অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইউসা 17 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. মানশা ইউসুফের বড় ছেলে ছিল বলে গুলিবাঁট দ্বারা তার গোষ্ঠীকেও একটা জায়গা দেওয়া হয়েছিল। মানশার বড় ছেলের নাম ছিল মাখীর। মাখীর হল গিলিয়দের পিতা। মাখীর একজন বড় যোদ্ধা ছিল বলে সে গিলিয়দ ও বাশনের অধিকার আগেই পেয়েছিল।

2. কিন্তু মানশা-গোষ্ঠীর বাকী সব বংশের লোকদের, অর্থাৎ অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম, হেফর এবং শমীদার বংশের লোকদের কেনান দেশে জায়গা-জমি দেওয়া হয়েছিল। বংশের দিক থেকে এরাই ছিল ইউসুফের ছেলে মানশার বাকী সব পুরুষ বংশধর।

3. মানশার ছেলে মাখীর, মাখীরের ছেলে গিলিয়দ, গিলিয়দের ছেলে হেফর, এবং হেফরের ছেলে সল্‌ফাদ। সল্‌ফাদের কেবল মেয়ে ছিল, ছেলে ছিল না। সেই মেয়েদের নাম হল মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্কা ও তির্সা।

4. এই মেয়েরা ইমাম ইলিয়াসর ও নূনের ছেলে ইউসা এবং নেতাদের কাছে গিয়ে বলল, “আমাদের গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে আমাদেরও সম্পত্তির একটা অংশ দেবার হুকুম মাবুদ মূসাকে দিয়েছিলেন।” এই কথা শুনে ইউসা মাবুদের হুকুম অনুসারে তাদের বাবার ভাইদের সংগে তাদেরও সম্পত্তির অধিকার দিলেন।

5. জর্ডানের পূর্ব দিকের গিলিয়দ ও বাশন ছাড়াও মানশা-গোষ্ঠীর ভাগে পড়ল আরও দশ খণ্ড জমি,

6. কারণ মানশা-গোষ্ঠীর এই মেয়েরা তাদের গোষ্ঠীর ছেলেদের সংগে সম্পত্তির অধিকার পেল; আর মানশা-গোষ্ঠীর বাকী বংশধরেরা গিলিয়দ এলাকাটা পেল।

7. মানশা-গোষ্ঠীর জায়গার সীমারেখা আশের থেকে শুরু হয়ে শিখিমের কাছে মিক্‌মথৎ পর্যন্ত গেল। তারপর সেটা দক্ষিণ দিকে গেল, যার ফলে ঐন্‌-তপূহের বাসিন্দারা মানশা-গোষ্ঠীর এলাকার মধ্যে পড়ে গেল।

8. তপূহের আশেপাশের জায়গা অবশ্য মানশা-গোষ্ঠীর ভাগে পড়েছিল কিন্তু মানশা-গোষ্ঠীর সীমারেখার সংগে লাগানো তপূহ শহরটা আফরাহীম-গোষ্ঠীর অধিকারে পড়ল।

9. তারপর সেই সীমারেখাটা দক্ষিণে কান্না শুকনা নদী পর্যন্ত নেমে গেল। আফরাহীম-গোষ্ঠীর কতগুলো শহর ও গ্রাম মানশা-গোষ্ঠীর সীমানায় পড়ে গিয়েছিল। মানশা-গোষ্ঠীর সীমারেখা সেই শুকনা নদীর উত্তর দিক দিয়ে গিয়ে শেষ হয়েছিল ভূমধ্যসাগরে।

10. শুকনা নদীর দক্ষিণে ছিল আফরাহীম-গোষ্ঠীর জায়গা আর উত্তরে ছিল মানশা-গোষ্ঠীর জায়গা। মানশা-গোষ্ঠীর পশ্চিম সীমানা ছিল ভূমধ্যসাগর, উত্তর দিকে ছিল আশের-গোষ্ঠীর সীমানা এবং পূর্ব দিকে ছিল ইষাখর-গোষ্ঠীর সীমানা।

11. ইষাখর ও আশের-গোষ্ঠীর সীমানার মধ্যেকার বৈৎ-শান, যিব্‌লিয়ম ও সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মানশা-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দোর, ঐন্‌-দোর, তানক ও মগিদ্দোর লোক সুদ্ধ এই সব শহর এবং সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মানশা-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। শেষ তিনটা শহর ও তাদের সংগেকার গ্রামগুলো ছিল পাহাড়ী এলাকায়।

12. মানশা-গোষ্ঠীর লোকেরা কিন্তু ঐ সব শহর ও গ্রাম দখল করতে পারে নি, কারণ কেনানীয়রা স্থির করেছিল যে, তারা ঐ জায়গা ছেড়ে যাবে না।

13. তবে বনি-ইসরাইলরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তারা কেনানীয়দের তাদের গোলাম হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু দেশ থেকে তাদের সবাইকে তারা তাড়িয়ে দিল না।

14. ইউসুফ-গোষ্ঠীর লোকেরা গিয়ে ইউসাকে বলল, “সম্পত্তি হিসাবে কেন আপনি আমাদের মাত্র একটা ভাগ দিয়েছেন? মাবুদের দোয়ায় আমাদের লোকসংখ্যা অনেক।”

15. জবাবে ইউসা বললেন, “লোকসংখ্যা যদি তোমাদের এতই বেশী এবং আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকাতে যদি তোমাদের না কুলায় তবে পরীষীয় ও রফায়ীয়দের দেশের বন্তজংগল কেটে ফেলে নিজেদের জন্য জমি তৈরী করে নাও।”

16. ইউসুফ-গোষ্ঠীর লোকেরা জবাবে বলল, “পাহাড়ী এলাকার জায়গায় আমাদের কুলায় না এবং যে সব কেনানীয়রা সমভূমির বৈৎ-শান ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বাস করে তাদের সকলেরই লোহার রথ আছে।”

17. ইউসা ইউসুফের বংশধরদের, অর্থাৎ আফরাহীম ও মানশা-গোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “তোমাদের লোকও বেশী, শক্তিও বেশী। তোমরা কেবল একটা ভাগ পাবে না।

18. বন্তজংগলে ভরা পাহাড়ী এলাকাটাও তোমরা পাবে। তোমাদের সেটা কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। জংগল ও তার সংগেকার সব জমিজমা তোমাদের অধিকারে থাকবে। কেনানীয়দের লোহার রথ থাকলেও এবং তারা শক্তিশালী হলেও তোমরা তাদের তাড়িয়ে দেবে।”