অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রোমীয় 3 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. তা-ই যদি হয় তবে ইহুদীদের বিশেষ কি লাভ হয়েছে? খৎনা করাবারই বা মূল্য কি?

2. সব দিকেই যথেষ্ট লাভ হয়েছে। প্রথমতঃ আল্লাহ্‌ তাঁর কালাম ইহুদীদেরই দিয়েছিলেন।

3. অবশ্য তাদের মধ্যে কিছু লোক বেঈমানী করেছে, কিন্তু তাতে কি? তারা বেঈমানী করেছে বলে কি আল্লাহ্‌ও বেঈমানী করবেন?

4. নিশ্চয় না। সব মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও আল্লাহ্‌ সব সময় সত্যবাদী। পাক-কিতাবে লেখা আছে, “কাজেই তোমার রায় ঠিক, তোমার বিচার নিখুঁত।”

5. কিন্তু আমাদের অন্যায় কাজ থেকে আরও স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, আল্লাহ্‌ সব সময় ন্যায় কাজ করেন। তাহলে আমরা কি বলব যে, তিনি যখন আমাদের শাস্তি দেন তখন অন্যায় করেন? অবশ্য কথাটা আমি মানুষ হিসাবে বলছি, আসলে তিনি কখনও অন্যায় করেন না।

6. আল্লাহ্‌ যদি অন্যায় করেন তবে তিনি কেমন করে মানুষের বিচার করবেন?

7. কেউ হয়তো বলবে, “আমার মিথ্যা কথা বলবার দরুন আরও ভালভাবে প্রকাশ পায় যে, আল্লাহ্‌ সত্যবাদী। এতে যখন আল্লাহ্‌ গৌরব লাভ করেন তখন গুনাহ্‌গার বলে আমাকে দোষী করা হয় কেন?”

8. খুব ভাল, তাহলে কি আমরা এই কথাই বলব, “চল, আমরা খারাপ কাজ করতে থাকি যাতে সেই খারাপীর মধ্য দিয়ে ভাল আসতে পারে”? কোন কোন লোক আমাদের নিন্দা করে বলে যে, আমরা এই রকম কথাই বলে থাকি। তাদের পাওনা শাস্তি তারা পাবে।

কেউ ধার্মিক নয়

9. এখন আমরা কি বলব? ইহুদী হিসাবে আমাদের অবস্থা কি অ-ইহুদীদের চেয়ে ভাল? মোটেই না। আমরা তো আগেই বলেছি, ইহুদী-অ-ইহুদী সবাই গুনাহের অধীন।

10. পাক-কিতাবে লেখা আছে:ধার্মিক কেউ নেই, একজনও নেই;

11. কেউ সত্যিকারের জ্ঞান নিয়ে চলে না,কেউ আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত কাজ করে না।

12. সবাই ঠিক পথ থেকে সরে গেছে,সবাই একসংগে খারাপ হয়ে গেছে।ভাল কাজ করে এমন কেউ নেই, একজনও নেই।

13. তাদের মুখ যেন খোলা কবর,জিভ্‌ দিয়ে তারা খোশামোদের কথা বলে।তাদের ঠোঁটের নীচে যেন সাপের বিষ আছে।

14. তাদের মুুখ বদদোয়া ও তেতো কথায় ভরা।

15. খুন করবার জন্য তাদের পা তাড়াতাড়ি দৌড়ে,

16. তাদের পথে ধ্বংস ও সর্বনাশ থাকে।

17. শান্তির পথ তারা জানে না,

18. তারা আল্লাহ্‌কে ভয়ও করে না।

19. আমরা জানি মূসার শরীয়ত তাদেরই জন্য যারা সেই শরীয়তের অধীন। ফলে ইহুদী কি অ-ইহুদী কারও কিছু বলবার নেই, সব মানুষই আল্লাহ্‌র কাছে দোষী হয়ে আছে।

20. শরীয়ত পালন করলেই যে আল্লাহ্‌ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করবেন তা নয়, কিন্তু শরীয়তের মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের গুনাহের বিষয়ে চেতনা লাভ করে।

মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ

21. আল্লাহ্‌ মানুষকে এখন শরীয়ত ছাড়াই কেমন করে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা প্রকাশিত হয়েছে। তৌরাত শরীফ ও নবীদের কিতাব সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন।

22. যারা ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনে তাদের সেই ঈমানের মধ্য দিয়েই আল্লাহ্‌ তাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন। ইহুদী ও অ-ইহুদী সবাই সমান,

23. কারণ সবাই গুনাহ্‌ করেছে এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা পাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

24. কিন্তু মসীহ্‌ ঈসা মানুষকে গুনাহের হাত থেকে মুক্ত করবার ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই মুক্তির মধ্য দিয়েই রহমতের দান হিসাবে ঈমানদারদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়।

25. আল্লাহ্‌ প্রকাশ করেছিলেন যে, যারা ঈমান আনে তাদের জন্য ঈসা মসীহ্‌ তাঁর রক্তের দ্বারা, অর্থাৎ তাঁর জীবন্তকোরবানীর দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করেছেন। এইভাবেই আল্লাহ্‌ দেখিয়েছেন, যদিও তিনি তাঁর সহ্যগুণের জন্য মানুষের আগেকার গুনাহের শাস্তি দেন নি তবুও তিনি ন্যায়বান।

26. তিনি যে ন্যায়বান তা তিনি এখন দেখিয়েছেন যেন প্রমাণ হয় যে, তিনি নিজে ন্যায়বান এবং যে কেউ ঈসার উপর ঈমান আনে তাকেও তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন।

27. এর পর মানুষের গর্ব করবার আর কি আছে? কিছুই নেই। কিন্তু কেন নেই? মানুষ শরীয়ত পালন করে বলে কি তার গর্ব করবার কিছু নেই? তা নয়। আসল কথা হল, ঈমানের মধ্যে গর্বের জায়গা নেই,

28. কারণ আমরা জানি, আল্লাহ্‌ মানুষকে তার ঈমানের জন্য ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন, শরীয়ত পালন করবার জন্য নয়।

29. আল্লাহ্‌ কি তবে কেবল ইহুদীদেরই, অ-ইহুদীদের নয়? জ্বী, নিশ্চয় তিনি অ-ইহুদীদেরও আল্লাহ্‌,

30. কারণ আল্লাহ্‌ তো মাত্র একজন। তিনি ইহুদীদের যেমন ঈমানের মধ্য দিয়ে ধার্মিক বলে গ্রহণ করবেন তেমনি অ-ইহুদীদেরও করবেন।

31. এই ঈমানের জন্য কি আমরা তাহলে শরীয়ত বাতিল করে দিচ্ছি? কখনও না, বরং শরীয়তের কথা যে সত্যি তা-ই আমরা প্রমাণ করছি।