অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 13 Kitabul Mukkadas (MBCL)

খারাপ চর্মরোগ সম্বন্ধে নিয়ম

1. এর পর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,

2. “যদি কারও গায়ের চামড়ার কোন জায়গা ফুলে ওঠে কিংবা ফুসকুড়ি দেখা দেয় কিংবা কিছুটা জায়গা চক্‌চকে বলে মনে হয় যা পরে কোন খারাপ চর্মরোগে দাঁড়াতে পারে, তবে তাকে ইমাম হারুন কিংবা তার ছেলেদের, অর্থাৎ ইমামদের কারও কাছে নিয়ে যেতে হবে।

3. ইমাম তার চামড়ার সেই জায়গাটা দেখবে। সেখানকার লোম যদি সাদা হয়ে গিয়ে থাকে আর রোগটা চামড়া ছাড়িয়ে আরও গভীরে চলে গেছে বলে মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে ওটা একটা খারাপ চর্মরোগ। ইমাম তাকে দেখবার পর তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে।

4. তবে তার চামড়ার সেই চক্‌চকে জায়গাটুকু যদি সাদা হয় কিন্তু চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে না গিয়ে থাকে আর সেখানকার লোমও যদি সাদা না হয়ে গিয়ে থাকে, তবে ইমাম সেই লোককে সাত দিন পর্যন্ত অন্য লোকদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।

5. সেই সাত দিনের শেষ দিন ইমাম তাকে আবার দেখবে। যদি এর মধ্যে সেই রোগটা চামড়ার উপরে ছড়িয়ে না গিয়ে যেমন ছিল তেমনিই থেকে যায় তবে সে আরও সাত দিন তাকে সরিয়ে রাখবে।

6. সেই সাত দিনের শেষ দিন ইমাম তাকে আবার দেখবে। যদি এর মধ্যে তার রোগটা চামড়ার উপর ছড়িয়ে না গিয়ে প্রায় মিলিয়ে গিয়ে থাকে তবে সে তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা কেবল একটা ফুসকুড়ি, আর কিছু নয়। তখন লোকটাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর তারপর সে পাক-সাফ হবে।

7. “কিন্তু ইমাম তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবার পরে যদি সেই ফুসকুড়ি তার চামড়ার উপরে ছড়িয়ে পড়ে তবে আবার তাকে ইমামের কাছে যেতে হবে।

8. তখন ইমাম তাকে আবার দেখবে। যদি এর মধ্যে সত্যিই সেটা চামড়ার উপর ছড়িয়ে গিয়ে থাকে তবে সে তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা একটা খারাপ চর্মরোগ।

9-10. “কারও যদি চর্মরোগ হয় তবে তাকে ইমামের কাছে নিয়ে যেতে হবে আর ইমাম তাকে দেখবে। যদি সেই রোগের লক্ষণ এমন হয় যে, চামড়ার উপরের কোন জায়গা সাদা হয়ে ফুলে উঠেছে আর সেখানকার লোম সাদা হয়ে গিয়েছে আর সেই ফোলা জায়গাটায় কাঁচা ঘা রয়েছে,

11. তবে বুঝতে হবে ওটা একটা পুরানো খারাপ চর্মরোগ। তখন ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে। তাকে অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবার দরকার নেই, কারণ সে তো নাপাক হয়েই আছে।

12. কিন্তু যদি লক্ষণটা অন্য রকম হয়ে রোগটা তার সারা গায়ে বেরিয়ে গিয়ে থাকে আর ইমামের যতটা চোখে পড়ে তাতে যদি মনে হয় রোগীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা গায়েই তা আছে,

13. তবে সে তাকে ভাল করে দেখবে। তাতে যদি দেখা যায় সত্যিই তা তার সারা গায়েই রয়েছে কিন্তু তা সাদা হয়ে গেছে তবে সে তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে। তার সারা গা সাদা হয়ে গেছে বলে সে নাপাক নয়।

14. কিন্তু তার পরে যদি তার গায়ে কোন কাঁচা ঘা দেখা দেয় তবে সে নাপাক হবে।

15. ইমাম সেই ঘা দেখবার পর তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে। সেই ঘা নাপাক; তার খারাপ চর্মরোগ হয়েছে।

16. পরে সেই কাঁচা ঘায়ের অবস্থা বদলে গিয়ে যদি তা সাদা হয়ে যায় তবে তাকে আবার ইমামের কাছে যেতে হবে।

17. তখন ইমাম তাকে আবার দেখবে। তার সারা গায়ে বেরিয়ে যাওয়া রোগটা যদি সত্যিই সাদা হয়ে গিয়ে থাকে তবে সে তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে, কারণ সে পাক-সাফ।

18-19. “যদি কারও শরীরে ফোড়া উঠে সেরে যায় আর তারপর সেই জায়গাটা সাদা হয়ে ফুলে ওঠে কিংবা লাল্‌চে-সাদা চক্‌চকে দেখা যায় তবে তাকে ইমামের কাছে যেতে হবে।

20. ইমাম তাকে দেখবে। যদি সেটা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে গিয়ে থাকে এবং সেখানকার লোমও সাদা হয়ে গিয়ে থাকে তবে ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ সেটা ফোড়ার জায়গায় বের হওয়া খারাপ চর্মরোগ।

21. কিন্তু ইমাম যদি কোন সাদা লোম সেখানে দেখতে না পায় এবং সেটা যদি চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে না গিয়ে প্রায় মিলিয়ে যাবার মত হয়ে গিয়ে থাকে তবে ইমাম তাকে সাত দিন পর্যন্ত অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।

22. কিন্তু যদি দেখা যায় সেটা চামড়ার উপর ছড়িয়ে যাচ্ছে তবে ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা একটা রোগ।

23. কিন্তু সেটার যদি কোন পরিবর্তন না হয় এবং ছড়িয়েও না পড়ে তবে বুঝতে হবে যে, ওটা ফোড়াটার একটা দাগ মাত্র। ইমাম তখন তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে।

24. “যদি কারও গায়ে কোন জায়গা পুড়ে যায় আর সেই পোড়া জায়গার কাঁচা ঘায়ের মধ্যে লাল্‌চে-সাদা কিংবা সাদা চক্‌চকে কোন কিছু দেখা যায়,

25. তবে ইমাম সেটা পরীক্ষা করে দেখবে। যদি দেখা যায় সেখানকার লোম সাদা হয়ে গেছে আর সেই অংশটা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে গেছে তবে বুঝতে হবে যে, সেই পোড়া জায়গায় খারাপ চর্মরোগ ফুটে বেরিয়েছে। ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা একটা খারাপ চর্মরোগ।

26. কিন্তু ইমাম পরীক্ষা করে যদি দেখতে পায় যে, সেখানকার লোম সাদা হয় নি এবং সেই অংশটা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে যায় নি বরং প্রায় মিলিয়ে গেছে, তবে ইমাম তাকে সাত দিনের জন্য অন্যদের থেকে সরিয়ে রাখবে।

27. ঐ সাত দিনের শেষ দিন ইমাম তাকে আবার পরীক্ষা করে যদি দেখতে পায় যে, চামড়ার উপর সেটা ছড়িয়ে পড়েছে তবে ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা একটা খারাপ চর্মরোগ।

28. কিন্তু সেই অংশটা যদি যেমন ছিল তেমনি থেকে যায় এবং রোগটা চামড়ার উপর না ছড়িয়ে প্রায় মিলিয়ে যাবার মত হয়ে গিয়ে থাকে, তবে বুঝতে হবে পুড়বার দরুন ওটা ফুলে উঠেছে। তখন ইমাম তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা একটা পোড়া দাগ মাত্র।

29. “যদি কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মাথা বা দাড়ির মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়,

30. তবে ইমাম তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। যদি তার মনে হয় তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে গেছে এবং তার মধ্যেকার লোমও হলুদ আর সরু হয়ে গেছে তবে সে সেই লোককে নাপাক বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা এক রকম চুলকানি- মাথা এবং দাড়ির খারাপ চর্মরোগ।

31. কিন্তু রোগ পরীক্ষা করবার সময় ইমামের যদি মনে হয় যে, তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে যায় নি কিন্তু তার মধ্যে যে লোম রয়েছে তা কালো নয়, তবে সেই রোগীকে সে সাত দিন পর্যন্ত অন্যদের থেকে সরিয়ে রাখবে।

32. তারপর সেই সাত দিনের শেষ দিনে ইমাম আবার তা পরীক্ষা করে যদি দেখে সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে নি এবং তার মধ্যেকার লোমও হলুদ নয় আর মনে হয় তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে যায় নি,

33. তবে চুলকানির জায়গাটা বাদ দিয়ে সেই লোকের বাদবাকী চুল বা লোম কামিয়ে ফেলতে হবে। এর পর ইমাম আরও সাত দিন তাকে অন্যদের থেকে সরিয়ে রাখবে।

34. ঐ সাত দিনের শেষ দিন ইমাম তার সেই চুলকানি আবার পরীক্ষা করে যদি দেখে যে, সেটা চামড়ার উপরে ছড়িয়ে পড়ে নি আর মনে হয় সেটা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে যায় নি, তবে ইমাম তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে। তারপর তাকে কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর তখন সে পাক-সাফ হবে।

35. তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবার পর যদি তার গায়ে সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়,

36. তবে ইমাম তাকে আবার দেখবে। যদি দেখা যায় সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়েছে তবে লোম হলুদ হয়েছে কি না তা ভাল করে পরীক্ষা করে দেখবার দরকার নেই, কারণ লোকটি নাপাক।

37. কিন্তু ইমাম যদি মনে করে তা যেমন ছিল তেমনই আছে আর সেই চুলকানির জায়গায় কালো লোম গজিয়েছে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ভাল হয়ে গেছে। সে পাক-সাফ হয়েছে এবং ইমাম তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে।

38. “কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের চামড়ার উপর যদি কোন চক্‌চকে, অর্থাৎ সাদা চক্‌চকে দাগ দেখা দেয়,

39. তাহলে ইমাম তা পরীক্ষা করে দেখবে। যদি সেই দাগগুলো ফ্যাকাশে সাদা হয় তাহলে বুঝতে হবে চামড়ার উপরে শ্বেতী হয়েছে আর তাতে কোন ক্ষতি হবে না, সে পাক-সাফ।

40. “যদি কোন লোকের চুল উঠে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে যায় তবে সে নাপাক হবে না।

41. মাথার সামনের চুল উঠে গিয়ে যদি কারও কপালের উপরটায় টাক পড়ে যায় তাহলেও সে নাপাক হবে না।

42. কিন্তু যদি তার টাকপড়া মাথায় বা কপালে রোগের কোন লাল্‌চে-সাদা রংয়ের লক্ষণ দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে তার মাথায় বা কপালে খারাপ চর্মরোগ বের হয়েছে।

43. ইমাম তাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি দেখে যে, খারাপ চর্মরোগের মত তার মাথার বা কপালের লাল্‌চে-সাদা অংশটা ফুলে উঠেছে,

44. তবে বুঝতে হবে লোকটির খারাপ চর্মরোগ হয়েছে এবং সে নাপাক। তার মাথার সেই রোগের জন্য ইমাম তাকে নাপাক বলে ঘোষণা করবে।

45. “এই রকম রোগ যার হবে তাকে ছেঁড়া কাপড় পরতে হবে। সে চুল খুলে রাখবে। তাকে তার মুখের নীচের দিকটা ঢেকে চিৎকার করে বলতে হবে, ‘নাপাক, নাপাক।’

46. তার শরীরে যতদিন সেই ছোঁয়াচে রোগ থাকবে ততদিন সে নাপাক থাকবে। তাকে ছাউনির বাইরে একা থাকতে হবে।

ক্ষয়-করা ছাৎলা সম্বন্ধে নিয়ম

47-48. “যদি কোন কাপড়ের কোন জায়গায় ক্ষয়-করা ছাৎলা ধরে- সেটা পশমের বা মসীনার কাপড়ের উপরে হোক কিংবা বুনবার আগে পশম বা মসীনার সুতার টানা বা পোড়েনের উপরে হোক কিংবা চামড়া বা চামড়ার জিনিসের উপরেই হোক-

49. আর সেই জায়গাটা দেখতে যদি কিছুটা সবুজ কিংবা লাল্‌চে হয় তবে বুঝতে হবে সেটা এক রকমের ক্ষয়-করা ছাৎলা। সেটা তখন ইমামকে দেখাতে হবে।

50. ইমাম সেটা ভাল করে দেখে সাত দিনের জন্য সেই জিনিসটা অন্য সব জিনিস থেকে সরিয়ে রাখবে।

51-52. তারপর সেই সাত দিনের শেষের দিন ইমাম আবার সেটা দেখবে। যদি এর মধ্যে সেই কাপড় কিংবা টানা-পোড়েনের সুতা কিংবা চামড়া বা চামড়ার জিনিসের উপরকার ছাৎলা ছড়িয়ে গিয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে সেটাতে ক্ষয়-করা ছাৎলা ধরেছে আর জিনিসটা নাপাক হয়ে গেছে। তখন সেই ছাৎলা-ধরা জিনিসটা পুড়িয়ে দিতে হবে, কারণ ওটা এক রকমের ক্ষয়-করা ছাৎলা। জিনিসটা তাই পুড়িয়ে দিতেই হবে।

53. “কিন্তু ইমাম যদি দেখে যে, সেই কাপড় কিংবা টানা-পোড়েনের সুতা কিংবা চামড়া বা চামড়ার জিনিসের উপরে সেটা না ছড়িয়ে একই জায়গায় রয়ে গেছে,

54. তবে সে ঐ জিনিসটা ধুয়ে ফেলবার হুকুম দেবে। তারপর সে ওটা আরও সাত দিন পর্যন্ত অন্য সব জিনিস থেকে সরিয়ে রাখবে।

55. তারপর ইমাম আবার তা দেখবে। সেটা ছড়িয়ে না পড়লেও যদি দেখতে একই রকম থেকে যায় তবে বুঝতে হবে জিনিসটা নাপাক। জিনিসটার ভিতরে-বাইরে যেদিকেই সেই ছাৎলা থাকুক না কেন, সেটা আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।

56. জিনিসটা ধোয়ার পরে ইমাম যদি দেখে যে, জায়গাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে তবে সেই ফ্যাকাশে জায়গাটা তাকে ছিঁড়ে ফেলতে হবে।

57. কিন্তু ঐ জিনিসটাতে যদি আবার ছাৎলা দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে ওটা ছড়িয়ে পড়ছে। ঐ ছাৎলা-ধরা জিনিসটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে।

58. জিনিসটা ধোয়ার পরে যদি দেখা যায় ছাৎলা মিলিয়ে গেছে তবে সেটা আবার ধুয়ে নিতে হবে, আর তাতে সেটা পাক-সাফ হবে।”

59. এই সব নিয়ম অনুসারে ক্ষয়-করা ছাৎলা-ধরা পশমী বা মসীনার কাপড়, টানা বা পোড়েনের কোন সুতা কিংবা চামড়ার কোন জিনিস পাক বা নাপাক বলে ঘোষণা করতে হবে।