার যুদ্ধে যাবার এবং সমস্ত কাজ করবার শক্তি আছে।

12. এই যে পাহাড়ী এলাকাটা দেবার ওয়াদা মাবুদ সেদিন আমার কাছে করেছিলেন তা আপনি আমাকে দিন। সেই সময় আপনি নিজেই শুনেছিলেন যে, অনাকীয়রা সেখানে বাস করে আর তাদের শহরগুলোও বেশ বড় বড় এবং দেয়াল-ঘেরা। কিন্তু মাবুদ আমার সংগে থাকলে তাঁর কথা অনুসারেই আমি তাদের তাড়িয়ে দেব।”

13. এই কথা শুনে ইউসা যিফুন্নির ছেলে কালুতকে দোয়া করলেন এবং সম্পত্তি হিসাবে হেবরন শহরটা তাঁকে দিলেন।

14. সেই থেকে হেবরন কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালুতের অধিকারে রয়েছে, কারণ তিনি বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কথা পুরোপুরিই মেনে চলেছিলেন।

15. অনাকীয়দের মধ্যে অর্ব নামে একজন ক্ষমতাশালী লোকের নাম অনুসারে হেবরনকে আগে কিরিয়ৎ-অর্ব বলা হত।এর পর দেশে যুদ্ধ থেমে গিয়েছিল।