38. “কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের চামড়ার উপর যদি কোন চক্চকে, অর্থাৎ সাদা চক্চকে দাগ দেখা দেয়,
39. তাহলে ইমাম তা পরীক্ষা করে দেখবে। যদি সেই দাগগুলো ফ্যাকাশে সাদা হয় তাহলে বুঝতে হবে চামড়ার উপরে শ্বেতী হয়েছে আর তাতে কোন ক্ষতি হবে না, সে পাক-সাফ।
40. “যদি কোন লোকের চুল উঠে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে যায় তবে সে নাপাক হবে না।
41. মাথার সামনের চুল উঠে গিয়ে যদি কারও কপালের উপরটায় টাক পড়ে যায় তাহলেও সে নাপাক হবে না।
42. কিন্তু যদি তার টাকপড়া মাথায় বা কপালে রোগের কোন লাল্চে-সাদা রংয়ের লক্ষণ দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে তার মাথায় বা কপালে খারাপ চর্মরোগ বের হয়েছে।
43. ইমাম তাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি দেখে যে, খারাপ চর্মরোগের মত তার মাথার বা কপালের লাল্চে-সাদা অংশটা ফুলে উঠেছে,
44. তবে বুঝতে হবে লোকটির খারাপ চর্মরোগ হয়েছে এবং সে নাপাক। তার মাথার সেই রোগের জন্য ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে।
45. “এই রকম রোগ যার হবে তাকে ছেঁড়া কাপড় পরতে হবে। সে চুল খুলে রাখবে। তাকে তার মুখের নীচের দিকটা ঢেকে চিৎকার করে বলতে হবে, ‘নাপাক, নাপাক।’
46. তার শরীরে যতদিন সেই ছোঁয়াচে রোগ থাকবে ততদিন সে নাপাক থাকবে। তাকে ছাউনির বাইরে একা থাকতে হবে।
47-48. “যদি কোন কাপড়ের কোন জায়গায় ক্ষয়-করা ছাৎলা ধরে- সেটা পশমের বা মসীনার কাপড়ের উপরে হোক কিংবা বুনবার আগে পশম বা মসীনার সুতার টানা বা পোড়েনের উপরে হোক কিংবা চামড়া বা চামড়ার জিনিসের উপরেই হোক-
49. আর সেই জায়গাটা দেখতে যদি কিছুটা সবুজ কিংবা লাল্চে হয় তবে বুঝতে হবে সেটা এক রকমের ক্ষয়-করা ছাৎলা। সেটা তখন ইমামকে দেখাতে হবে।
50. ইমাম সেটা ভাল করে দেখে সাত দিনের জন্য সেই জিনিসটা অন্য সব জিনিস থেকে সরিয়ে রাখবে।
51-52. তারপর সেই সাত দিনের শেষের দিন ইমাম আবার সেটা দেখবে। যদি এর মধ্যে সেই কাপড় কিংবা টানা-পোড়েনের সুতা কিংবা চামড়া বা চামড়ার জিনিসের উপরকার ছাৎলা ছড়িয়ে গিয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে সেটাতে ক্ষয়-করা ছাৎলা ধরেছে আর জিনিসটা নাপাক হয়ে গেছে। তখন সেই ছাৎলা-ধরা জিনিসটা পুড়িয়ে দিতে হবে, কারণ ওটা এক রকমের ক্ষয়-করা ছাৎলা। জিনিসটা তাই পুড়িয়ে দিতেই হবে।