ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লূক 2:30-31-44 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

30-31. কারণ মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করবার জন্যসমস্ত লোকের চোখের সামনেতুমি যে ব্যবস্থা করেছ,আমি তা দেখতে পেয়েছি।

32. অন্য জাতির কাছে এটা পথ দেখাবার আলো,আর তোমার ইস্রায়েল জাতির কাছেএটা গৌরবের বিষয়।”

33. শিমিয়োন শিশুটির বিষয়ে যা বললেন তাতে শিশুটির মা-বাবা আশ্চর্য হলেন।

34. এর পরে শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করলেন এবং যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “ঈশ্বর এটাই স্থির করেছেন যে, এই শিশুটির জন্য ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে অনেকেরই পতন হবে, আবার অনেকেই উদ্ধার পাবে। ইনি এমন একটা চিহ্ন হবেন যাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলবে,

35. আর তাতে তাদের মনের চিন্তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। এছাড়া ছোরার আঘাতের মত দুঃখ তোমার অন্তরকে বিঁধবে।”

36-37. সেই সময় হান্না নামে একজন মহিলা-নবী ছিলেন। তিনি আশের বংশের পনূয়েলের মেয়ে। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। সাত বছর স্বামীর ঘর করবার পরে চুরাশি বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বিধবার জীবন কাটিয়েছিলেন। উপাসনা-ঘর ছেড়ে তিনি কোথাও যেতেন না বরং উপবাস ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিন রাত ঈশ্বরের সেবা করতেন।

38. তিনিও ঠিক সেই সময় এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে লাগলেন, আর ঈশ্বর যিরূশালেমকে মুক্ত করবেন বলে যারা অপেক্ষা করছিল তাদের কাছে সেই শিশুটির কথা বলতে লাগলেন।

39. প্রভুর আইন-কানুন মতে সব কিছু শেষ করে মরিয়ম ও যোষেফ গালীলে তাঁদের নিজেদের গ্রাম নাসরতে ফিরে গেলেন।

40. শিশু যীশু বয়সে বেড়ে শক্তিমান হয়ে উঠলেন এবং জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন। তাঁর উপরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছিল।

41. উদ্ধার-পর্বের সময়ে যীশুর মা-বাবা প্রত্যেক বছর যিরূশালেমে যেতেন।

42. যীশুর বয়স যখন বারো বছর তখন নিয়ম মতই তাঁরা সেই পর্বে গেলেন।

43. পর্বের শেষে তাঁরা যখন বাড়ী ফিরছিলেন তখন যীশু যিরূশালেমেই থেকে গেলেন। তাঁর মা-বাবা কিন্তু সেই কথা জানতেন না।

44. তিনি সংগের লোকদের মধ্যে আছেন মনে করে তাঁরা এক দিনের পথ চলে গেলেন। পরে তাঁরা তাঁদের আত্মীয় ও জানাশোনা লোকদের মধ্যে যীশুর খোঁজ করতে লাগলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন লূক 2