32. বিচারের দিনে নীনবী শহরের লোকেরা উঠে এই কালের লোকদের দোষ দেখিয়ে দেবে, কারণ যোনার প্রচারের ফলে নীনবীর লোকেরা পাপ থেকে মন ফিরিয়েছিল; আর দেখুন, এখানে যোনার চেয়েও আরও মহান একজন আছেন।
33. “কেউ বাতি জ্বেলে কোন গোপন জায়গায় বা ঝুড়ির নীচে রাখে না বরং বাতিদানের উপরেই রাখে, যেন ভিতরে যারা ঢোকে তারা আলো দেখতে পায়।
34. আপনার চোখ হল আপনার দেহের প্রদীপ। যদি আপনার চোখ ভাল হয় তবে আপনার সমস্ত দেহ আলোতে পূর্ণ হবে, কিন্তু চোখ মন্দ হলে আপনার দেহও অন্ধকারে পূর্ণ হবে।
35. আপনার মধ্যে যে আলো আছে তা আসলে অন্ধকার কি না সেই বিষয়ে সাবধান হোন।
36. আপনার সারা দেহ যদি আলোতে পূর্ণ হয় এবং একটুও অন্ধকার না থাকে তবে তা সম্পূর্ণ আলোময় হবে, ঠিক যেমন বাতির আলো আপনার উপর পড়লে আপনার দেহ আলোময় হয়।”
37. যীশু কথা বলা শেষ করলে পর একজন ফরীশী যীশুকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করলেন। তখন যীশু ভিতরে গিয়ে খেতে বসলেন।
38. সেই ফরীশী যখন দেখলেন খাওয়ার আগে যীশু ধর্মের নিয়ম মত হাত ধুলেন না তখন তিনি অবাক হলেন।
39. প্রভু তাঁকে বললেন, “তবে শুনুন, আপনারা, অর্থাৎ ফরীশীরা থালা ও বাটির বাইরের দিকটা পরিষ্কার করে থাকেন, কিন্তু আপনাদের ভিতরটা লোভ ও মন্দতায় ভরা।
40. আপনারা মূর্খ! যিনি বাইরের দিক তৈরী করেছেন তিনি কি ভিতরের দিকও তৈরী করেন নি?
41. আপনাদের থালা-বাটির ভিতরে যা আছে তা-ই বরং ভিক্ষার মত দান করুন; দেখবেন, সব কিছুই আপনাদের কাছে শুচি হবে।
42. “ধিক্ ফরীশীরা! আপনারা ঈশ্বরকে পুদিনা, তেজপাতা ও সব রকম শাকের দশ ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাকেন, কিন্তু ন্যায়বিচার ও ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার দিকে মনোযোগ দেন না। আগেরগুলো পালন করবার সংগে সংগে পরেরগুলোও পালন করা আপনাদের উচিত।