ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

রোমীয় 1:16-32 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

16. যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে এই যে সুখবর তাতে আমার কোন লজ্জা নেই, কারণ এই সুখবরই হল ঈশ্বরের শক্তি যার দ্বারা তিনি সব বিশ্বাসীদের পাপ থেকে উদ্ধার করেন-প্রথমে যিহূদীদের, তারপর অযিহূদীদের।

17. ঈশ্বর কেমন করে মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন সেই কথা এই সুখবরের মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই মানুষকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “যাকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয় সে বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”

18. মানুষ ঈশ্বরের সত্যকে অন্যায় দিয়ে চেপে রাখে, আর তাই তাঁর প্রতি ভক্তির অভাব ও সমস্ত অন্যায় কাজের জন্য স্বর্গ থেকে মানুষের উপর ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশ পেয়ে থাকে।

19. ঈশ্বর সম্বন্ধে যা জানা যেতে পারে তা মানুষের কাছে স্পষ্ট, কারণ ঈশ্বর নিজেই তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছেন।

20. ঈশ্বরের যে সব গুণ চোখে দেখতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তাঁর চিরস্থায়ী ক্ষমতা ও তাঁর ঈশ্বরীয় স্বভাব সৃষ্টির আরম্ভ থেকেই পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। তাঁর সৃষ্টি থেকেই মানুষ তা বেশ বুঝতে পারে। এর পরে মানুষের আর কোন অজুহাত নেই।

21. মানুষ তাঁর সম্বন্ধে জানবার পরেও ঈশ্বর হিসাবে তাঁর গৌরবও করে নি, তাঁকে কৃতজ্ঞতাও জানায় নি। তাদের চিন্তাশক্তি অসার হয়ে গেছে এবং তাদের বুদ্ধিহীন অন্তর অন্ধকারে পূর্ণ হয়েছে।

22. যদিও তারা নিজেদের জ্ঞানী বলে দাবি করেছে তবুও আসলে তারা মুর্খই হয়েছে।

23. চিরস্থায়ী, মহিমাপূর্ণ ঈশ্বরের উপাসনা ছেড়ে দিয়ে তারা অস্থায়ী মানুষ, পাখী, পশু ও বুকে-হাঁটা প্রাণীর মূর্তির পূজা করেছে।

24. এইজন্য ঈশ্বর মানুষকে তার অন্তরের কামনা-বাসনা অনুসারে জঘন্য কাজ করতে ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে তারা একে অন্যের সংগে জঘন্য কাজ করে নিজেদের দেহের অসম্মান করেছে।

25. ঈশ্বরের সত্যকে ফেলে তারা মিথ্যাকে গ্রহণ করেছে। সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে তারা তাঁর সৃষ্ট জিনিসের পূজা করেছে, কিন্তু সমস্ত গৌরব চিরকাল সেই সৃষ্টিকর্তারই। আমেন।

26. মানুষ এই সব করেছে বলে ঈশ্বর লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। স্ত্রীলোকেরা পর্যন্ত পুরুষদের সংগে তাদের স্বাভাবিক ব্যবহারের বদলে অন্য স্ত্রীলোকদের সংগে অস্বাভাবিক ভাবে খারাপ কাজ করেছে।

27. পুরুষেরাও ঠিক তেমনি করে স্ত্রীলোকদের সংগে তাদের স্বাভাবিক ব্যবহার ছেড়ে দিয়ে পুরুষদের সংগে কামনায় জ্বলে উঠেছে; পুরুষ পুরুষের সংগে লজ্জাপূর্ণ খারাপ কাজ করেছে। ফলে তারা প্রত্যেকেই তার অন্যায় কাজের পাওনা শাস্তি নিজের মধ্যেই পেয়েছে।

28. এইভাবে মানুষ ঈশ্বরকে মানতে চায় নি বলে ঈশ্বরও পাপপূর্ণ মনের হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন, আর সেইজন্যই মানুষ অনুচিত কাজ করতে থাকে।

29. সব রকম অন্যায়, মন্দতা, লোভ, নীচতা, হিংসা, খুন, মারামারি, ছলনা ও অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছায় তারা পরিপূর্ণ। তারা অন্যের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে,

30. অন্যের নিন্দা করে এবং ঈশ্বরকে ঘৃণা করে। তারা বদ্‌মেজাজী, অহংকারী ও গর্বিত। অন্যায় কাজ করবার জন্য তারা নতুন নতুন উপায় বের করে। তারা মা-বাবার অবাধ্য,

31. ভাল-মন্দের জ্ঞান তাদের নেই, আর তারা অবিশ্বস্ত। পরিবারের প্রতি তাদের ভালবাসা নেই এবং তাদের অন্তরে দয়া-মায়া নেই।

32. ঈশ্বরের এই বিচারের কথা তারা ভাল করেই জানে যে, এই রকম কাজ যারা করে তারা মৃত্যুর শাস্তির উপযুক্ত। এই কথা জেনেও তারা যে কেবল এই সব কাজ করতে থাকে তা নয়, কিন্তু অন্য যারা তা করে তাদের সায়ও দেয়।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন রোমীয় 1