অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লূক 3 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

বাপ্তিস্মদাতা যোহনের প্রচার

1. রোম-সম্রাট তিবিরিয় কৈসরের রাজত্বের পনের বছরের সময় যিহূদিয়া প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা ছিলেন পন্তীয় পীলাত। তখন হেরোদ গালীল প্রদেশ ও তাঁর ভাই ফিলিপ যিতূরিয়া প্রদেশ ও ত্রাখোনীতিয়া শাসন করছিলেন। লুষানিয়া ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা,

2. আর হানন ও কাইয়াফা ছিলেন যিহূদীদের মহাপুরোহিত। ঠিক এই সময়ে ঈশ্বর মরু- এলাকায় সখরিয়ের পুত্র যোহনের কাছে তাঁর বাক্য প্রকাশ করলেন।

3. তখন যোহন যর্দন নদীর চারদিকের সমস্ত জায়গায় গিয়ে প্রচার করতে লাগলেন যেন লোকে পাপের ক্ষমা পাবার জন্য পাপ থেকে মন ফিরায় এবং তার চিহ্ন হিসাবে বাপ্তিসম গ্রহণ করে।

4. নবী যিশাইয়ের বইয়ে যা লেখা আছে ঠিক সেইভাবে এই সব হল। লেখা আছে,“মরু-এলাকায় একজনের কন্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,‘তোমরা প্রভুর পথ ঠিক কর,তাঁর রাস্তা সোজা কর।

5. সমস্ত উপত্যকা ভরা হবে,পাহাড়-পর্বত সমান করা হবে।আঁকাবাঁকা পথ সোজা করা হবে,অসমান রাস্তা সমান করা হবে।

6. মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করবার জন্যঈশ্বর যা করেছেন,সব লোকেই তা দেখতে পাবে।’ ”

7. তখন বাপ্তিসম গ্রহণ করবার জন্য অনেক লোক যোহনের কাছে আসতে লাগল। যোহন তাদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! ঈশ্বরের যে শাস্তি নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল?

8. তোমরা যে পাপ থেকে মন ফিরিয়েছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। নিজেদের মনে ভেবো না যে, তোমরা অব্রাহামের বংশের লোক। আমি তোমাদের বলছি, এই পাথরগুলো থেকে ঈশ্বর অব্রাহামের বংশধর তৈরী করতে পারেন।

9. গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”

10. তখন লোকেরা যোহনকে জিজ্ঞাসা করল, “তা হলে আমরা কি করব?”

11. যোহন তাদের বললেন, “যদি কারও দু’টা জামা থাকে তবে যার জামা নেই সে তাকে একটা দিক। যার খাবার আছে সেও সেই রকম করুক।”

12. কয়েকজন কর্‌-আদায়কারী বাপ্তিস্ম গ্রহণ করবার জন্য এসে যোহনকে বলল, “গুরু, আমরা কি করব?”

13. তিনি তাদের বললেন, “আইনে যা আছে তার বেশী আদায় কোরো না।”

14. কয়েকজন সৈন্যও তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “আর আমরা কি করব?”তিনি সেই সৈন্যদের বললেন, “জুলুম করে বা অন্যায়ভাবে দোষ দেখিয়ে কারও কাছ থেকে কিছু আদায় কোরো না এবং তোমাদের বেতনেই সন্তুষ্ট থেকো।”

15. লোকেরা খুব আশা নিয়ে মনে মনে ভাবছিল হয়ত বা যোহনই মশীহ।

16. এমন সময় যোহন তাদের সবাইকে বললেন, “আমি তোমাদের জলে বাপ্তিস্ম দিচ্ছি, কিন্তু যিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী তিনি আসছেন। আমি তাঁর জুতার ফিতা খুলবারও যোগ্য নই। তিনি পবিত্র আত্মা ও আগুনে তোমাদের বাপ্তিস্ম দেবেন।

17. কুলা তাঁর হাতেই আছে; তা দিয়ে তিনি তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা পরিষ্কার করে ফসল গোলায় জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না তাতে তিনি তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”

18. যোহন আরও অনেক উপদেশের মধ্য দিয়ে লোকদের মনে উৎসাহ জাগিয়ে ঈশ্বরের দেওয়া সুখবর প্রচার করলেন।

19. শাসনকর্তা হেরোদের ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিয়ার সংগে হেরোদের সমপর্কের দরুন এবং তাঁর আরও অনেক মন্দ কাজের দরুন যোহন তাঁর দোষ দেখিয়ে দিয়েছিলেন।

20. তাতে তিনি যোহনকে বন্দী করে জেলে দিলেন। এতে তাঁর অন্য সব মন্দ কাজের সংগে এই মন্দ কাজটাও যোগ হল।

প্রভু যীশুর বাপ্তিস্ম

21. যে সমস্ত লোক যোহনের কাছে এসেছিল তারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করবার সময় যীশুও বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন। বাপ্তিস্মের পরে যীশু যখন প্রার্থনা করছিলেন তখন আকাশ খুলে গেল।

22. সেই সময় পবিত্র আত্মা কবুতরের আকার নিয়ে তাঁর উপর নেমে আসলেন, আর স্বর্গ থেকে এই কথা শোনা গেল, “তুমিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমার উপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”

প্রভু যীশুর বংশ-তালিকা

23. প্রায় তিরিশ বছর বয়সে যীশু তাঁর কাজ শুরু করলেন। লোকে মনে করত তিনি যোষেফের ছেলে। যোষেফ এলির ছেলে;

24. এলি মত্ততের ছেলে, মত্তত লেবির ছেলে, লেবি মল্কির ছেলে, মল্কি যান্নায়ের ছেলে, যান্নায় যোষেফের ছেলে;

25. যোষেফ মত্তথিয়ের ছেলে, মত্তথিয় আমোসের ছেলে, আমোস নহূমের ছেলে, নহূম ইষ্‌লির ছেলে, ইষ্‌লি নগির ছেলে;

26. নগি মাটের ছেলে, মাট মত্তথিয়ের ছেলে, মত্তথিয় শিমিয়ির ছেলে, শিমিয়ি যোষেখের ছেলে, যোষেখ যূদার ছেলে;

27. যূদা যোহানার ছেলে, যোহানা রীষার ছেলে, রীষা সরুব্বাবিলের ছেলে, সরুব্বাবিল শল্টীয়েলের ছেলে, শল্টীয়েল নেরির ছেলে;

28. নেরি মল্কির ছেলে, মল্কি অদ্দীর ছেলে, অদ্দী কোষমের ছেলে, কোষম ইল্‌মাদমের ছেলে, ইল্‌মাদম এরের ছেলে;

29. এর যীশুর ছেলে, যীশু ইলীয়েষরের ছেলে, ইলীয়েষর যোরীমের ছেলে, যোরীম মত্ততের ছেলে, মত্তত লেবির ছেলে;

30. লেবি শিমিয়োনের ছেলে, শিমিয়োন যূদার ছেলে, যূদা যোষেফের ছেলে, যোষেফ যোনমের ছেলে, যোনম ইলিয়াকীমের ছেলে;

31. ইলিয়াকীম মিলেয়ার ছেলে, মিলেয়া মিন্নার ছেলে, মিন্না মত্তথের ছেলে, মত্তথ নাথনের ছেলে, নাথন দায়ূদের ছেলে;

32. দায়ূদ যিশয়ের ছেলে, যিশয় ওবেদের ছেলে, ওবেদ বোয়সের ছেলে, বোয়স সল্‌মোনের ছেলে, সল্‌মোন নহশোনের ছেলে;

33. নহশোন অম্মীনাদবের ছেলে, অম্মীনাদব অদমানের ছেলে, অদমান অর্ণির ছেলে, অর্ণি হিষ্রোণের ছেলে, হিষ্রোণ পেরসের ছেলে, পেরস যিহূদার ছেলে;

34. যিহূদা যাকোবের ছেলে, যাকোব ইস্‌হাকের ছেলে, ইস্‌হাক অব্রাহামের ছেলে, অব্রাহাম তেরহের ছেলে, তেরহ নাহোরের ছেলে;

35. নাহোর সরূগের ছেলে, সরূগ রিয়ুর ছেলে, রিয়ু পেলগের ছেলে, পেলগ এবরের ছেলে, এবর শেলহের ছেলে;

36. শেলহ কৈননের ছেলে, কৈনন অর্ফক্‌ষদের ছেলে, অর্ফক্‌ষদ শেমের ছেলে, শেম নোহের ছেলে, নোহ লেমকের ছেলে;

37. লেমক মথূশেলহের ছেলে, মথূশেলহ হনোকের ছেলে, হনোক যেরদের ছেলে, যেরদ মহললেলের ছেলে, মহললেল কৈননের ছেলে;

38. কৈনন ইনোশের ছেলে, ইনোশ শেথের ছেলে, শেথ আদমের ছেলে, আদম ঈশ্বরের ছেলে।