23. তারপর তিনি সবাইকে বললেন, “যদি কেউ আমার পথে আসতে চায়, তবে সে নিজের ইচ্ছামত না চলুক; প্রত্যেক দিন নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে সে আমার পিছনে আসুক।
24. যে কেউ তার নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চায় সে তার সত্যিকারের জীবন হারাবে; কিন্তু যে আমার জন্য তার প্রাণ হারায় সে তার সত্যিকারের জীবন রক্ষা করবে।
25. যদি কেউ সমস্ত জগৎ লাভ করে তার বিনিময়ে তার সত্যিকারের জীবন হারায় তবে তার কি লাভ হল?
26. যদি কেউ আমাকে নিয়ে ও আমার কথা নিয়ে লজ্জা বোধ করে, তবে মনুষ্যপুত্র যখন নিজের মহিমা এবং পিতা ও পবিত্র স্বর্গদূতদের মহিমায় আসবেন তখন তিনিও সেই লোকের সম্বন্ধে লজ্জা বোধ করবেন।
27. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এখানে এমন কয়েকজন আছে যাদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্য দেখা না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনমতেই মারা যাবে না।”
28. এই সব কথা বলবার প্রায় এক সপ্তার পরে যীশু প্রার্থনা করবার জন্য পিতর, যোহন ও যাকোবকে নিয়ে একটা পাহাড়ে গেলেন।
29. প্রার্থনা করবার সময় যীশুর মুখের চেহারা বদলে গেল এবং তাঁর কাপড়-চোপড় উজ্জ্বল সাদা হয়ে গেল,
30. আর দু’জন লোককে তাঁর সংগে কথা বলতে দেখা গেল। সেই দু’জন ছিলেন মোশি এবং এলিয়।
31. তাঁরা মহিমার সংগে দেখা দিলেন। যিরূশালেমে যে মৃত্যুর সামনে যীশু উপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন তাঁরা সেই বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন।
32. পিতর ও তাঁর সংগীরা সেই সময় অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁরা জেগে উঠে যীশুর মহিমা দেখতে পেলেন এবং তাঁর সংগে দাঁড়ানো সেই দু’জন লোককেও দেখলেন।
33. সেই দু’জন যখন যীশুর কাছ থেকে চলে যাচ্ছিলেন তখন পিতর যীশুকে বললেন, “গুরু, ভালই হয়েছে যে, আমরা এখানে আছি। আমরা এখানে তিনটা কুঁড়ে-ঘর তৈরী করি-একটা আপনার, একটা মোশির ও একটা এলিয়ের জন্য।” তিনি যে কি বলছিলেন তা নিজেই বুঝলেন না।
34. পিতর যখন কথা বলছিলেন তখন একটা মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল। তাঁরা সেই মেঘের মধ্যে ঢাকা পড়লে পর শিষ্যেরা ভয় পেলেন।
35. সেই মেঘ থেকে এই কথা শোনা গেল, “ইনিই আমার পুত্র যাঁকে আমি বেছে নিয়েছি; তোমরা এঁর কথা শোন।”
36. যখন কথা থেমে গেল তখন দেখা গেল যীশু একাই আছেন। শিষ্যেরা যা দেখেছিলেন সেই বিষয়ে সেই সময় কাউকে কিছু না বলে তাঁরা চুপ করে রইলেন।
37. পরের দিন যীশু ও সেই তিনজন শিষ্য পাহাড় থেকে নেমে আসলে পর অনেক লোক যীশুর সংগে দেখা করতে আসল।