25. এই কথা সত্যি যে, নবী ইলিয়াসের সময়ে যখন সাড়ে তিন বছর বৃষ্টি হয় নি এবং সমস্ত দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তখন ইসরাইল দেশে অনেক বিধবা ছিল।
26. কিন্তু তাদের কারও কাছে ইলিয়াসকে পাঠানো হয় নি, কেবল সিডন এলাকার সারিফত গ্রামের বিধবা স্ত্রীলোকটির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
27. নবী আল-ইয়াসার সময়ে ইসরাইল দেশে অনেক চর্মরোগী ছিল, কিন্তু তাদের কাউকে সুস্থ করা হয় নি, কেবল সিরিয়া দেশের নামানকেই সুস্থ করা হয়েছিল।”
28. এই কথা শুনে মজলিস-খানার সমস্ত লোক রেগে আগুন হল।
29. তারা উঠে ঈসাকে গ্রামের বাইরে তাড়িয়ে নিয়ে চলল, আর তাঁকে নীচে ফেলে দেবার জন্য তাদের গ্রামটা যে পাহাড়ের গায়ে ছিল সেই পাহাড়ের চূড়ায় তাঁকে নিয়ে গেল।
30. কিন্তু তিনি সেই লোকদের মধ্য দিয়েই চলে গেলেন।
31. পরে ঈসা গালীল প্রদেশের কফরনাহূম শহরে গেলেন এবং বিশ্রামবারে লোকদের শিক্ষা দিলেন।
32. তাঁর শিক্ষায় লোকেরা আশ্চর্য হল, কারণ তিনি এমন লোকের মত কথা বলছিলেন যাঁর অধিকার আছে।
33. সেই মজলিস-খানায় এমন একটি লোক ছিল যাকে ভূতে পেয়েছিল। সে চিৎকার করে বলল,
34. “ওহে নাসরত গ্রামের ঈসা, আমাদের সংগে আপনার কি দরকার? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে; আপনিই তো আল্লাহ্র সেই পবিত্রজন।”
35. ঈসা সেই ভূতকে ধমক দিয়ে বললেন, “চুপ কর, ওর মধ্য থেকে বের হয়ে যাও।” সেই ভূত তখন লোকটিকে সকলের মাঝখানে আছড়ে ফেলল এবং তার কোন ক্ষতি না করে তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল।
36. এতে সবাই আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “এ কেমন কথা! অধিকার ও ক্ষমতা নিয়ে তিনি ভূতদের হুকুম দেন আর তারা বের হয়ে যায়!”