19. কিন্তু মরিয়ম সব কিছু মনে গেঁথে রাখলেন, কাউকে বললেন না; তিনি সেই বিষয়ে চিন্তা করতে থাকলেন।
20. স্বর্গদূতেরা রাখালদের কাছে যা বলেছিলেন সব কিছু সেইমত দেখে ও শুনে তারা ঈশ্বরের প্রশংসা ও গৌরব করতে করতে ফিরে গেল।
21. জন্মের আট দিনের দিন যিহূদীদের নিয়ম মত যখন শিশুটির সুন্নত করাবার সময় হল তখন তাঁর নাম রাখা হল যীশু। মায়ের গর্ভে আসবার আগে স্বর্গদূত তাঁর এই নামই দিয়েছিলেন।
22. পরে মোশির আইন-কানুন মতে তাঁদের শুচি হবার সময় হল। তখন যোষেফ ও মরিয়ম যীশুকে প্রভুর সামনে উপস্থিত করবার জন্য তাঁকে যিরূশালেম শহরে নিয়ে গেলেন,
23. কারণ প্রভুর আইন-কানুনে লেখা আছে, “প্রথমে জন্মেছে এমন প্রত্যেকটি পুরুষ সন্তানকে প্রভুর বলে ধরা হবে।”
24. এছাড়াও “এক জোড়া ঘুঘু কিংবা দু’টা কবুতরের বাচ্চা” উৎসর্গ করবার কথা যেমন প্রভুর আইন-কানুনে লেখা আছে সেইভাবে তাঁরা তা উৎসর্গ করতে গেলেন।
25-26. তখন যিরূশালেমে শিমিয়োন নামে একজন ধার্মিক ও ঈশ্বরভক্ত লোক ছিলেন। ঈশ্বর কবে ইস্রায়েলীয়দের দুঃখ দূর করবেন সেই সময়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন। পবিত্র আত্মা তাঁর উপর ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে, মারা যাবার আগে তিনি প্রভুর সেই মশীহকে দেখতে পাবেন।
27. পবিত্র আত্মার দ্বারা চালিত হয়ে শিমিয়োন সেই দিন যিহূদীদের উপাসনা-ঘরে আসলেন। মোশির আইন-কানুন মতে যা করা দরকার তা করবার জন্য যীশুর মা-বাবা শিশু যীশুকে নিয়ে সেখানে আসলেন।
28. তখন শিমিয়োন তাঁকে কোলে নিলেন এবং ঈশ্বরের গৌরব করে বললেন,
29. “প্রভু, তুমি তোমার কথামত তোমার দাসকেএখন শান্তিতে বিদায় দিচ্ছ,
30-31. কারণ মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করবার জন্যসমস্ত লোকের চোখের সামনেতুমি যে ব্যবস্থা করেছ,আমি তা দেখতে পেয়েছি।
32. অন্য জাতির কাছে এটা পথ দেখাবার আলো,আর তোমার ইস্রায়েল জাতির কাছেএটা গৌরবের বিষয়।”
33. শিমিয়োন শিশুটির বিষয়ে যা বললেন তাতে শিশুটির মা-বাবা আশ্চর্য হলেন।
34. এর পরে শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করলেন এবং যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “ঈশ্বর এটাই স্থির করেছেন যে, এই শিশুটির জন্য ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে অনেকেরই পতন হবে, আবার অনেকেই উদ্ধার পাবে। ইনি এমন একটা চিহ্ন হবেন যাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলবে,
35. আর তাতে তাদের মনের চিন্তা প্রকাশ হয়ে পড়বে। এছাড়া ছোরার আঘাতের মত দুঃখ তোমার অন্তরকে বিঁধবে।”
36-37. সেই সময় হান্না নামে একজন মহিলা-নবী ছিলেন। তিনি আশের বংশের পনূয়েলের মেয়ে। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। সাত বছর স্বামীর ঘর করবার পরে চুরাশি বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বিধবার জীবন কাটিয়েছিলেন। উপাসনা-ঘর ছেড়ে তিনি কোথাও যেতেন না বরং উপবাস ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিন রাত ঈশ্বরের সেবা করতেন।
38. তিনিও ঠিক সেই সময় এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে লাগলেন, আর ঈশ্বর যিরূশালেমকে মুক্ত করবেন বলে যারা অপেক্ষা করছিল তাদের কাছে সেই শিশুটির কথা বলতে লাগলেন।
39. প্রভুর আইন-কানুন মতে সব কিছু শেষ করে মরিয়ম ও যোষেফ গালীলে তাঁদের নিজেদের গ্রাম নাসরতে ফিরে গেলেন।
40. শিশু যীশু বয়সে বেড়ে শক্তিমান হয়ে উঠলেন এবং জ্ঞানে পূর্ণ হতে থাকলেন। তাঁর উপরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছিল।
41. উদ্ধার-পর্বের সময়ে যীশুর মা-বাবা প্রত্যেক বছর যিরূশালেমে যেতেন।