অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রোমীয় 10 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. ভাইয়েরা, বনি-ইসরাইলদের জন্য আমার দিলের গভীর ইচ্ছা ও আল্লাহ্‌র কাছে আমার মুনাজাত এই যে, তারা যেন নাজাত পায়।

2. তাদের সম্বন্ধে আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌র প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ আছে, কিন্তু কি করে আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হওয়া যায় তা তারা জানে না।

3. আল্লাহ্‌ মানুষকে কেমন করে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন সেই কথায় মনোযোগ না দিয়ে নিজেদের চেষ্টায় তারা তাঁর গ্রহণযোগ্য হতে চাইছিল। সেইজন্যই আল্লাহ্‌ যে উপায়ে মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা তারা মেনে নেয় নি।

4. মসীহ্‌ই শরীয়ত পূর্ণ করে তার শক্তি বাতিল করেছেন, যেন তাঁর উপর যারা ঈমান আনে তারা আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হয়।

নাজাত সকলেরই জন্য

5. শরীয়ত পালন করে আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্বন্ধে মূসা লিখেছেন, “যে লোক শরীয়ত মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”

6. কিন্তু ঈমানের দ্বারা কিভাবে মানুষ আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হয় সেই বিষয়ে পাক-কিতাবে বলা হয়েছে, “মনে মনে এই কথা বোলো না, ‘কে বেহেশতে যাবে?’ ” এর অর্থ হল, বেহেশত থেকে মসীহ্‌কে নামিয়ে আনবার জন্য কে বেহেশতে যাবে?

7. “কিংবা বোলো না, ‘কে নীচে মৃতদের জায়গায় যাবে?’ ” অর্থাৎ মৃত্যু থেকে মসীহ্‌কে উঠিয়ে আনবার জন্য কে মৃতদের জায়গায় যাবে?

8. আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হবার বিষয়ে কিতাব আরও বলে, “আল্লাহ্‌ যা বলেছেন তা তোমার সংগেই রয়েছে, অর্থাৎ তোমার মুখে ও তোমার দিলে রয়েছে।” যে ঈমানের কথা আমরা তবলিগ করছি তা হল আল্লাহ্‌র সেই কথা।

9. সেই কথা হল, যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ্‌ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তবেই তুমি নাজাত পাবে;

10. কারণ দিলে ঈমান আনবার ফলে আল্লাহ্‌ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন আর মুখে স্বীকার করবার ফলে নাজাত দেন।

11. পাক-কিতাব বলে, “যে কেউ তাঁর উপর ঈমান আনে সে নিরাশ হবে না।”

12. ইহুদী ও অ-ইহুদীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কারণ সকলের একই প্রভু। যারা তাঁকে ডাকে তিনি তাদের উপর প্রচুর দোয়া ঢেলে দেন।

13. পাক-কিতাবে আছে, “উদ্ধার পাবার জন্য যে কেউ প্রভুকে ডাকে সে নাজাত পাবে।”

14. কিন্তু যাঁর উপর তারা ঈমান আনে নি তাঁকে কেমন করে ডাকবে? যাঁর বিষয় তারা শোনে নি তাঁর উপর কেমন করে ঈমান আনবে? তবলিগকারী না থাকলে তারা কেমন করেই বা শুনবে?

15. তা ছাড়া কেউ না পাঠালে কেমন করে তবলিগকারীরা তবলিগ করবে? পাক-কিতাবে লেখা আছে, “ধন্য তাদের পা যারা উপকারের সুসংবাদ তবলিগ করতে আসে।”

16. কিন্তু সবাই সেই সুসংবাদে সাড়া দেয় নি। নবী ইশাইয়া বলেছেন, “মাবুদ, আমাদের দেওয়া সুসংবাদের উপর কে ঈমান এনেছে?”

17. তাহলে দেখা যায়, আল্লাহ্‌র কালাম শুনবার ফলেই ঈমান আসে, আর মসীহের বিষয় তবলিগের মধ্য দিয়ে সেই কালাম শুনতে পাওয়া যায়।

18. কিন্তু আমি বলি, বনি-ইসরাইলরা কি সেই কালাম শুনতে পায় নি? নিশ্চয় শুনেছে। পাক-কিতাব বলে,তাদের ডাক সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে,ছড়িয়ে পড়েছে তাদের কথাপৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত।

19. আমি আবার বলি, বনি-ইসরাইলরা কি সেই কালাম বুঝতে পারে নি? প্রথমে নবী মূসার মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌ বলেছেন,যে জাতি কোন জাতিই নয়,সেই জাতিকে দিয়েই আমি তোমার আগ্রহ জাগিয়ে তুলব;একটা অবুঝ জাতিকে দিয়ে তোমাকে রাগিয়ে তুলব।

20. তারপর নবী ইশাইয়ার মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌ আরও জোর দিয়ে বলেছেন, “আমি তাদের কাছেই ছিলাম, কিন্তু তারা কোন সাহায্যের জন্য আমার কাছে আসে নি। আমি এই লোকদের আমার কাছে অনুরোধ জানাবার সুযোগ দিয়েছি, কিন্তু তারা আমার কাছে কোন অনুরোধ জানায় নি।”

21. কিন্তু বনি-ইসরাইলদের বিষয়ে তিনি বলেছেন, “অবাধ্য ও একগুঁয়ে লোকদের দিকে আমি সারা দিন আমার হাত বাড়িয়েই রয়েছি।”